Friday, April 18, 2025
spot_imgspot_img

Top 5 This Week

spot_img

Related Posts

পুণের ইয়েরওয়াড়া জেলে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় আজমল কসাবকে! ‘আন্ডা সেল’ তাহাউর রানার জন্য বরাদ্দ, কড়া নিরাপত্তায় মোড়া তিহাড় চত্ত্বর

পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ফরিদকোটের বাসিন্দা আজমল কাশব। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর। সেই রোমহর্ষক ঘটনা। লশকর-ই-ত্যায়বা জঙ্গি কসাব ও তার ১০ সঙ্গী মুম্বইয়ে হামলা চালায়। ধরা পড়ে বিচারের গেরোয় আটকে ছিল কাশবের ফাঁসি। ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর। ফাঁসির এক দিন আগে পর্যন্ত আর্থার রোড জেলের ১২ নম্বর ব্যারাকের বিস্ফোরণ প্রতিরোধী ‘আন্ডা সেল’ ছিল কাশবের ঠিকানা। ফাঁসির আগের রাতে বোরখা পরিয়ে সড়কপথে পাঠানো হয়েছিল পুণের ইয়েরওয়াড়া জেলে। সেখানেই ফাঁসি হয় কসাবের। মহারাষ্ট্র কারা দফতর সূত্রের খবর, তিন একরেরও বেশি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত আর্থার রোড জেলের ১২ নম্বর ব্যারাকটি পুরোপুরি আলাদা। কড়া নজরদারি। যাতায়াত নিয়ে কড়াকড়ি। বন্দিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আলাদা রান্না ঘরের ব্যবস্থা। ব্যারাকে মোট তিনটি সেল রয়েছে। তারই মধ্যে একটি ‘আন্ডা সেল’এ রানার আপাতত ঠিকানা। এনআইএ-র হাতে রানাকে তুলে দেয় আমেরিকা। বিশেষ বিমানে দিল্লিতে বৃহস্পতি রাতে পৌঁছতে পারে ২৬/১১-র অন্যতম এই চক্রী রানা। কড়া নিরাপত্তায় দিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে গুলিনিরোধক গাড়িতে করে এনআই-এর সদর দফতরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের পাশাপাশি মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী রানার যাত্রাপথে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না ঘটে, তার জন্য সোয়াট অর্থাৎ স্পেশাল ওয়েপন্স অ্যান্ড ট্যাকটিক্স কমান্ডোও মোতায়েন। গুলিনিরোধ গাড়ি ছাড়াও কনভয়ে একটি মার্কসম্যান সাঁজোয়া গাড়ি সর্ব ক্ষণের জন্য মোতায়েন থাকবে।

এনআইএ-র সদর দফতরেও আঁটসাঁটনিরাপত্তা। ওই চত্বরে সাধারণ মানুষের যাতায়াত আপাত ভাবে নিষিদ্ধ। নিরাপত্তার স্বার্থে এনআইএ-র সদর দফতরের কাছে জওহরলাল নেহরু মেট্রো স্টেশনের ২ নম্বর গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, আমেরিকা থেকে ভারতে যে বিশেষ বিমানে রানাকে নিয়ে আসা হচ্ছে, সেটির যাত্রাপথে নজরদারিতে গোয়েন্দা, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল এবং বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। আমেরিকার সঙ্গে যৌথ ভাবে এই যাত্রাপথের নজরদারি চালাচ্ছেন ভারতের গোয়েন্দারা। গ্রেফতারের ১৬ বছর পর রানাকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে আমেরিকা। ভারতে বিমান নামার পরই সরকারী ভাবে গ্রেফতার করার পর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা অর্থাৎ এনআইএ ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করবে। রানাকে প্রাথমিক ভাবে তিহাড় জেলে রাখা হবে। রানাকে ভারতের প্রত্যর্পণের পুরো প্রক্রিয়াটির নজর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের। এনআইএ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকদের নজরেও ছিল। ৬৪ বছরের রানা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক ডেভিড কোলম্যানের সঙ্গে এক ব্যবসার সূত্রে আলাপ হয় রানার। ২০০৮ সালে মুম্বই বিস্ফোরণের স্থান নির্বাচন করেছিলেন ডেভিড। রানার সঙ্গে হেডলির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এই হেডলি আবার দাউদ গিলানির নামেও পরিচিত। গোয়েন্দাদের দাবি, মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী হল এই হেডলি ওরফে গিলানি একজন মার্কিন নাগরিক। ২০০৮ সালেরই ২৬ নভেম্বর পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর মদতে লশকর-এ-ত্যায়বা মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটায়। ঘটনায় ১৬৬ জন নিহত হয়েছিলেন। জখম অশংখ্য। ২০০৯ সালে শিকাগোয় ধরা পড়েন রানার সাহায্যেই ভারতে আসা ডেভিড। জঙ্গিরা কোন পথে এ দেশে ঢুকে হামলা চালাবে রোডম্যাপ তৈরি করে ডেভিড ও রানা। আমেরিকায় গ্রেফতার রানা।

পাক বংশোদ্ভূত তাহাউরের থেকে দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। বিবৃতিতে পাকিস্তান সাফাই গাইতে মরিয়া যে, ভারতে প্রত্যর্পিত হওয়া তাহাউর বর্তমানে পাকিস্তানের নাগরিক নন। পাক বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতি, “তাহাউর রানা গত দুই দশক ধরে পাকিস্তানি নথিপত্র পুনর্নবীকরণ করেনি। রানা কানাডার নাগরিক, তা স্পষ্ট।” ভারতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলে পাক বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান ব্যবসায়ী তাহাউরের মুখ থেকে মুম্বই হামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা। লস অ্যাঞ্জেলেসের বন্দিশালায় আটক রানার সঙ্গে পাক বংশোদ্ভূত আর এক সন্ত্রাসবাদী ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। হেডলির সঙ্গে মিলেই ২৬/১১-র মুম্বই হামলার বিষয়টি ছকে রানা। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লশকর-এ-ত্যায়বা যোগ মুম্বই হামলার অন্যতম এই চক্রীর। পাকিস্তানেই রানার জন্ম হয়। পাকিস্তান বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান ব্যবসায়ী তাহাউর প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, “বিশ্বের অন্যতম শত্রুকে বিচারের সম্মুখীন হওয়ার জন্য ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত।” ট্রাম্পের ঘোষণায় আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

জয়া রায় সহ এনাইএ-‌র ২ দাপুটে অফিসার রানার প্রত্যর্পণ মিশনের নেতৃত্বে! ইন্টেলের দুঁদে কর্তারা থাকছেন জেরার টিমে। এনআইএর দুই দাপুটে অফিসার জয়া রায়ের নেতৃত্বে পর্দাফাঁস হয়েছিল জামতাড়া কাণ্ডের। তাহাউর প্রত্যর্পণ মিশনের নেতৃত্বের অন্যতম অফিসার। জঙ্গিদের নৃশংস হামলায় নিমেষে রক্ত বন্যা মুম্বইয়ের বুকে। তাহাউর রানা ২০০৮ সালে মুম্বইতে ২৬ নভেম্বর জঙ্গি হামলার এক বছর পর ২০০৯ সালে আমেরিকায় ধরা পড়ে। মুম্বাই হামলার এক বছর পর ২০০৯ সালের অক্টোবরে শিকাগো থেকে রানাকে গ্রেফতার করে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন এফবিআই। আমেরিকা থেকে তাহাউরের প্রত্যর্পণ মিশনের টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন দুই দাপুটে এনআইএ অফিসার, জয়া রায় ও আশিস বত্রা। ঝাড়খণ্ড ক্যাডারের ২০১১ ব্যাচের আইপিএস অফিসার জয়া রায়। এনআইএ-র ডেপুটি ইনসপেক্টর জেনারেল। ২০১৯ সালে কিনি এজেন্সিতে সুপারিন্টেডেন্ট অফ পুলিশের পদে যোগ দেন। চার বছরের জন্য যোগ দিলেও, ডেপুটেশনের মেয়াদ বাড়ে। বর্তমানে তিনি এজেন্সির সিনিয়র। অনেক হাইপ্রোফাইল কেস তাঁর অধীনে। তার মধ্যে একটি হল জামতাড়া। সাইবার অপরাধীদের ধরাশায়ী করা সেই মিশনের টিমের নেতৃত্বে এই মহিলা অফিসার। সেই তদন্ত নিয়ে পরে ওয়েব সিরিজও হয়। আশিস বত্রাও ঝাড়খণ্ড ক্যাডারের আইপিএস। ১৯৯৭ সালের ক্যাডারের সদস্য বর্তমানে এনআইএর ইনসপেক্টর জেনারেল। ২০১৯ সালে তিনিও ডেপুটেশনে এজেন্সিতে যোগ দান করেছিলেন। এনআইএ-তে যোগদানের আগে, বাত্রা ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ঝাড়খণ্ড জাগুয়ার, একটি বিদ্রোহ-বিরোধী ইউনিটের আইজি পদে ছিলেন। ঝাড়খণ্ড পুলিশের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন এবং আইজি অভিযান হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। কর্মসূত্রে তিনি জেহানাবাদ, হাজারিবাগের মতো এলাকাতেও ছিলেন। বহু জেরার মুখে পড়া জঙ্গিকে আয়ত্তে আনা সহজে হবে না। সে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে, কিছু ধোঁয়াশা তৈরী করবে। তাহাউরকে জেরা করতে প্রস্তুত ভারতের একাধিক এজেন্সি। এনআইএর এফিসার, গোয়েন্দা বিভাগের ২ জন অফিসার, ফরেন্সিক সাইকোলজিস্ট, সন্ত্রাস মোকাবিলায় বিশেষ প্রশিক্ষিত টিম জেরা করবে মুম্বই হামলার চক্রী রানাকে। ভারতের মাটিতে ৬৪ বছরের তাহাউরকে এনে, দফায় দফায় জেরা করে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে লস্কর ই তৈবার যোগসূত্রের পর্দাফাঁস করার চেষ্টা করবে এজেন্সি। বহু বছর ধরে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাগাল পাওয়া যায়নি, তাদের খোঁজ করাও হবে টার্গেটের একটি দিক। এছাড়াও জঙ্গি হাফিজ সইদ, জাকি উর রহমান লাকভি, সাজিদ মীরদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করবে এজেন্সি। এই জঙ্গীরা প্রত্যেকেই পাকিস্তানে নিরাপদ বলয়ে গা ঢাকা দিয়ে আছে বলে সূত্রের খবর। তাহাউরের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অভিযোগ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, এছাড়াও খুন, প্রতারণা সহ ইউএপিএর ধারায় একাধিক অভিযোগ।

মুম্বই হামলার মামলায় এনআইএ উকিলের নাম জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে কাজ করত তাহাউর রানা। পরবর্তীতে সেনার চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করে। নিজের একটি অভিবাসন পরিষেবা সংক্রান্ত সংস্থা ছিল। রানার সঙ্গে পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার দীর্ঘদিন ধরেই ভালো সম্পর্ক ছিল। পাশাপাশি অপর জঙ্গি সংগঠন হরকত-উল-জিহাদি ইসলামির (হুজি) সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। এনআইএ জানিয়েছে, পাকিস্তানে থাকা কিছু ষড়যন্ত্রীর সঙ্গে রানা যোগাযোগ রাখতেন। ২০০৮ সালের ২৬/১১ মুম্বই হামলার নেপথ্যে ছিল এই লস্কর-ই-তৈবা। মুম্বই হামলার ঘটনায় মামলা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএর হাই-প্রোফাইল মামলা লড়ার জন্য আইনজীবী নরেন্দর মানকে বিশেষ সরকারি আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকউটর বা এসপিপি হিসাবে নিয়োগ করল অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সংশ্লিষ্ট মামলায় এনআইএ-র হয়ে আদালতে সওয়াল করবেন নরেন্দর মান। মামলার প্রধান দুই অভিযুক্ত তাহাউর রানা ও ডেভিড কোলম্যান হেডলির বিরুদ্ধে সওয়াল করবেন। মামলা চলবে দিল্লির এনআইএ বিশেষ আদালতে। ৩ বছরের জন্য নরেন্দর মানকে এনআইএ-র আইনজীবী হিসাবে নিয়োগ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যত দিন এই মামলা চলবে, তিনিই দায়িত্ব পালন করবেন। মামলা যদি ৩ বছরের আগেই শেষ হয়ে যায়, মানের নিয়োগও সেইসঙ্গে শেষ হবে। ২০০৮ সালের এনআইএ আইন অনুসারে নরেন্দর মানকে সংশ্লিষ্ট সংস্থার আইনজীবী হিসাবে নিয়োগের একইসঙ্গে ২০২৩ সালের ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা বিএনএসএস আইনও ব্যবহার করা হয়েছে। মুম্বই হামলা সংক্রান্ত মামলার শুনানি যত দিন চলবে, ততদিন তাকে তিহাড়েই থাকতে হবে।

রিপোর্টে দাবি, তাহাউরকে তিহার জেলে রাখা হতে পারে। ২৬/১১ র মামলায় প্রসিকিউটার নরেন্দ্র মান। দিল্লি বিমানবন্দরে সকাল ৭ টাতেই হাজির জেল ভ্যান, পাইলট এসকর্ট। এনআইএর ৩ সিনিয়র অফিসার, ৩ জন গোয়েন্দা অফিসার, রবিবারই তাহাউরকে ভারতে আনতে উড়ে গিয়েছিলেন আমেরিকায়। তাহাউর ভারতে আসার আগেই, দিল্লিতে হাইভোল্টেজ বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। বৈঠকে গোয়েন্দা ব্যুরোর পরিচালক তপন ডেকা, বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি এবং এনআইএ পরিচালক সদানন্দ দাতেও উপস্থিত ছিলেন। অমিত শাহ বলেন, ‘‌রানার প্রত্যর্পণ প্রধানমন্ত্রী মোদীর কূটনীতির একটি বড় সাফল্য। মোদী সরকারের প্রচেষ্টা হল ভারতের সম্মান, ভূমি এবং জনগণের উপর আক্রমণকারীদের বিচারের আওতায় আনা। তাকে বিচার এবং শাস্তির মুখোমুখি করার জন্য এখানে আনা হবে। এটি মোদী সরকারের একটি বড় সাফল্য।’

বৃহস্পতি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ রানাকে নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বিমানটি। রানাকে ভারতে ফেরানোর পরে একটি বিবৃতি দিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, ২০০৮ সালের ওই জঙ্গি হানার মূল ষড়যন্ত্রী রানা! বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, “২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হানার মূলচক্রী তাহাউর হুসেন রানাকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ভারতে বিমানটি অবতরণের পরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র আধিকারিকেরা গ্রেফতার করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles