Saturday, May 24, 2025
spot_imgspot_img

Top 5 This Week

spot_img

Related Posts

‌লখনউকে হারিয়ে পাঁচে পাঁচ করল হার্দিকদের মুম্বই!‌ দিল্লিকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবলে শীর্ষে বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ২১৫ রিকালটন ৫৮, সূর্যকুমার ৫৪, ময়াঙ্ক ২/৪০, আবেশ ২/৪২
লখনউ সুপার জায়ান্টস: ১৬১ বাদোনি ৩৫, মার্শ‌ ৩৪, বুমরাহ ৪/২২, বোল্ট ৩/২০

লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ৫৪ রানে হারাল হার্দিকদের দল। বুমরাহ ফর্মে। শিকার ২২ রানে ৪ উইকেট। পয়েন্ট টেবিলে মুম্বই দ্বিতীয় স্থানে। পাঁচে পাঁচ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। টসে জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। দুই মুম্বই ওপেনার রায়ান রিকলটন এবং রোহিত শর্মা সপ্তমে। রোহিত পরপর দু’বলে দু’টি ছক্কা মারেন ময়াঙ্ক যাদবকে। ৫ বলে ১২ রান করে ডাগআউট ফেরেন ‘হিট ম্যান’। অর্ধশতক হাঁকান রিকালটন। দিগ্বেশ রাঠির বলে ৩২ বলে ৫৮ করে আউট হন। উইল জ্যাকস ২৯ রানের পর সূর্যকুমার যাদব ২৮ বলে ৫৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তিলক বর্মা ৬, হার্দিক পাণ্ডিয়া ৫, নমন ধীর ২৫ এবং করবিন বোশ ২০ রান করেন। মুম্বইয়ের রান ২১৫। লখনউয়ের ময়াঙ্ক যাদব এবং আবেশ খান ২ করে উইকেট পান। প্রিন্স যাদব, দিগ্বেশ রাঠি ও রবি বিষ্ণোইয়ের শিকার ১টি করে উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নামার পরই বুমরাহ ফেরান এইডেন মার্করামকে ৯ রান। নিকোলাস পুরান ২৭, ঋষভ পন্থ ৪ রানে উইল জ্যাকসের বলে আউট হন। মিচেল মার্শ ৩৪ রানে ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট। আয়ুশ বাদোনি ৩৫ রান করে বোল্টের বলে আউট। ডেভিড মিলার ২৪ ফিরে যাওয়ায় লখনউয়ের জয়ের আশা শেষ। লখনউ ১৬১ রান করে। বুমরাহ ৪ উইকেট, বোল্ট ৩টি ও জ্যাকস ২টি উইকেট, বোশের শিকার একটি।

দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৬২/৮ রাহুল ৪১, স্টাবস ৩৪, অভিষেক ২৮, প্লেসিস ২২ ভূবনেশ্বর ৩/৩৩, হ্যাজেলউড ২/৩৬
রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৬৫/৪ ক্রুণাল ৭৩, বিরাট ৫১, অক্ষর ২/১৯

লিগ টেবিলের শীর্ষে আরসিবি। ৬ উইকেটে জয় পেল আরসিবি। বিরাট কোহলির ঘরের মাঠ দিল্লি। কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে দিল্লি ক্যাপিটালস প্রথমে ব্যাট করে ১৬২ রান করে। টস জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠান বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক রজত পাটীদার। শুরুতেই বাংলার অভিষেক পোড়েল ঝড় তুলে ১১ বলে ২৮ রান করে আউট হন জস হেজলউডের বলে। পরের ওভারে করুণ নায়ার ৪ আউট হন। ক্রিজ়ে বেঙ্গালুরুর প্রাক্তন অধিনায়ক ফ্যাফ ডু’প্লেসির সঙ্গী লোকেশ রাহুল বেঙ্গালুরুতে প্রায় একাই জিতিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসকে। বেঙ্গালুরুর দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার মিলে ২৮ রানে করেন। ২২ রান করে আউট হন ডু’প্লেসি।ক্যাচ দেন কোহলির হাতে। দিল্লির অধিনায়ক অক্ষর পটেল ১৫, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামা আশুতোষ শর্মা ২, ভিপরাজ নিগমের ১২ রান করেন। রাহুল ৪১ রান করেন ৩৯টি বল খেলে। সুযশ শর্মা ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দেন। ক্রুণাল পাণ্ডিয়া ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে একটি উইকেটও নেন। ভুবনেশ্বর কুমার ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। ১৬২ রান করে দিল্লি। বেঙ্গালুরুর জয়ের নেপথ্যে কোহলি ও ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। ব্যাট হাতে কোহলির সঙ্গে ১১৯ রানের জুটিই বেঙ্গালুরুকে জেতাল। ক্রুণাল অপরাজিত ৭৩ রানে। শেষ দিকে টিম ডেভিড ৬ বলে ১৯ রান করে ম্যাচটা সহজে জিতিয়ে দেন। ৯ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় বেঙ্গালুরু।

গত আইপিএলে দ্রুততম বোলার মায়াঙ্ক যাদব। লখনউয়ের বোলার ঘণ্টায় ১৫৬ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন। এ বারের আইপিএলেও দেড়শোর গন্ডি পেরিয়েছেন পাঁচ বোলার। চলতি আইপিএলে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে জোরে বল করেছেন লকি ফার্গুসন। পাঞ্জাবের বোলার লখনউয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে একটি বল করেছিলেন ১৫৩.২ কিলোমিটার বেগে। দ্বিতীয় স্থানে জফ্রা আর্চার। রাজস্থানের বোলার গুজরাতের বিরুদ্ধে ১৫২ কিলোমিটার বেগে বল করেছিলেন। পাঞ্জাব ম্যাচেও তিনি ১৫১.৩ কিলোমিটার বেগে বল করেন। কেকেআরের অনরিখ নোখিয়া চলতি আইপিএলে চার বার ১৫০-র বেশি গতিতে বল করেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে। নোখিয়ার বলগুলি ছিল ১৫১.৬, ১৫১.৫, ১৫১.২ এবং ১৫০.৬ কিলোমিটার বেগে। একমাত্র ভারতীয় হিসাবে রয়েছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। গুজরাতের বোলার কেকেআরের বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সে ১৫০.৬ কিলোমিটার বেগে বল করেছিলেন। আইপিএলের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে জোরে বল করেছেন শন টেট। ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বোলার ১৫৭.৭ কিলোমিটারে বল করেছিলেন দিল্লির অ্যারন ফিঞ্চকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles