Saturday, May 24, 2025
spot_imgspot_img

Top 5 This Week

spot_img

Related Posts

হদয় রক্ষা করার ক্ষেত্রে দায়িত্বান হতেই হবে!‌ নিয়মিত অ্যাভোকাডো খেলে ছুঁতে পারবে না হৃদরোগ!

অ্যাভোকাডো অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। মসৃণ টেক্সচার এবং হালকা স্বাদের। মধ্য আমেরিকা এবং মেক্সিকোর স্থানীয় ফল। বিশ্বের অনেক উষ্ণ অঞ্চলেই এর চাষ। ডিম্বাকৃতির এই ফলটির ত্বক সাধারণত সবুজ বা কালচে সবুজ রঙের। ভেতরে একটি বড় বীজ থাকে। অ্যাভোকাডো ফ্যাট সমৃদ্ধ। এর স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। স্যালাড, স্যান্ডউইচ, ডিপ এবং স্মুদি তৈরিতে অ্যাভোকাডো বহুলভাবে ব্যবহৃত স্বাস্থ্যকর ফল। অ্যাভোকাডো মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভরপুর, যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পায়। লুটেইন এবং জিয়াজ্যান্থিন নামক দু’টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপাদানগুলি বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। অ্যাভোকাডো ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি যেমন ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো অনেক প্রয়োজনীয় ভিটামিনের এবং খনিজ পদার্থের একটি চমৎকার উৎস। এগুলি শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়ক। অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতেও সহায়ক।

সকালের কিছু খাবার নিয়মিত খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে। অজান্তেই শরীরে থাবা বসাবে কোলেস্টেরল। একটি ডিমে প্রায় ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। গবেষণা বলছে ডিমের এই কোলেস্টেরল রক্তের কোলেস্টেরলের উপর ততটা প্রভাব ফেলে না। উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে ডিমের কুসুম পরিহার করা উচিত বা সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। বেকন, সসেজ এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত মাংস খাবারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে সম্পৃক্ত ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল থাকে। নিয়মিত এগুলো খেলে রক্তের এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে। এই ধরনের মাংস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। ফুলফ্যাট মাখন, পনির, দুধ এবং ক্রিম-এ সম্পৃক্ত ফ্যাট কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। পরোটা, লুচি বা অন্যান্য ভাজা খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। বিশেষ করে অস্বাস্থ্যকর তেলে ভাজা হলে কোলেস্টেরলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। নারকেল তেল এবং পাম তেলে সম্পৃক্ত ফ্যাট বেশি থাকে। রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা ও বাজারজাত ভোজ্য তেলে পাম অয়েল মেশানো থাকে।

গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহ। বাড়ছে হিট স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা। শরীর তার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং দ্রুত গরম হতে শুরু করে। সাধারণত ১০৪° ফারেনহাইট বা ৪০° সেলসিয়াসের বেশিতে হিট স্ট্রোক হয়। প্রধান কারণ দীর্ঘক্ষণ ধরে উচ্চ তাপমাত্রা বা আর্দ্রতাপূর্ণ পরিবেশে থাকা এবং অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা। শরীর পর্যাপ্ত ঘাম তৈরি করতে পারে না এবং ভেতরের তাপ বাইরে বের করতে ব্যর্থ হয়। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর দ্রুত চিকিৎসা না করালে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, কিডনি এবং পেশীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে। হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করতে পারে এমন খাবার খাওয়াও অত্যন্ত জরুরি। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে জল প্রায় ৯২% এবং প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইটস থাকে। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়ক। লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে। শসাতেও প্রচুর পরিমাণে জল থাকে এবং এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শসা দামেও কম, খেতে হালকা এবং সহজে হজমযোগ্য, যা গরমে পেটের জন্য আরামদায়ক। শসাতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থও থাকে। গরমে শরীরের ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় রাখা খুব জরুরি। ডাবের জলে প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইটস পটাসিয়াম অন্যান্য খনিজ পদার্থ থাকে যা শরীরকে দ্রুত রিহাইড্রেট করতে সাহায্য করে এবং হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। ঠান্ডা পানীয় না খেয়ে লেবু জল। লেবুতে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। লেবুর শরবত শুধু শরীরকে সতেজই করে না, এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। সামান্য লবণ মেশালে লেবুজল শরীরের ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় রাখতে আরও কার্যকর হয়ে ওঠে। কাঁচা পেঁয়াজে কিছু যৌগ থাকে যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। গ্রীষ্মকালে স্যালাডে বা অন্য খাবারের সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। তবে এর তীব্র গন্ধ অনেকের কাছে অপছন্দের হতে পারে। এগুলি খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে, ডিহাইড্রেশন এড়ানো যায় এবং ইলেক্ট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব।হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles