Saturday, April 19, 2025
spot_imgspot_img

Top 5 This Week

spot_img

Related Posts

বয়স বাড়লে কি নারীর প্রতি ঝোঁক বাড়ে? বিশেষ করে রাজনীতিকদের!‌নারীরাও কি বয়স্ক পুরুষে আস্থা ভরসা বেশি পাচ্ছেন? পার্থ থেকে দিলীপ ভায়া শোভন!‌

‘চিরকুমার’ দিলীপ?‌ আর চিরকুমার নন। কৌমার্য ভঙ্গ। অকৃতদার দিলীপ ঘোষ। আর বৌ?‌ সহযোদ্ধা থেকে সহধর্মিণী। নিউ টাউনের মেয়ে রিঙ্কু। নিউটাউনের বাড়িতেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ এবং প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ ঘোষ। পাত্রী রিঙ্কু মজুমদার। বিজেপি করার সূত্রেই আলাপ দু’জনের। দিলীপের ঘনিষ্ঠমহল সূত্র বলছে, গত লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পর বিষণ্ণ দিলীপকে প্রসন্ন করেন রিঙ্কুই। একসঙ্গে সংসার বাঁধার প্রস্তাব। রিঙ্কু বলেছিলেন, এখন তো তাঁর সঙ্গে কেউ নেই তাই দিলীপের সঙ্গে থাকতে চান। দিলীপ প্রথমে রাজি না-হলেও পরে ভেবেচিন্তে দেখে এবং মা পুষ্পলতা দেবীর পীড়াপীড়িতে রাজি হন। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন দিলীপ ঘোষের মা। লোকসভা নির্বাচনে নাড়ুর হারের পর নিউটাউনের বাড়িতেই থাকেন মা। দিলীপ সংসারধর্ম পালনের কথা ভাবেননি আগে। ধীরে ধীরে কিছু একটার অভাব অনুভব করছিলেন। জীবনের এই বৃত্তটিও পূর্ণ করে ফেললেন। পাকা কথা ইডেনের বক্সে বসে। ৩ এপ্রিল ইডেনে আইপিএলে কেকেআরের ম্যাচ দেখতে দেখতে। ক্লাব হাউসের ১১ নম্বর বক্সে বসে খেলা দেখেন দিলীপ, তাঁর হবু স্ত্রী এবং হবু শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। দিলীপদা বিয়ে করছেন নাকি?‌ দিলীপ বলেন, ‘‘কেন, আমি কি বিয়ে করতে পারি না নাকি? বিয়ে করা কি অপরাধ নাকি?’’ দিলীপের এই বয়সে সাহসী সিদ্ধান্ত বলছেন অনেকেই। সূত্রের খবর, দিলীপের বিয়েতে ব্যাগড়া দিতে সক্রিয় সঙ্ঘ পরিবারের একাংশ। দিলীপ অনড়। সিদ্ধান্ত, অভিনন্দন জানানোর পালা, সবই হয়ে গেছে। সুনীল বনসল এবং সতীশ ধন্দের শুভেচ্ছাও। শুক্রে দিলীপের বাড়িতে অত্যন্ত ঘরোয়া এক অনুষ্ঠানে দিলীপ-রিঙ্কুর চারহাত এক। আড়ম্বরে না। আমন্ত্রিতের সংখ্যাও কম। দিলীপ এবং রিঙ্কুর নিকটজনেরাই আমন্ত্রিত। উত্তর কলকাতা শহরতলির বিজেপির মহিলা মোর্চার পর্যবেক্ষক রিঙ্কু বিবাহবিচ্ছিন্না। গৃহবধূ। রিঙ্কুও দলেরই সদস্য। নিউটাউনের বাসিন্দা। বিবাহ বিচ্ছিন্না মহিলা আবার বছর পঁচিশের এক যুবকের মা। রিঙ্কু-‌পুত্র সেক্টর ফাইভে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরত। সূত্রের খবর, রিঙ্কুর ছেলের সঙ্গেও দিলীপ ঘোষের সম্পর্ক বেশ মধুর। ইডেনের বক্সে রিঙ্কুর পুত্রও ছিলেন ৩ এপ্রিল। মায়ের বিয়েতেও!‌ দিলীপের মা চাইছিলেন, দিলীপ বিবাহ করে সংসারী হোন, যাতে পুত্রবধূর সঙ্গে সময় কাটাতে। দিলীপের জীবন রাজনীতিময়। আগামী বিধানসভা ভোটেও বিজেপির বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী। বৃদ্ধা মায়ের দেখাশোনা করা এবং সঙ্গ দেওয়ার জন্য পরমাত্মীয় রিঙ্কু। দিলীপ-জননী পুত্র গত বছর ষাট পেরোনো ‘নাড়ু’র দেখভাল করতে বেছে দিলেন রিঙ্কুকেই। পাকা কথা হয়েছিল ইডেনের বক্সে কেকেআর-সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচের ফাঁকে। দিলীপের কৌমার্য ভঙ্গ হল অবশেষে। দিলীপ ও রিঙ্কুর পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে চারহাত এক হবে। এখন সংসারী দিলীপ নিজের দার পরিগ্রহ সকলের গোচরে বেশ রসাত্মবোধের অভিপ্রকাশ। পদ্মবনে ফুটল বিয়ের ফুল! প্রাতঃভ্রমণে রিঙ্কু পরিচয় থেকে সংসার। ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ দিলীপ ঘোষ। মধুরেণ সমাপয়েৎ।

পার্থ-‌অর্পিতার সম্পর্ক ‘কাকা-ভাইঝি’র মতো! আদালতে এমনটাই দাবি ছিল পার্থের।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক। এক্কেবারে নাকি ‘কাকা-ভাইঝি’র মতো। দু’জনের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্কও। আদালতে এমনটাই জানিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমানে কারাগারে দিনযাপন করা পার্থের আইনজীবী। ব্যবসায়িক সূত্রেই যোগাযোগ ছিল নিবিড়। অথচ পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি এবং অন্যান্য সংস্থা থেকে যে সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। অপা’ নামে দু’টি সম্পত্তি নিয়ে অভিযোগ। পার্থ শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার আগে কেনা বলেই আদালতে জানিয়েছিলেন আইনজীবী। অর্পিতার জীবন বিমার কাগজপত্রেও তেমনটা লেখা রয়েছে বলে পার্থের আইনজীবী আদালতে উল্লেখ। অর্পিতার কাছ থেকে বিমা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি নথি উদ্ধার হয়েছে। সেই নথিতে অর্পিতার ‘নমিনি’ হিসাবে পার্থের নাম রয়েছে। সম্পর্কের জায়গায় পার্থকে ‘কাকু’ হিসাবে দেখানো হয়েছে। পার্থের বয়স তখন ৭২ বছর। গত প্রায় দু বছর ধরে পার্থ জেলে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়ি থেকে কয়েকটি সংস্থার নাম পাওয়া গেলেও কোনও টাকা বা সোনা পাওয়া যায়নি। অর্পিতার বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে। শিক্ষায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০২৩ এর ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থের বাড়িতে অভিযানে ইডি দীর্ঘ তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে। পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতার টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হয় অর্পিতাকেও। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল। টালিগঞ্জে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট। বেলঘরিয়ার রথতলার কাছে দেওয়ানপাড়ায় অর্পিতার আদি বাড়ি। অর্পিতার মা’‌র বক্তব্য, মেয়ের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা জানতেন। বছর আঠাশের মেয়েটি অভিনয়, মডেলিং করে বলে জানতেন। রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় অর্পিতার। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন মিনতিদেবী। বেশিরভাগ সময় থাকতেন কলকাতায়। এর বাইরে মেয়ের কাজকর্ম বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। রথতলায় একটি অভিজাত আবাসনে দু’দুটো ফ্ল্যাট অর্পিতার। অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাটের একটি পরিমাপ প্রায় পনেরশ বর্গফুট ও আরেকটির পরিমাপ ১৭০০ বর্গফুট। পার্থ এবং অর্পিতার সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন?‌

শোভনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের বাইরেও সুখের ভিত প্রগাঢ় মজবুত?

দাম্পত্য জীবনে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। বিয়ে না করে দুজনের সহবাস নিয়ে কটাক্ষ। আদর্শ সম্পর্কে শোভনের রসায়ন ফুটে ওঠে। বৈশাখী কন্যা মহুলের সঙ্গে শোভনের সু-সম্পর্ক। খুব সহজেই এই ছোট্ট মেয়েটির বাবার জায়গা নিয়েছেন প্রাক্তন মেয়র। অনেকের প্রশ্ন, এই বয়সে এসে কীভাবে প্রেম হল দুজনের! কী পান তাঁরা একে-অপরের থেকে! বৈশাখীর উত্তর ছিল, ‘আমি আর শোভনের কেউই নিজেদের যৌবনে নেই। এই বয়সে এই সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তার পিছনে প্রগাঢ় ভালোবাসা থাকতে হবে। ভালোবাসাটাই থাকতে হবে, কারণ শারীরক সম্পর্কের সুখ তা অনেক আগেই পিছনে ছেড়ে এসেছি।’ বৈশাখীর কথা অনুযায়ী, প্রাক্তন স্বামী মনোজিত নাকি বলেছিলেন, ‘বউ মানে আনপেইড প্রস্টিটিউট’। বৈশাখীকে ভালোবাসে না। ভালোবাসে বৈশাখী নামের অবয়বটিকে। একটা শরীর, সঙ্গে প্রেজেন্টেবল। এমন একটা মানুষের অপেক্ষায় ছিলেন, যে তাঁকে আগলে রাখবে। আর তাই পেয়েছেন শোভনের থেকে। মনোজিতের থেকে ডিভোর্স করফার্ম হয়ে গেছে বৈশাখীর। আদালতে শোভন ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ডিভোর্সের মামলা। এক দশমীর দিনে দুর্গা মায়ের সামনে বৈশাখীর সিঁথি ভরে সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছিলেন শোভন। বৈশাখী বলেছিলেন, ‘‌শারীরিক সম্পর্কের সুখ, তা অনেক আগেই পিছনে ছেড়ে এসেছি। বর্তমান বয়সে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত রাখতে গেলে ভালোবাসা এবং কেবলমাত্র ভালোবাসাই থাকতে হয়। যৌনতার স্থান এর অন্দরে খুবই নগণ্য।’‌

জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে নন্দিনীর পরকীয়ার কথা জানাজানি?‌

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পর নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ করেন খোদ নন্দিনীর স্বামী জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি ছিল, কাউন্সিলর হওয়ার আগে ২০১৭ সালে জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে দার্জিলিংয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন নন্দিনী। কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে ক্রমশ ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন নন্দিনী ও জ্যোতিপ্রিয়। দাবি ২০২১০-এ ভোটে জেতার পরে নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায় ফ্ল্যাট কিনে অন্যত্র চলে যান। তবে সেই সময় তার ফ্ল্যাট কেনার মতো টাকা তাঁর ছিল না বলেই তিনি মনে করেন বলে দাবি করেছেন। পাশাপাশি তিনি এও মনে করেন, ওই ফ্ল্যাটটি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই কিনে দিয়েছিল। পালটা নন্দিনী দাবি করেন স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে তাঁর। বিরোধীরা বলছে, এটাই তৃণমূলের ধর্ম। যেমন ঝাড় তেমন বাঁশ। স্বভাব চরিত্র এরকম না হলে তৃণমূলে টিকা থাকাই মুশকিল। তৃণমূলের পুরুষ নেতারা নারীদের সম্ভ্রমকে এতটুকুই সম্মান করেন। বার বার একই অভিযোগ ওঠায় একথা প্রমাণিত।

পদ্ম ফুলের নেতার বিয়ের ফুল ফুটল একষট্টিতে। প্রবীণ ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ রাজনৈতিক নেতার হৃদয় জিতেছেন একান্নর রিঙ্কু মজুমদার। দু’জনই একই বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা। দিলীপের বক্তব্য, “এ জীবনে সব করেছি, শুধু একটা কাজই বাকি ছিল। মায়ের জন্যই অবশেষে বিয়ের সিদ্ধান্ত।” দিলীপকে মন দেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে রিঙ্কুর উক্তি, ‘‌‘‌অ্যাকচুয়ালি ওঁকে ভালো লাগত। ওঁর বোল্ডনেস, ওঁর ডেসপারেশন, ওঁর দেশাত্মবোধ, সততা… আমার সঙ্গে প্রচুর মিল।” সবদিক থেকেই দিলীপ ঘোষই যে তাঁর জন্য একেবারে সঠিক ‘চয়েস’।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles