টেস্ট থেকে অবসর। ইচ্ছাপ্রকাশ বিরাট কোহলির। বিসিসিআইকে জানিয়েও দেন বিরাট কোহলি। বোর্ড তাঁকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে। সামনেই ইংল্যান্ড সিরিজ। রোহিত টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন। টেস্ট থেকে অবসরের পথে বিরাট কোহলিও। বিসিসিআইকে জানিয়ে দিয়েছেন লাল বলের ক্রিকেট তিনি আর খেলতে চান না। বোর্ড কর্তারা কোহলিকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা বলেছেন। বিরাটও অবসর নিলে ইংল্যান্ডে অভিজ্ঞতার অভাবে ভুগবে ভারতীয় দল। ২০১১ সালে টেস্ট অভিষেক হয় বিরাটের। ১২৩ টেস্টে করেছেন ৯২৩০ রান। শতরান ৩০টি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার এখনই টেস্ট থেকে অবসর নিন, বোর্ড চাইছে না। বোর্ডের কর্তারা কোহলির সঙ্গে কথা বলছেন। ইংল্যান্ড সফরের আগে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার কথা বলছেন। কারণ ইংল্যান্ড সিরিজে কোহলির অভিজ্ঞতা দলের কাজে লাগবে বলেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড মনে করছে। বোর্ডের এক শীর্ষ কর্তা বলেছেন, ‘বিরাট এখনও ফিট। রানের জন্য ক্ষুধার্ত। ড্রেসিংরুমে বিরাটের উপস্থিতি দলকে উদ্ধুদ্ধ করে। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বোর্ডের তরফে বিরাটকে বিষয়টা ভেবে দেখার কথা বলা হয়েছে।’ বিরাট অবশ্য এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। বিরাট ভক্তরাও চাইছেন তিনি যেন এখনই টেস্ট থেকে অবসর না নেন।
ইংল্যান্ড সফরের জন্য দল নির্বাচনী সভায় এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন অজিত আগরকারের নেতৃত্বে নির্বাচক কমিটি। প্রসঙ্গত, ভারত ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট হেডিংলিতে শুরু হবে ২০ জুন। বিরাট না গেলে ইংল্যান্ডে অনভিজ্ঞ দল নিয়ে যেতে হবে ভারতকে। তার উপর রোহিত অবসর নেওয়ায় টেস্টে নতুন নেতা বাছতে হবে। তাই নির্বাচকদের কাজটা অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে। টেস্ট থেকে অবসর নেন রোহিত শর্মা। এবার বিরাটও সেই পথে হাঁটতে চলেছেন। কোহলি এখনও সরকারিভাবে কিছু জানাননি। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য কোহলি রাজি হবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। সামনের মাসেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ। শীঘ্রই টেস্ট সিরিজের দল নির্বাচন। রোহিত নেই। বিরাটও অবসর নিয়ে নিলে নির্বাচকদের দল বাছার কাজটা কঠিনই হবে। বর্ডার গাভাসকার ট্রফির পরেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন বিরাট। রোহিত ও বিরাট আন্তর্জাতিক টি২০ থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছেন। রোহিত বিরাটও একদিনের ক্রিকেটে দু’জনেই আপাতত খেলবেন। সম্ভবত ২০২৭ বিশ্বকাপ অবধি।
সরগরম ক্রিকেট মহল। লাল বলের ক্রিকেটে এবার অবসরের পথে বিরাট কোহলি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের আগেই কোহলি টেস্ট থেকে অবসর নিতে চান। কোহলি অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির চলাকালীন একাধিকবার সতীর্থদের বারবার মনে করিয়ে দেন টেস্ট কেরিয়ার খুব শীঘ্র ‘অবসান’ হতে চলেছে। নেতৃত্ব ফিরে না পাওয়ার হতাশা থেকেই নাকি টেস্টে অবসরের পথে কোহলি। কোহলি যখন সতীর্থদের অবসরের কথা বলেন, সেই সময় প্রায় কেউই গুরুত্ব দেননি। অনেকেই ভেবেছিলেন, তিনি হয়তো মজা করছেন। অসি সফরে টিম ইন্ডিয়াকে ১-৩ ব্যবধানে পরাস্ত হতে হয়েছিল। বিরাট কোহলির কাছেও প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরিতে ৯ ইনিংসে মাত্র ১৯০ রান সংগ্রহ করেন। প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি বিরাট। ‘হতাশা’ থেকেই টেস্ট ক্রিকেট ছাড়তে চেয়েছিলেন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন টিম ইন্ডিয়া। কোহলির অবসর প্রসঙ্গ চাপা পড়ে যায়। ভারতীয় বোর্ডকে জানিয়েছেন লাল বলের ক্রিকেটে অবসর নেওয়ার কথা। বোর্ডের অনেকেই অবাক। নির্বাচকরা ইংল্যান্ড সফরের জন্য কোহলিকে পরিকল্পনায় রেখেছিলেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় ক্রিকেটের স্বার্থে কোহলিকে ইংল্যান্ড সফরে দেখতে আগ্রহী। পরিস্থিতিতে বিসিসিআই ইতিমধ্যেই কোহলিকে বলেছে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে। বল এখন কোহলির কোর্টে। কোহলি নাকি আরও একবার টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। বিসিসিআই সায় দেয়নি। ভারতীয় বোর্ডের লক্ষ্য, ভবিষ্যতের কথা ভেবে তরুণ কোনও ক্রিকেটারের হাতে ক্যাপ্টেনসি ব্যাটন তুলে দেওয়া। তালিকায় সবার উপরে রয়েছে শুভমান গিলের নাম। বিরাট কোহলি টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পাত্র নন। লাল বলের ক্রিকেটে এখনই তাঁকে চার নম্বরে দেখতে না পাওয়া গেলে টিম ইন্ডিয়া সমস্যায় পড়বে।
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার পরিস্থিতিতে দেশের সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়ালেন ভারতের দুই ক্রিকেট তারকা বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা। বিসিসিআইও নিরাপত্তাজনিত কারণে আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত। পাক হামলা রুখে দেওয়ার পর শুক্রবার এক আবেগঘন পোস্টে বিরাট কোহলি লেখেন, ‘এই কঠিন সময়ে আমাদের দেশকে সাহসিকতার সঙ্গে রক্ষা করার জন্য আমাদের সেনাবাহিনীকে শ্রদ্ধা ও কুর্নিশ জানাই। তাঁদের অটল সাহস ও আত্মত্যাগের জন্য আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ। জয় হিন্দ!’ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টটি ভাইরাল মুহূর্তে। লক্ষ লক্ষ মানুষ কোহলির প্রশংসা করেন। দেশের সেনাবাহিনীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভারতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও লেখেন, আমাদের বীর সেনাদের সাহসকে কুর্নিশ। এই অস্থির সময়ে দেশবাসীকে অনুরোধ করছি, শান্ত থাকুন ও সমস্ত সরকারি নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলুন’।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল ভারতে আয়োজন করতে চায় বিসিসিআই। ২০২১ ও ২০২৩ সালে ফাইনাল হয়েছিল হ্যামশায়ার এবং ওভালে। ২০২৫ সালের ফাইনালও হবে ইংল্যান্ড। লর্ডসে খেলবে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। টানা তিনটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল হতে চলেছে ইংল্যান্ডে। একবারও ইংল্যান্ড ফাইনালে যেতে পারেনি। বিসিসিআই আবেদন করতে চলেছে ২০২৫–২৭ সার্কেলের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল যেন ভারতে হয়। জিম্বাবোয়েতে আইসিসির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। যেখানে বিসিসিআই এর তরফে উপস্থিত ছিলেন অরুণ ধুমাল। আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ ২০২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল আয়োজন করার বিষয়ে আশাবাদী বিসিসিআই। বোর্ডকে উদ্ধৃত করে ওই সূত্র জানিয়েছে, ‘আগামী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠলে ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পাবে ভারত। আর ভারত না উঠলেও অন্য দুটো দলের খেলা উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা।’ জয় শাহের জমানায় ভারত যদি এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল আয়োজন করতে পারে তাহলে শাহের মুকুটে একটি নতুন পালক জুড়বে।