‘ফাঁকা আওয়াজ’ অপমৃত্যুর পথে? শিল্ড হাতে ছবি তুলে নিজেই সোস্যল মিডিয়ায় পোস্ট। ফের কাপ হাতে। একই ভাবে। তিনিই দ্বিমুকুট জিতেছেন। শতবর্ষপ্রাচীন ঐতিহ্যে ভাগ বসানোর প্রথম ও প্রধান দাবিদার ও কারিগর তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। দিমিত্রির জাদুতে ভারতসেরা মোহনবাগান। প্রথম এবং প্রধান মোড়োল নবসাজে সজ্জিত। কখনও ধুতি পাঞ্জাবি। আবার সাহেবি কোট-টাই। এই ইতিহাসের সাক্ষী আর কেউ হতে পারবেন? উচ্চকণ্ঠ, উচ্চস্বর, উচ্চশির। প্রশ্ন এখানেই কৃতিত্বের দাবিদার কে? সমর্থকরা? কোচ ফুটবলাররা? কর্মে নিযুক্ত কর্তারা? নাকি স্বয়ং কর্পোরেট সংস্থার কর্ণধার? উত্তরটাই বা দেবে কে? অধিকাংশই দোদূল্যমান। সামনেই নির্বাচন। কোন পক্ষ দুম করে এসে মসনদে বসে পড়বে! কেউ জানে না। সব স্তরেই একই আশঙ্কা। পত্রকারের দল থেকে শুরু করে চতুর্থ পঞ্চম শ্রেণীর কর্তাবৃন্দ। বড় ম্যাচ এলেই পড়ন্তু বেলায় পতিত দম্পতি পত্রকার দন্ত বিকশিত করে হাজির। সে যে পক্ষেরই কর্তা হোন না কেন। সবার সঙ্গেই চুপকে চুপকে বং কানেকশন রাখতেই অভ্যস্থ। আদি অন্তকাল থেকে চলে আসছে। ওই যে দোদূল্যমান চরিত্রের সম্ভার।
আইএসএল লিগ শিল্ড জিতে ১৩৬ বছরের প্রাচীন মোহনবাগান ক্লাব প্রমাণ করল যে, বাঙালির এবং বাংলার গঙ্গাপারের ফুটবল বরাবরই সপ্রতিভ। গত বছরও মোহনবাগান ক্লাব আইএসএল-এর লিগ ও শিল্ড জয়ী সবুজ মেরুন দল। শতবর্ষ প্রাচীন মোহনবাগান ক্লাবের এই ধারাবাহিক সাফল্যের কারণ? প্রথমেই উল্লেখ্য ক্লাবের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আধুনিক পেশাদার ব্যবস্থাপনা। আরপিএসজি গ্রুপের শীর্ষকর্তা সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো নামী পেশাদার ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি মোহনবাগান ক্লাবের বোর্ড অব ডিরেক্টরস-এ। কোচ থেকে শুরু করে ফুটবলার নিয়োগ। সব কিছুই সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন।
মাঠের কর্তৃত্ব কোচের হাতেই সমর্পিত। দল পরিচালনা ভুল হোক বা ঠিক। সবকিছুর দায়ভার কোচ ও মাঠের দায়িত্বে থাকা সার্পোটিং স্টাফেপ উপরই বর্তায়মান। প্রশাসক বা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ করার বিন্দুমাত্র জায়গাই নেই। মোহন দলের কোচ হোসে মলিনা স্বাধীন ভাবে কোচিং করতে সক্ষম হয়েছেন। মোহনবাগানের কোচ হোসে মলিনা-ও আগের কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসের মতো নীরবে কোচিং করতে পেরেছেন। কোনও ম্যাচে দল হেরে গেলেও কোনও অজুহাত দেননি। দলের খেলোয়াড়দের কোনও দোষারোপ করেননি। মোহনবাগানের এই সাফল্য আগামী দিনে তরুণ বাঙালি ভূমিপুত্রদের ফুটবল খেলতে উজ্জীবিত এবং অনুপ্রাণিত করতে পারে বলে মনে করছেন সমর্থককূল, ফুটবল বিশেষজ্ঞরাও।
গঙ্গাপারের আর দু’টি শতবর্ষ প্রাচীন ক্লাব ইস্টবেঙ্গল এবং মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব এ বছর আইএসএল-এ চরম ব্যর্থ। গত কয়েক বছর ধরেই আইএসএল-এ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কোনও সাফল্য নেই। এ বছরও প্রথম ছ’টি দলের মধ্যেও নেই। সার্বিক ব্যর্থতার মূল কারণ অনেক। কলকাতা ময়দানের প্রাচীন ক্লাবে এখনও কোনও পেশাদার ম্যানেজমেন্ট গড়ে না ওঠা। ক্লাবের শীর্ষ স্তরের কর্মকর্তারা এখনও দল পরিচালনা থেকে শুরু করে সব বিষয়ে রীতিমতো মাথা গলিয়ে থাকেন। অথচ কর্তাদের সঙ্গে ফুটবলের দুরত্ব অনেকটাই। দলের বর্তমান কোচ অস্কার ব্রুজোও সম্ভবত দল পরিচালনায় খুব বেশি স্বাধীনতা পাননি। ফলে এ বছর ইস্টবেঙ্গল আইএসএল-এ শেষের সারিতেই বিদ্যমান বলে মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব এ বছর আইএসএল-এ প্রথম খেলছে। বর্তমানে এই দলটি আইএসএল-এর অন্তিম, অর্থাৎ ১৩তম স্থানে। ক্লাবের ব্যবস্থাপনাও চূড়ান্ত অপেশাদার। ক্লাবের কর্মকর্তাদের নিজেদের মধ্যে বিরোধ। দল পরিচালনাতেও ডামাডোল। চূড়ান্ত অব্যবস্থা। দলের সার্বিক সাফল্য আসবে কোন পথে?
সবুজ মেরুন সাফল্যের চাবি। আইএসএল-এ ভারতের প্রথম ক্লাব হিসেবে পর পর দু’বার লিগ-শিল্ড জিতে ভারতসেরা মোহনবাগান। টানা দ্বিতীয় বার জয়। এ বছর মোহনবাগানের অনেক রেকর্ড। যেমন, এর আগে কোনও দল যেখানে পয়েন্ট টেবিলে ৫০-এর গণ্ডি পার করতে পারেনি। মোহনবাগান ২৪ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট পেয়েছে। ২৪ ম্যাচে ১৪ বার ক্লিনশিট। সেট পিসে ২০টা গোল। ৫৭০ মিনিট মোহনবাগান কোনও গোল হজম করেনি। এক মরসুমে সবচেয়ে বেশি জয়। পর পর তিন মরসুম আইএসএল ট্রফি জেতার সাফল্য। সবচেয়ে বেশি হোম ম্যাচ জেতা। মোহনবাগান এ বার নিয়ে পাঁচ বার আইএসএল খেলছে। মোহনবাগান ভারতের একমাত্র দল যারা পাঁচ বারই লিগ টেবিলে প্রথম চারটি দলের মধ্যে ছিল। আইএসএল-এর সবচেয়ে সফল দল মুম্বই সিটি ২০২১-২২ মরসুমে প্রথম চারটি দলের মধ্যে ছিল না। আইএসএল ইতিহাসে অগনিত রেকর্ডেরে অধিকারী মোহনবাগান।
মোহনবাগানের এই ধারাবাহিক সাফল্যের কারণ পেশাদার মানসিকতা। স্বপ্ন না দেখলে সাফল্য পাওয়া যায় না। মোহনবাগানের কোচ হোসে মলিনার ম্যান ম্যানেজমেন্টে দারুণ দক্ষতা। দলকে এক সূত্রে বেঁধেছিলেন বলেই, মোহনবাগান এ বারের আইএসএল-এ ইতিহাস সৃষ্টি করল। মোহনবাগানের সাফল্যের অন্যতম কারণ সঠিক স্কাউটিং এবং শক্তিশালী রিজার্ভ বেঞ্চ। ভাল দল গড়তে গেলে অবশ্যই টাকার দরকার। কিন্তু সেটা কী ভাবে খরচ হচ্ছে, সেটাই আসল ব্যাপার। সেদিকেও মোহনবাগান কর্তাদের কোনও অনুপ্রবেশ না থাকার ফলে সাফল্য তরান্বিত হয়েছে বলে মনে করেন প্রাক্তন ফুটবলাররা।
রাজনীতির রঙে বিভাজিত সমাজে মানবমনে আত্মিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। পরিপার্শ্ব থেকে খুঁজে নেওয়ার জন্য সদর্থক অর্থেই শিক্ষিত-রুচিশীল সংস্কৃতিতে আজন্মলালিত একটা মন থাকা অবশ্য প্রয়োজন। মোহনবাগানের এক সহ সভাপতিতে অসন্তোষ তুঙ্গে। মোহন ময়দানে কান পাতলেই শোনা যায় গালিগালাজের ফুলঝুরি। তবে তিনি কিন্তু ও পক্ষ থেকে স্ব পক্ষে রাখতে তৎপর। মোহন সমর্থকের গালিগালাজের ফুলঝুরি উপেক্ষা করে হলেও জেলখাটা ভিআইপি বলতে একটুও জিব কাঁপে না। মোহন সমর্থক ভিড়ের মাঝেই চিৎকার, ‘চওড়া ছাতি ফুলিয়ে বেড়াচ্ছেন। মনে হচ্ছে উনিই কাপটা জিতিয়ে দিলেন।’ মোহন সমর্থকদের ভিড় থেকে উঠে এল অসংখ্য বাক্যবান। বেশ ঠাহর হয়েছে, নির্বাচনের আগুনে তপ্ত মোহন শিবির। পয়লা বৈশাখে আমন্ত্রণ পেয়েও ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মোহনবাগানের বারপুজো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গরহাজির। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অনুষ্ঠানে ক্রীড়ামন্ত্রী দীর্ঘক্ষণ সময়ও কাটালেন। ক্রীড়ামন্ত্রীর মোহন তাঁবুতে না যাওয়ার সঙ্কেতে অন্য বার্তা? একের পর এক প্রশ্নও উঠছে অনেক?
বছরের প্রথম দিনেই নির্বাচনের ঢাকে কাঠি। প্রশাসনে কি আবার অপর পক্ষকেই দেখা যাবে? মোহন ক্লাবের দায়িত্বে চিরাচরিত প্রথাই আসছে এমন জল্পনা তুঙ্গে। অনেকেই বলছেন, ‘অহংবোধের চওড়া ছাতি এবার নূব্জ হতে চলেছে, এবিষয়ে নিশ্চিত? পয়লা বৈশাখ ময়দানে বারপুজোর দিনেই গুঞ্জন। গোটা ময়দানে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। পাল্লা ভারী ওই দিকেই। আচ্ছা, ‘এই দিক’ আর ‘ওই দিক’টা কী? তবে উনিও প্রস্তুত। সদলবলে মাঠে নামতেই তৈরী। ময়দানের প্রায় অধিকাংশ ক্লাবই অল্পবিস্তর রাজনীতির জটাজালে জড়িত। মোহনবাগানে রাজনীতির লোকেদের আনাগোনা সিংহভাগ। প্রশাসনে ফুটবলার বা ক্রীড়াবিদের সংখ্যা গরিষ্ঠাতা অত্যন্ত লঘু। স্পষ্ট বক্তা ক্রিকেট কর্তার বক্তব্যে স্পষ্ট, ‘সিএবি-র নির্বাচনেও কমবেশী রাজনীতি রয়েছ। কিন্তু মোহনবাগানের ভোটে রাজনীতির লোকেদেরই প্রাধান্য বেশী।’ নাম বলতে শুরু করলে ‘অ’ থেকে ‘ক’। কেউই বাকি নেই। শাসকদলের মন্ত্রী-নেতাদের ভিড় মোহনবাগান প্রশাসনে। ক্লাবের অন্দরের রাজনীতির স্পষ্ট ইঙ্গিত। অনেকেই বলছেন, প্রত্যাবর্তন অবধারিত। কার প্রত্যাবর্তনের কথা শোনা যাচ্ছে বারংবার? তাহলে কী অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন চওড়া ছাতির মালিক?
আইএসএল কাপ জয়ের পর সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে প্রাক্তন সচিব স্বপনসাধন ‘টুটু’ বসুর আবেগঘন বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ। মোহন-সচিব পদের লড়াই আসন্ন। ফিরে আসা নিয়ে ক্লাবের অন্দরে অনিশ্চয়তা নেই বললেই চলে। যতই লম্ফঝম্প, নিজের ছাতি প্রদর্শণ করতে চেষ্টা করে অপমান করার মানসীকতা প্রদর্শণের চেষ্টার দিন শেষ হল বুঝি। অধিকাংশের ইঙ্গিতে স্পষ্ট। প্রত্যাবর্তন বার্তারও সম্ভাবনা জোরাল। একের পর এক সাফল্য। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এ বার দ্বিমুকটও জিতেছে মোহনবাগান। এখনও মরসুম শেষ হয়নি। জাতীয় স্তরে আরও একটা ট্রফিও জেতার সুযোগ রয়েছে। কয়েক দিন পরই শুরু হচ্ছে কলিঙ্গ সুপার কাপ। ধারাবাহিক সাফল্য পেয়ে চলেছে মোহনবাগান।
যদিও একটু পিছিয়ে কয়েক বছর আগের ছবিতে স্পষ্ট, সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে হাত মেলানোর সময় প্রচুর সমালোচনার সামনে পড়তে হয়েছিল মোহনবাগান সভাপতি স্বপন সাধন বোস(টুটু)ও কমিটিকে। সেই সিদ্ধান্ত যে কতটা সঠিক, বারবার প্রমাণিত। আইএসএলে দ্বিমুকুট জিততেই সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে চিঠিতে শুভেচ্ছা জানালেন এবং টিমের সাফল্যের কৃতিত্বও দিলেন টুটু বসু। আইএসএল লিগ শিল্ড এবং আইএসএল নকআউট ট্রফি ক্লাব তাঁবুতে রাখার নাটকীয় পটভুমিকাকে অনেকেই মনে করছেন, মোহনবাগানের বর্তমান শাসক গোষ্ঠী এই জোড়া ট্রফিকে নিজেদের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরে নির্বাচনের বৈতরণী পেরোনোর হাতিয়ার করতে চাইছে? এমন পরিস্থিতিতে মোহনবাগান সভাপতি সমর্থকদের যেন মনে করিয়ে দেওয়া, কৃতিত্বটা আসলে কার? মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে চিঠিতে নানা বিষয়ে লিখেছেন। টুটু বোস চিঠিতে লেখেন, ‘মোহনবাগান ঐতিহাসিক দ্বিমুকুট জিতেছে। খেলার প্রতি আবেগ, টিমের মধ্যে বোঝাপড়া এবং দূরদর্শিতা থাকলেই এমন ধারাবাহিকতা সম্ভব। প্রচণ্ড আনন্দের মুহূর্তে আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই।আমার আরও বেশি আনন্দ হচ্ছে, আমার মাতৃসম ক্লাবকে নিয়ে একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলাম। নানা প্রতিকৃলতার মধ্যেও সে সময় মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস পাশে ছিলেন। তিনি সমর্থন করেছেন। কার্যকরী কমিটি পাশে ছিল। সে কারণেই আপনার সঙ্গে হাত মেলানোর এমন দৃষ্টান্তকারী সিদ্ধান্তটা নিতে পেরেছিলাম। জয় মোহনবাগান।’
ময়দানের বিস্ময়। আইএসএল ফাইনালের ঘটনাপ্রবাহ। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে ফাইনালে আমন্ত্রণ না জানানো। আবার, আমন্ত্রণে বিলম্ব অনুচিত, সম্ভাবনাকেও জোরদার করেছে। আইএসএল কাপ ফাইনাল ম্যাচে জিতে কাপ জিতেছে মোহনবাগান। সেই ম্যাচে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপকে। কলকাতা শহরে একটি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা, অথচ ক্রীড়ামন্ত্রী আমন্ত্রিত নন! অভাবনীয় ঘটনা। সাম্প্রতিক অতীতে ঘটেছে বলে মনে হয় না। আইএসএলের আয়োজক এফএসডিএল, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবের পাশাপাশি মোহনবাগান ক্লাবকেও অভিযুক্ত করা হয়। আনুষ্ঠানিক সৌজন্যটা ক্লাবের দেখানো উচিত ছিল। একটা ফাঁক থেকেই গিয়েছে। অরূপ ফাইনালে যাননি। একপ্রকার ‘বয়কট’ই করেন বলা বাহুল্য। মোহনবাগান সূত্রের দাবি, ‘সচিব নিজে কেন ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাননি? মোহনবাগান সচিবের ক্রীড়ামন্ত্রীকে অবশ্যই আমন্ত্রণ করা উচিত ছিল। এমন ধারণা কেন করলেন?’ মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। ক্রীড়ামন্ত্রী পা রাখলেন না মোহন তাঁবুতে। ক্লাবের অনেকরই মনে স্পষ্ট চিত্র, নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও ফলাফল প্রায় স্পষ্ট। মোহন হাওয়া কোন দিকে? অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচনী বোর্ড ভোটের দিন ঠিক করবেন। সদস্যপদ নবীকরণের কাজ চলমান। নবান্নের রেফারি ইতিমধ্যেই বাঁশি বাজিয়ে দিয়েছেন। এবার, স্কোর বোর্ডে শুধু ফলাফলের অপেক্ষা! মোহনবাগানের মালিক সমর্থকরাই। একজন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলারের কথায় ঔদ্ধত্য আর অতীব অহংবোধ ধীরে ধীরে পতনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের গরিমাতেও আঘাত হানছে। বুঝতেই পারছেনা স্বয়ং। ‘আমিত্বে’র দিন আপাতত অন্তিম পর্যায়ে বলে মনে করছেন অধিকাংশই। চরম অহংবোধ ও ঔদ্ধত্বের দিনও শেষ হতে চলেছে বলে মনে করেন সমর্থকরা।