Saturday, April 19, 2025
spot_imgspot_img

Top 5 This Week

spot_img

Related Posts

আইএসএল চ্যাম্পিয়ন দ্বিমুকুটজয়ী মোহনবাগান, সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দলের ক্রিকেট ও ফুটবলে জোড়া জয়ে জোড়া উল্লাস

আইএসএল কাপ ফাইনালে মুখোমুখি মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু এফসি। ঘরের মাঠ যুবভারতীতে দ্বিমুকুট জয় মোলিনার দলের। টক্কর দিতে পারল না সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু। লিগ শিল্ড জয়ের পর কি আইএসএল কাপও সবুজ-মেরুন শিবিরে।ফাইনালে চমক দিতে পারল না জেরার্ড জারাগোজার দল। অতিরিক্ত সময়ে পাঁচ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন জেমি ম্যাকলারেন। বক্সের মধ্যে বল বাড়ান গ্রেগ স্টুয়ার্ট। বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডার চিংলেনসানার ভুল থেকে বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি ম্যাকলারেন। ম্যাচের ৪৯ মিনিটের মাথায় বল বাঁচাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দিলেন বাগানের ডিফেন্ডার আলবের্তো রদ্রিগেস। পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। ৭১ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করেন বেঙ্গালুরুর চিংলেনসানা। পেনাল্টি খেকে মোহনবাগানের হয়ে গোল করতে ভুল করেননি কামিংস। গুরপ্রীতকে পরাস্ত করে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটান। সোনায় মোড়া ইতিহাস আরও উজ্জ্বল। শনিবাসরীয় সন্ধ্যায় যুবভারতীতে হাজার ষাটেক ভক্তের উদ্বেলিত উচ্ছ্বাসে মোহনবাগান কীর্তি। এর আগে আইএসএলের আর কোনও দল পারেনি। ঘরের মাঠে আইএসএল ফাইনাল এর আগে আর কোনও দল জেতেনি। অতীতে এফসি গোয়া, কেরালা ব্লাস্টার্স, বেঙ্গালুরু এফসি হেরেছে। গতবার একই ফল হয়েছে মোহনবাগানেরও। ফেভারিট হয়েও ঘরের মাঠে মুম্বই সিটি এফসির কাছে হারতে হয়েছিল শুভাশিস বসুদের। ইতিহাস বদলানোর চ্যালেঞ্জে জোসে মোলিনার মোহনবাগান ভারত সেরা।

শনিবাসরীয় যুবভারতীর লড়াইয়ে প্রথমার্ধে বেঙ্গালুরু দাপট। এক গোলে পিছিয়ে গিয়েও মোলিনার ছেলেরা হতাশ হননি। বগোল হজম করার পরই সাহাল এবং আশিক কুরুনিয়নকে নামানো ছিল মোলিনার মাস্টারস্ট্রোক। আশিকরা নামতেই গোল হজম করার পরও মুহুর্মুহু আক্রমণ। গ্যালারিতে ষাট হাজার দর্শকের প্রত্যাশা। ৯৬ মিনিটের মাথায় বিশ্বমানের অসি স্ট্রাইকার জেমি ম্যাকলারেন ক্ষিপ্রতার সঙ্গে সানার পা থেকে লুজ বলটা ছিনিয়ে নিয়ে গুরপ্রীতের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে জড়ালেন। মোক্ষম সময়ে দুই অজি স্ট্রাইকারই বুঝিয়ে দিলেন নিজেদের স্তরে। গত ১০ বছরে মোহনবাগান দুটো আই লিগ, একটা ফেড কাপ, একটা ডুরান্ড, দুটো আইএসএল কাপ ট্রফি, দুটো আইএসএল লিগ শিল্ড, একটা কলকাতা লিগ জিতেছে। দেশের আর কোনও ক্লাব এই সাফল্য দাবি করতে পারেনি? বেঙ্গালুরু এফসি, মুম্বই সিটি এফসির মতো কিছু ক্লাব হয়তো সাময়িক সাফল্য পেয়েছে। গত এক দশকে যে ধারাবাহিকতা মোহনবাগান দেখিয়েছে, সেটার ধারেকাছে কেউ নেই। মোলিনা বাহিনী কার্যত অদম্য, অপরাজেয় দলের মতো খেলে গিয়েছে। আইএসএলের ইতিহাসে সর্বাধিক পয়েন্ট, সর্বাধিক জয় এবং সর্বাধিক ক্লিনশিট নিয়ে খেতাবজয় এই মুহূর্তে ভারতীয় ফুটবল সার্কিটে অন্য কোনও দলের পক্ষে অভাবনীয়। আমাদের খুঁজলে পাবে সোনায় লেখা ইতিহাসে…। শুধু গানের কলিতে নয়, গত এক দশকে মোহনবাগানের ইতিহাস বাস্তবেও সোনায় মোড়া।

মোহনবাগানের হয়ে লিগ-শিল্ড জিতেছিলেন আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। আইএসএল কাপ জিততে পারেনি। মোহনবাগান কোচ হয়ে এসে হোসে মোলিনা আইএসএলের লিগ-শিল্ড এবং কাপ দুটোই জেতেন। স্পেনীয় কোচের মুখে হাসি, বললেন, “আমার সঙ্গে ক্লাবের এক বছরের চুক্তি হয়েছিল। যদি লিগ-শিল্ড বা কাপ জিততে পারি তা হলে আরও এক বছর চুক্তি বাড়াবে বলেছিল। দুটোই জিতেছি। এ বার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলে দেখি ওরা আমাকে রাখতে চায় কি না। আশা করি রাখবে। জানি না এটাই আমার কোচিং জীবনের সেরা সময় কি না। তবে আমি এমন একজন কোচ যে প্রতি দিন নিজেকে উন্নত করে। প্রতি দিন আমি কোনও না কোনও ভুল করি এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিই। আপাতত আজকের মুহূর্তটা আমার কাছে সেরা। আশা করি কালকের দিনটা আরও ভাল যাবে। কোচ হিসাবে আমার সেরা সময়টা আসা এখনও বাকি। এর থেকেও ভাল মুহূর্ত উপহার দিতে পারি। এর আগে ২০১৬ সালে এখানে আইএসএল কাপ জিতেছিলাম। এ বার লিগ-শিল্ড এবং কাপ দুটোই জিতেছি। প্রচণ্ড খুশি। আমি একটা জিনিসে বিশ্বাস করি, সবাই একসঙ্গে খুশি করা সম্ভব নয়। কারণ সবাই খেলতে চায়। সেটা সম্ভব নয়। তবে মাঠে নামলে ওরা যাতে সেরাটা দেয় সেটা দেখা আমার কাজ। আজও দেখলেন, পরের দিকে নেমে দিমি কতটা ভাল খেলল। কখনও আপনি হারবেন, কখনও জিতবেন। নর্থইস্টের কাছে ডুরান্ড ফাইনালে হারার পরেই ছেলেদের বলে দিয়েছিলাম নিজেদের উপর বিশ্বাস। আমি সব সময় একটা পদ্ধতিতে বিশ্বাস করি। এই গোটা লিগ, ট্রফি জয় সবই এই পদ্ধতির অন্তর্গত। আপনি সেটায় বিশ্বাস করলে এবং ম্যানেজমেন্ট ও সমর্থকদের পাশে পেলে ফলাফল নিশ্চিত ভাবে পাবেন। আমি কখনও কোনও কিছু তুলনা করতে ভালবাসি না। একটা দলের সঙ্গে আর একটা দলের তুলনা কখনওই করা যায় না। মোহনবাগানের গুণমান আমাদের থেকে ভাল এটা মেনে নিচ্ছি। এত সমর্থকের সামনে খেলাও চাপের। কিন্তু রেফারি যে ভাবে হলুদ কার্ড দেখালেন এবং আমাদের বিরুদ্ধে পেনাল্টি দিলেন সেটা মেনে নেওয়া যায় না। মোহনবাগানের এ রকম সাহায্য দরকার হয় না। এ ভাবে চললে ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি কোনও দিন হবে না। আপনি না জিতলেই অজুহাত খুঁজবেন। আমি অজুহাত দিতে ভালবাসি না। মরসুমের শুরুতে খারাপ খেললেও আমরা কোনও দিন অজুহাত দিইনি। তবে কোনও না কোনও ম্যাচে রেফারিং নিয়ে আমারও হয়তো কিছু বলার ছিল। আমি বলিনি। যেখানে ছিলাম ওখান থেকে বোঝা সম্ভব ছিল না পেনাল্টি ছিল কি না। এখানে বসে সবার সামনে অজুহাত দেওয়া খুব সহজ কাজ।”

সঞ্জীব গোয়েঙ্কা দিনটা খুব ভাল গেল। জোড়া ম্যাচ জিতলেন। দুপুরের ম্যাচে আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের জয়। সন্ধ্যায় আইএসএল কাপ চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। ক্রিকেট ও ফুটবলে গোয়েঙ্কার দু’টি দল খেলতে নামে। দুপুরে ঘরের মাঠে লখনউয়ের জয় গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে। আইএসএল কাপ ফাইনাল খেলা ফুটবলকেই বেছে নিয়ে শনিবার যুবভারতীতে হাজির দলের মালিক। গ্যালারির ৫৯,১১২ দর্শকের মাঝেই বসে খেলা দেখেছেন মালিক স্বয়ং। গোয়েঙ্কার দলের বিরুদ্ধে জিততে পারেননি সুনীল ছেত্রীরা। ১-২ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে বেঙ্গালুরু। মাঠে উল্লাসে মাতেন মোহনবাগান ফুটবলারেরা। ছিলেন কোচ ও সাপোর্ট স্টাফেরাও। গ্যালারিতে সবুজ আবির মাখতে শুরু করেন দর্শকেরা। বাঁধভাঙা উল্লাস। ফুটবলারদের সঙ্গে উল্লাস করতে মাঠে নামেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা নিজেও।

এশিয়ার জনপ্রিয় ফুটবল প্রতিযোগিতা। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ আইএসএল ১১তম সংস্করণ। শুরু হয়েছিল ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪। লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন দল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। আইএসএল কাপ চ্যাম্পিয়ন সবুজ মেরুন ব্রিগেড। কোটি কোটি টাকার পুরস্কার বিতরণ। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এই মরশুমের চ্যাম্পিয়ন। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে শিল্ড জয়ী। টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতে প্রথম দল হিসেবে ইতিহাস গড়েছে। আইএসএল-এর ফাইনালে বেঙ্গালুরুকে হরিয়ে আইএসএল কাপও জিতল মোহনবাগান। আইএসএল পুরস্কার মূল্য আইএসএল কাপ চ্যাম্পিয়ন দল পেল ৬ কোটি টাকা। আইএসএল রানার-আপ দল ৩ কোটি টাকা। আইএসএল প্রতি সেমিফাইনালিস্ট দল ১.৫ কোটি টাকা। আইএসএল শিল্ড বিজয়ী লিগ টপার ৩.৫ কোটি টাকা। ব্যক্তিগত পুরস্কারে হিরো অফ দ্য লিগ ৫ লক্ষ টাকা। গোল্ডেন বুট সর্বোচ্চ গোলদাতা ৪ লক্ষ টাকা।

নতুন মরশুমে দলের বেতন সীমা বাড়িয়ে ১৮ কোটি ২ জন দেশী ও বিদেশী খেলোয়াড়। পূর্বে এই সীমা ছিল ১৬.৫ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ সালের আইএসএলের পুরস্কার। আইএসএল লিগ শিল্ড জয়ী মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। আইএসএল কাপ জয়ী মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। গোল্ডেন বল আলাদিন আজারেই নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের। গোল্ডেন বুট আলাদিন আজারেই নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের। গোল্ডেন গ্লাভসবিশাল কাইথ মোহনবাগানের। এমার্জিং প্লেয়ার ব্রাইসন ফার্নান্ডেজ এফসি গোয়ার। গ্র্যাসরুট অ্যাওয়ার্ড তৃণমূল স্তরে বিকাশ জামশেদপুর এফসির। বেস্ট এলিট ইউথ প্রোগ্রাম পাঞ্জাব এফসি। ২০২৪-২৫ সালের আইএসএলের সর্বোচ্চ গোলদাতা আলাদিন আজারেই নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের করেন ২৩ গোল। সুনীল ছেত্রী বেঙ্গালুরু এফসির করেন ১৪ গোল। জেমি ম্যাকলারেন মোহনবাগান ১২ গোল। জেসুস জিমেনেজ নুনিজ কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি করেন ১১ গোল।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট লিগ আইপিএল দলের পুরস্কার। আইপিএল চ্যাম্পিয়ন ২০ কোটি টাকা। আইপিএল রানার-আপ ১৩ কোটি টাকা। আইপিএল তৃতীয় স্থান ৭ কোটি টাকা। আইপিএল চতুর্থ স্থান ৬.৫ কোটি টাকা। ব্যক্তিগত পুরস্কারে কমলা টুপি অরেঞ্জ ক্যাপ সর্বোচ্চ রান পাওয়া ক্রিকেটার ১৫ লক্ষ টাকা। বেগুনি টুপি পার্পল ক্যাপ সর্বোচ্চ উইকেট অধাকারী ১৫ লক্ষ টাকা। এমার্জিং প্লেয়ার ২০ লক্ষ টাকা। মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার ১২ লক্ষ টাকা। পুরস্কারের বর্ধিত অর্থের অঙ্ক ২০০৮-২০২৫। ২০০৮-০৯ চ্যাম্পিয়ন ৪.৮ কোটি টাকা, রানার-আপ ২.৪ কোটি টাকা। ২০১০-১৩ চ্যাম্পিয়ন ১০ কোটি টাকা, রানার-আপ ৫ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ চ্যাম্পিয়ন ১৫ কোটি টাকা, রানার-আপ ১০ কোটি টাকা। ২০১৬-১৯ চ্যাম্পিয়ন ২০ কোটি টাকা, রানার-আপ ১১-১২.৫ কোটি টাকা। ২০২০ কোভিডে চ্যাম্পিয়ন ১০ কোটি টাকা, রানার-আপ ৬.২৫ কোটি টাকা। ২০২১-২৫ চ্যাম্পিয়ন ২০ কোটি টাকা, রানার-আপ ১২.৫ কোটি টাকা।

হাইভোল্টেজ ম্যাচে ছিলেন না রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কারণ, এফএসডিএল রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আমন্ত্রণ করেনি। যুবভারতীতে বড় কোনও খেলা হলে রাজ্যের প্রতিনিধিদের ডাকা হয়। অতীতে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। ডুরান্ড কাপের উদ্বোধনেও আমন্ত্রণ পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকেও অতীতে বহু খেলায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেশের সেরা টুর্নামেন্টের ফাইনালেই তাঁকে ডাকা হল না? যুবভারতীতেই কয়েকদিন আগে লিগ শিল্ড জিতেছিল সবুজ-মেরুন। সেদিনও পুরস্কার প্রদান মঞ্চে ব্রাত্য ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী। কেন তাঁকে আইএসএল কাপের ফাইনালে আমন্ত্রণ করা হল না, সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্নও। মোহনবাগানের জয়ে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলার দল মোহনবাগানের জন্য আমরা গর্বিত। ফের ইন্ডিয়ান সুপার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য অভিনন্দন। তোমাদের এই জয়কে কুর্নিশ। আমরা তোমাদের জন্য গর্বিত।’

বেঙ্গালুরুর প্রথম একাদশ
গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু (গোলরক্ষক), রাহুল ভেকে, চিংলেনসানা সিং, রায়ান উইলিয়ামস, সুরেশ সিং, আলবার্তো নগুয়েরা, সুনীল ছেত্রী (অধিনায়ক), এডগার মেন্ডেজ, পেদ্রো কাপো, নিখিল পুজারি, রোশন সিং।

মোহনবাগানের প্রথম একাদশ
বিশাল কাইথ (গোলরক্ষক), শুভাশিস বসু (অধিনায়ক), টম অলড্রেড, আলবের্তো রগ্রিগেস, দীপেন্দু বিশ্বাস, অনিরুদ্ধ থাপা(‌‌সাহাল আব্দুল সামাদ‌)‌‌ , লিস্টন কোলাসো (‌‌আশিক কুরুনিয়ন‌)‌‌ , আপুইয়া, মনবীর সিং, জেসন কামিংস, জেমি ম্যাকলারেন। ‌

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles