Saturday, April 19, 2025
spot_imgspot_img

Top 5 This Week

spot_img

Related Posts

মোহনবাগানে সৃঞ্জয় বসুর প্রত্যাবর্তন? মোহন-‌আমন্ত্রণ উপেক্ষা ক্রীড়ামন্ত্রীর!‌বারপুজোর সবুজ মেরুন শিবিরে নির্বাচনের জল্পনা, ইস্টবেঙ্গলে দ্বন্দ্ব লেগেই আছে?‌

মোহনবাগানের এক সহ সভাপতি মঞ্চে উঠতেই গালিগালাজের ফোয়ারা। হাতের মুঠিতে লুচি-‌আলুরদম মুখে তুলতে যাবেন। এমন সময়ই নাম ঘোষনা। ব্যাস!‌ ‘‌জেলখাটা’‌ তকমা জুড়ে মোহন সমর্থকের গালিগালাজের ফুলঝুরি। ইতিউতি থেকে ধেয়ে এল বিপুল সমর্থন। অসংখ্য মোহন সমর্থকের কটাক্ষ জনৈক সহ সভাপতিকে উদ্দ্যেশ্য করে। এক মোহন সমর্থক তো খাবার প্লেটই ফিরিয়ে দিয়ে ঘৃণাভরে বলে বসলেন ‘‌এরকম চোর ছ্যাঁচড়ের নাম শুনলে আর খাবার মুখে তুলতে ইচ্ছা করে। ক্লাবকে ‘‌মা’‌ মনে করি, তাই আসি।’‌ সচিব দেবাশীষ দত্তকেও ছেড়ে কথা বলছেন না অনেকেই। মোহন সমর্থক ভিড়ের মাঝেই শোনা গেল, ‘‌চওড়া ছাতি ফুলিয়ে বেড়াচ্ছেন। মনে হচ্ছে উনিই কাপটা জিতিয়ে দিলেন।’‌ নববর্ষে মোহন সমর্থকদের ভিড় থেকে উঠে এল অসংখ্য বাক্যবান। বেশ ঠাহর হয়েছে, নির্বাছনের আগুনে তপ্ত মোহন শিবির। পয়লা বৈশাখে আমন্ত্রণ পেয়েও ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মোহনবাগানের বারপুজো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গেলেন না। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অনুষ্ঠানে গেলেন ক্রীড়ামন্ত্রী। দীর্ঘক্ষণ সময়ও কাটালেন। ক্রীড়ামন্ত্রীর মোহন তাঁবুতে না যাওয়ার সঙ্কেতে অন্য বার্তা?‌ একের পর এক প্রশ্নও উঠছে অনেক?‌

বছরের প্রথম দিনেই নির্বাচনের ঢাকে কাঠি। প্রশাসনে কি আবার সৃঞ্জয় বসুকে দেখা যাবে? মোহন ক্লাবের দায়িত্বে টুম্পাই আসছেন এমন জল্পনা তুঙ্গে। অনেকেই বলছেন দেবাশীষের ‘‌অহংবোধের চওড়া ছাতি এবার নূব্জ হতে চলেছে, এবিষয়ে নিশ্চিত?‌ পয়লা বৈশাখ ময়দানে বারপুজোর দিনেই গুঞ্জন শোনা গেল। গোটা ময়দানে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। পাল্লা ভারী ময়দানের টুম্পাইয়ের দিকেই, বলছেন অনেকেই। সৃঞ্জয় বলছেন, ‘আমি সারা বছরই সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি, গ্যালারিতে বসে খেলা দেখি। নির্বাচনের জন্যই মাঠে নেমেছি, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই।’ মোহনের বাগানে তাঁর ‘প্রত্যাবর্তন’, তার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করে দিয়েছেন বলেও জানিয়ে সৃঞ্জয় বসু বলেন, ‘ফুটবলের দায়িত্ব এখন সুপার জায়ান্টের। ক্রিকেট, হকি, টেনিসের মতো অন্যান্য খেলার দিকে মন দেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ পাওয়া যাবে। প্রাক্তন খেলোয়াড়দের জন্য অনেক কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ক্লাবের পরিবেশ উন্নতি করতে সচেষ্ট হব।’

ময়দানের প্রায় অধিকাংশ ক্লাবই অল্পবিস্তর রাজনীতির জটাজালে জড়িত। মোহনবাগানে রাজনীতির লোকেদের আনাগোনা সিংহভাগ। প্রশাসনে ফুটবলার বা ক্রীড়াবিদের সংখ্যা গরিষ্ঠাতা অত্যন্ত লঘু। স্পষ্ট বক্তা ক্রিকেট কর্তার বক্তব্যে স্পষ্ট, ‘সিএবি-র নির্বাচনেও কমবেশী রাজনীতি রয়েছ। কিন্তু মোহনবাগানের ভোটে রাজনীতির লোকেদেরই প্রাধান্য বেশী।’ নাম বলতে শুরু করলে ‘‌অ’‌ থেকে ‘‌ক’‌। কেউই বাকি নেই। শাসকদলের মন্ত্রী-নেতাদের ভিড় মোহনবাগান প্রশাসনে। ক্লাবের অন্দরের রাজনীতির স্পষ্ট ইঙ্গিত। সৃঞ্জয়ের প্রত্যাবর্তন অবধারিত। সোমে কালীঘাট স্কাইওয়াকের উদ্বোধনের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক পিছনেই উপবিষ্ঠ সৃঞ্জয়। তৃণমূলের দৈনিক মুখপত্র মুদ্রণের কাজ, সৃঞ্জয়ের সম্পাদিত দৈনিকের ক্ষেত্রেই, যা মোহনবাগানের বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্তের কাছে বেশ অস্বস্তিকর। এখানেও সৃঞ্জয়ের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন বর্তমান সচিব?‌ আইএসএল কাপ জয়ের পর সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে সৃঞ্জয় বসুর বাবা তথা প্রাক্তন সচিব স্বপনসাধন ‘টুটু’ বসুর আবেগঘন বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ। অথচ, দেবাশিস দত্তকে কোনও অভিনন্দন জানানোর তথ্য আপাতত নেই বললেই চলে। মঙ্গলে পয়লা বৈশাখে সৃঞ্জয় বসু ভবানীপুর ক্লাবে বারপুজোয় অংশ নেন। পরিকল্পনামতো এগোলে পরের বছর মোহনবাগানের বারপুজোয় উপস্থিতির সম্ভাবনা যথেষ্ট। সবুজ-মেরুনের নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি জানান দিচ্ছে, দেবাশিসকে হারিয়ে সৃঞ্জয়ের মোহন-সচিব পদে ফিরে আসা নিয়ে ক্লাবের অন্দরে অনিশ্চয়তা নেই বললেই চলে। দেবাশিষ যতই লম্ফঝম্প বা সাংবাদিকদের কাছে নিজের ছাতি প্রদর্শণ করতে চেষ্টা করে অপমান করার মানসীকতা প্রদর্শণের চেষ্টায় রত হোন না কেন, অধিকাংশের ইঙ্গিতে সৃঞ্জয়ের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা জোরাল। একের পর এক সাফল্য। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এ বার দ্বিমুকটও জিতেছে মোহনবাগান। এখনও মরসুম শেষ হয়নি। জাতীয় স্তরে আরও একটা ট্রফিও জেতার সুযোগ রয়েছে। কয়েক দিন পরই শুরু হচ্ছে কলিঙ্গ সুপার কাপ। ধারাবাহিক সাফল্য পেয়ে চলেছে মোহনবাগান। যদিও সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে হাত মেলানোর সময় প্রচুর সমালোচনার সামনে পড়তে হয়েছিল মোহনবাগান সভাপতি স্বপন সাধন বোস (টুটু) এবং সে সময় সচিব পদে থাকা সৃঞ্জয় বোস ও তাঁর কমিটিকে। সেই সিদ্ধান্ত যে কতটা সঠিক, বারবার প্রমাণ হচ্ছে। আইএসএলে দ্বিমুকুট জিততেই সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে চিঠিতে শুভেচ্ছা জানালেন এবং টিমের সাফল্যের কৃতিত্বও দিলেন। আইএসএল লিগ শিল্ড এবং আইএসএল নকআউট ট্রফি ক্লাব তাঁবুতে রাখার নাটকীয় পটভুমিকাকে অনেকেই মনে করছেন, মোহনবাগানের বর্তমান শাসক গোষ্ঠী এই জোড়া ট্রফিকে নিজেদের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরে নির্বাচনের বৈতরণী পেরোনোর হাতিয়ার করতে চাইছে?‌ এমন পরিস্থিতিতে মোহনবাগান সভাপতি সমর্থকদের যেন মনে করিয়ে দিলেন, কৃতিত্বটা আসলে কার?‌ মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে চিঠিতে নানা বিষয়ে লিখেছেন। টুটু বোস চিঠিতে লেখেন, ‘মোহনবাগান ঐতিহাসিক দ্বিমুকুট জিতেছে। খেলার প্রতি আবেগ, টিমের মধ্যে বোঝাপড়া এবং দূরদর্শিতা থাকলেই এমন ধারাবাহিকতা সম্ভব। প্রচণ্ড আনন্দের মুহূর্তে আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই।আমার আরও বেশি আনন্দ হচ্ছে, আমার মাতৃসম ক্লাবকে নিয়ে একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলাম। নানা প্রতিকৃলতার মধ্যেও সে সময় মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস পাশে ছিলেন। তিনি সমর্থন করেছেন। কার্যকরী কমিটি পাশে ছিল। সে কারণেই আপনার সঙ্গে হাত মেলানোর এমন দৃষ্টান্তকারী সিদ্ধান্তটা নিতে পেরেছিলাম। জয় মোহনবাগান।’

ময়দানের বিস্ময়। আইএসএল ফাইনালের ঘটনাপ্রবাহ। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে ফাইনালে আমন্ত্রণ না জানানো। আবার, আমন্ত্রণে বিলম্ব অনুচিত, সম্ভাবনাকেও জোরদার করেছে। আইএসএল কাপ ফাইনাল ম্যাচে জিতে কাপ জিতেছে মোহনবাগান। সেই ম্যাচে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপকে। কলকাতা শহরে একটি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা, অথচ ক্রীড়ামন্ত্রী আমন্ত্রিত নন!‌ অভাবনীয় ঘটনা। সাম্প্রতিক অতীতে ঘটেছে বলে মনে হয় না। আইএসএলের আয়োজক এফএসডিএল, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবের পাশাপাশি মোহনবাগান ক্লাবকেও অভিযুক্ত করা হয়। আনুষ্ঠানিক সৌজন্যটা ক্লাবের দেখানো উচিত ছিল। একটা ফাঁক থেকেই গিয়েছে। অরূপ ফাইনালে যাননি। একপ্রকার ‘বয়কট’ই করেন বলা বাহুল্য। মোহনবাগান সূত্রের দাবি, ‘সচিব নিজে কেন ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাননি? মোহনবাগান সচিবের ক্রীড়ামন্ত্রীকে অবশ্যই আমন্ত্রণ করা উচিত ছিল। এমন ধারণা কেন করলেন?’ মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। ক্রীড়ামন্ত্রী পা রাখলেন না মোহন তাঁবুতে। সচিব দেবাশিস বলেন, ‘‘ওঁর না আসাটা দুঃখজনক। কষ্ট পেয়েছি। এফএসডিএলের অর্থাৎ আইএসএলের আয়োজকের ভুল কাজের খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে। ফাইনালের আয়োজক ছিল এফএসডিএল। আমি এফএসডিএল-কে অনুরোধ করি। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসকেও অনুরোধ করি। সুপার জায়ান্টসের হয়ে বিনয় চোপড়া কথা বলেন। এফএসডিলের বক্তব্য, গত বছর তারা কোনও আমন্ত্রণ পাঠায়নি। তা সত্ত্বেও ক্রীড়ামন্ত্রী এসেছিলেন। যদিও আমি মনে করি, যে রাজ্যে খেলা হচ্ছে, তার ক্রীড়ামন্ত্রীকে অবশ্যই আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল। এটা অনুচিত হয়েছে।’’ ক্লাবের অনেকরই মনে স্পষ্ট চিত্র, নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও ফলাফল প্রায় স্পষ্ট। মোহন হাওয়া কোন দিকে?‌ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচনী বোর্ড ভোটের দিন ঠিক করবেন। সদস্যপদ নবীকরণের কাজ চলমান। নবান্নের রেফারি ইতিমধ্যেই বাঁশি বাজিয়ে দিয়েছেন। এবার, স্কোর বোর্ডে শুধু ফলাফলের অপেক্ষা!‌

ভবানীপুর ক্লাবের বারপুজোয় রাজকীয় মেজাজে হাজির মহারাজ। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ক্লাবের শীর্ষকর্তা সৃঞ্জয় বোস, প্রাক্তন ফুটবলার শিশির ঘোষ এবং সঞ্জয় সেন। আরিয়ান ক্লাবের বারপুজোয় সৌরভ গাঙ্গুলি। মোহনবাগান তাঁবুতেও উপস্থিত ছিলেন ‘‌দাদা’‌ এবং সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশীষ গাঙ্গুলি। ছিলেন আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের মেম্বার অভিষেক ডালমিয়া। সবুজ-মেরুনের বারপুজোয় উপস্থিত ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য্য ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রাক্তন ফুটবলার। প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার কম্পটন দত্ত, বলাই দে, প্রশান্ত চক্রবর্তী ছাড়া আর কোনও প্রাক্তনের উপস্থিতি নজরে পড়ল না। তরুণ তুর্কি দীপেন্দু বিশ্বাসও ছিলেন মোহনবাগানের নববর্ষের অনুষ্ঠানে। মোহনবাগানের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। তবে মহারাজের উপর আচমকা এসে পড়েছে এক বিপত্তি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নবান্ন অভিযানে শামিল করতে চান চাকরিহারারা। ‘দাদা’কে আমন্ত্রণ জানাতে মঙ্গলবার, পয়লা বৈশাখের দিন তাঁর বেহালার বাড়িতে পৌঁছে যান বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চের তিন প্রতিনিধি। হতাশ হতে হয় তাঁদের। বাড়ির সামনের পুলিশকর্মীরা তাঁদের ফিরিয়ে দেন। এমনকী, চিঠিটাও দিতে পারেননি চাকরিহারারা। বিকেলে চাকরিহারাদের তিনজন দেবাশিস বিশ্বাস, শুভদীপ ভৌমিক এবং সত্যজিৎ গিয়েছিলেন বেহালায় মহারাজের বাড়িতে। তাঁদের কথায়, সৌরভ মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ। তাই চাকরিহারারা চেয়েছিলেন যাতে তিনি মধ্যস্থতা করে বৈঠকে ব্যবস্থা করতে পারেন। ২১ এপ্রিলের নবান্ন অভিযানে শামিলের আমন্ত্রণ জানাতেই গিয়েছিলেন। সৌরভের বাড়ির বাইরে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা সাফ জানিয়ে দেন, এভাবে দেখা করা সম্ভব নয়। চিঠিও দেওয়া যাবে না। হতাশ হয়েই ফিরতে হয়।।

ইস্টবেঙ্গলের অশান্তি আর থামছেই না। ফুটবলার ক্লেটন সিলভার সঙ্গে কোচ অস্কার ব্রুজ়‌োর গন্ডগোল তুঙ্গে। বার পুজোর দিনেও সকলের সামনে সেই ঝামেলার পুনরাবৃত্তি। মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন ক্লেটন। গত রবিবার অনুশীলনেও ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে মাঠ ছেড়েছিলেন। এ দিনও বেশি ক্ষণ মাঠে থাকলেন না। সুপার কাপের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। পয়লা বৈশাখের দিন লাল-হলুদে বার পুজোর পর মাঠে অনুশীলনও করে দল। অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন ক্লেটন। সাইড লাইনে অনুশীলন করছিলেন। সেই সময় ইস্টবেঙ্গলের সিটিও অময় ঘোষালকে দেখা যায় ক্লেটনকে কিছু বলতে। এর পরে কোচ অস্কারও বিদেশি ফুটবলারকে কিছু বলেন। তার পরেই মাঠ ছাড়তে দেখা যায় ক্লেটনকে। তাঁর সঙ্গে কোচের কথা কাটাকাটি হয়। ক্লেটনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন শৌভিক চক্রবর্তী। দীর্ঘ দিন ধরেই ক্লেটনের সঙ্গে অস্কারের ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’ চলছে। ক্লেটনকে তাঁর পছন্দ নয়, এ কথা আগে বার বার বুঝিয়ে দিয়েছেন অস্কার। তবে হাতে বিকল্প না থাকায় ক্লেটনকে আইএসএলে খেলিয়েছেন। ইস্টবেঙ্গলের বারপুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোচ অস্কার ব্রুজো, ফুটবলার চুংনুঙ্গা ও নাওরেম মহেশ সিং। ছিলেন শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার সহ অনেকেই। শেষে ক্লাব তাঁবুতে দেখা করে যান ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles