Saturday, May 24, 2025
spot_imgspot_img

Top 5 This Week

spot_img

Related Posts

ভারতের পায়ে পড়ে গেল পাকিস্তান?‌ যুদ্ধবিরতি হলেও, সন্ত্রাসবাদ নিধন থামছে না! তিন ঘণ্টাও কাটতে দিল না বেইমান পাকিস্তান

পাকিস্তানের ডিজিএমও মেজর জেনারেল কাশিফ আবদুল্লাহ ভারতীয় প্রতিপক্ষ লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাইকে ফোন করেন বলে খবর। গোলাগুলি ও বিমান হামলা বন্ধের প্রস্তাব। জবাবে ভারত রাজি হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সহ শীর্ষ ভারতীয় আধিকারিকদের সঙ্গে কথা। দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে বা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে কোনও কথা হয়নি। অপারেশন সিঁদুরের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে হামলা চালানো এবং পাকিস্তানকে বার্তা, সন্ত্রাসে মদতদাতা হলে নিস্তার নেই।

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্য যুদ্ধবিরতির কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেন, ‘ভারতীয় সামরিক বাহিনীর কারণে পাকিস্তানের বড়সড় ক্ষতি হয়েছে। ওরা সামরিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানোর চেষ্টা করে প্ররোচনা দিয়েছিল। স্থলভূমি এবং আকাশপথে পাকিস্তান বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে স্কারদু, সারগোদা, জেকোবাবাদ, ভোলারির মতো পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ বায়ুঘাঁটি। সেইসঙ্গে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং র‍্যাডারও ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তার ফলে অচল হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানি আকাশসীমার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।’


ভারতীয় সেনার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানের কম্যান্ড ও কন্ট্রোল, লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান ও সামরিক কাঠামোর এতটাই ক্ষতি হয়েছে যে পাকিস্তানের আক্রমণাত্মক এবং প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেইসঙ্গে পাকিস্তানের মনোবলও পুরোপুরি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’ যুদ্ধবিরতি হলেও ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনী ভারতীয় সেনা, ভারতীয় বায়ুসেনা ও ভারতীয় নৌসেনা একেবারেই হালকা ভাবে কোনও কিছু নেবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন ভারতীয় নৌসেনার কমোরোডোর রঘুনাথ কে নায়ার। পাকিস্তান যদি উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করে, তাহলে পালটা জবাব মিলবে। আমাজের মাতভূমির সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর আমরা। পাকিস্তানের প্রতিটি বাড়াবাড়ি পদক্ষেপের পালটা কড়া জবাব দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে উত্তেজনা বাড়ালে কঠোর প্রত্যুত্তর মিলবে। দেশের রক্ষার জন্য যে অভিযান করতে হোক না কেন, সেটার জন্য আমরা সবসময় পুরোপুরি তৈরি থাকি।

ভারতের ‘মার’ খেয়েই সম্বিত ফিরল পাকিস্তানের। শনি বিকেল ৫ টা ৫৬ মিনিটে সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি ঘোষণা করলেন যে গোলাগুলি বর্ষণ-সহ সবধরনের সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদ। ভারতের বিদেশ সচিবের কথায়, ‘আজ দুপুর ৩ টে ৩৫ মিনিটে ভারতের ডিরেক্টর অফ মিলিটারি অপারেশনসকে ফোন করেন পাকিস্তানের পাকিস্তানের ডিরেক্টর অফ মিলিটারি অপারেশনস। তাঁরা রাজি হয়েছেন যে ভারতীয় সময় অনুযায়ী আজ বিকেল পাঁচটা থেকে দু’পক্ষই স্থলভূমি, আকাশ এবং জলে গোলাগুলি ও যাবতীয় সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ রাখা হবে।’ সোমবার ১২ মে বেলা ১২ টায় ফের কথা বলবেন ভারত এবং পাকিস্তানের ডিরেক্টর অফ মিলিটারি অপারেশনস।

পাকিস্তানের আটটি সামরিক ঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করেছিল ভারতীয় সামরিক বাহিনী। অসামরিক বিমানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ৪৮ ঘণ্টায় পাকিস্তান তিনবার ভারতে ড্রোন হামলা চালায়। পালটা হিসেবে পড়শি দেশে পালটা আক্রমণ ভারতেরও। একটা রাতেই শোরকোটের রাফিকি বায়ুঘাঁটি, চকওয়ালের মুরিদ বায়ুঘাঁটি, রাওয়ালপিন্ডির চাকলালা বায়ুঘাঁটি, রহিম ইয়ার খান বায়ুঘাঁটি, সুক্কুর ঘাঁটি, চুনিয়ান সামরিক ঘাঁটি, পসরুর র‍্যাডার, এবং শিয়ালকোটের অ্যাভিয়েশন বেসে ভারত পালটা আক্রমণ চালানোর পরে পাকিস্তানের অবস্থা খারপের দিকে। সুর নরম করে পাকিস্তানের তরফে ভারতকে ফোন। ভারতকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান। রাজি ভারত।

পাকিস্তানি রক্তে বেইমানি! চুক্তি লঙ্ঘন করে আবার ড্রোন হামলা। বিস্ফোরণ শ্রীনগরে। সংঘর্ষবিরতি চুক্তির আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যেই লঙ্ঘন করে ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত লাগোয়া জায়গায় হামলা চালানোর চেষ্টায় পাকিস্তান। শনি সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হতেই শ্রীনগরে জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ। উধমপুর, গুজরাটের কচ্ছ জেলায় পাকিস্তানি ড্রোনের গতিবিধির হদিশ মিলেছে। যেগুলি ধ্বংস করে দিয়েছে ভাকতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তুমুল ক্ষোভপ্রকাশ করে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, ‘সংঘর্ষবিরতি চুক্তির কী হল? শ্রীনগর ছুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে।’ জম্মু ও কাশ্মীর নয়, পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া ভারতের একাধিক জায়গায় ড্রোন হামলার অভিযোগ উঠেছে। জম্মু, পাঠানকোট, কাঠুয়া, রাজস্থানের জয়সলমের, পঞ্জাবের ফিরোজপুর, পঞ্জাবের মোগা, রাজস্থানের বারমেরের মতো জায়গায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাক-আউট’-র পথে হেঁটেছে প্রশাসন। বিভিন্ন জায়গায় শোনা গিয়েছে সাইরেনের শব্দ। কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে সূত্রে খবর। ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছে রাস্তা। পাকিস্তানের নোংরামির জেরে আমেরিকা চরম অস্বস্তিতে। সংঘর্ষবিরতি চুক্তিতে নিজেদের ক্রেডিট নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন ডোনাল্ড ট্রাম্পরা। তিন ঘণ্টাও কাটতে দিল না বেইমান পাকিস্তান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles