Friday, April 18, 2025
spot_imgspot_img

Top 5 This Week

spot_img

Related Posts

হৃদরোগ থেকে বাঁচতেই হবে! হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগেই ইঙ্গিত দেয় শরীর!

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ। একটি বড় অংশের মানুষের মৃত্যু হয় সঠিক সময় চিকিৎসা না করানোর জন্য। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যদি চিকিৎসা শুরু করা যায় তবে বহু ক্ষেত্রেই রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। অনেকেই হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণগুলি উপেক্ষা করেন। হার্ট অ্যাটাকের কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে। দেখা মাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি হার্ট অ্যাটাকের একটি প্রধান লক্ষণ। বুকের মাঝখানে বা বাম দিকে চাপ, চেপে ধরা, ব্যথা, বা জ্বালা অনুভূত হতে পারে। এই ব্যথা কয়েক মিনিট ধরে স্থায়ী হতে পারে অথবা বারবার হতে পারে। শরীরের উপরের অংশে ব্যথা। বুকে ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের উপরের অংশে যেমন কোনও এক বাহু, ঘাড়, চোয়াল, পেট বা পিঠে ব্যথা হতে পারে। বুকে ব্যথা ছাড়াই বা ব্যথার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। মনে হতে পারে যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে। হৃদযন্ত্র ঠিকমতো কাজ করতে না পারলে দেহে অক্সিজেন সরবরাহ হ্রাস পায়। ফলে শ্বাসকষ্ট হয়। অনেকের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের সময় বমি বমি ভাব বা বমি হতে দেখা যায়। অতিরিক্ত ঘাম। কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে ঠান্ডা ঘাম হতে পারে। সঙ্গে মাথা ঘোরা বা হালকা মাথাব্যথা অনুভূত হতে পারে। অস্বাভাবিক ক্লান্তি। হঠাৎ করে খুব বেশি দুর্বল বা ক্লান্ত লাগতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছু ভিন্ন লক্ষণ। পেটে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, বা চোয়ালে ব্যথা। লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনওটি অনুভব করলেই দেরি না করে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে যাওয়া উচিত। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করলে জীবন বাঁচানো সম্ভব। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে এবং সবসময় হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত নাও দিতে পারে। এই লক্ষণগুলো অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

তীব্র গরমে যে কোনও সময় হৃদরোগ হতে পারে। বাইরের রোদ চল্লিশ ছুঁই ছুঁই গরম। জলশূন্যতা কিংবা ত্বকের ক্ষতির মতো সমস্যা। হিটস্ট্রোক এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যাও। গরমকালে এমন কিছু খাবার খাওয়া বাঞ্ছনীয় যেগুলি হার্টকে ভাল রাখবে। গরমকালে টমেটো খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখে। গরমকালে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম বের হয়, যার ফলে ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে। টমেটোর মধ্যে প্রায় ৯৫% জল থাকে। গরমকালে টমেটো খেলে শরীরের জলের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে। শরীরকে সতেজ ও হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। গরমকালে সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বকের ক্ষতি হয়। দেখা দিতে পারে সানবার্ন, ট্যানিং এবং ত্বকের কোষ নষ্ট হওয়ার মতো সমস্যাও। টমেটোর মধ্যে লাইকোপিন নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষকে সূর্যের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখে। নিয়মিত টমেটো খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রণ এবং কালো দাগ কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। গরমকালে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ এবং রোগের প্রকোপ বাড়ে। টমেটো ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম করে তোলে। নিয়মিত টমেটো খেলে শরীর দুর্বল হওয়া বা ক্লান্ত লাগার মতো সমস্যাও কমে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। টমেটোর মধ্যে পটাসিয়াম এবং লাইকোপিন থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং লাইকোপিন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অনেকের অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই নিয়মিত টমেটো খেলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে। হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গরমকালে অনেক সময় হজমের সমস্যা দেখা দেয়। টমেটোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করে। টমেটোর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক অ্যাসিড খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।

হার্ট ভালো রাখার জন্য দারুন উপকারী পেস্তা বাদাম। ‘পিসতাশিয়া ভেরা’ নামক গাছের বীজ, যা মধ্যপ্রাচ্য এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে বেশি জন্মায়। ভৌগোলিক দূরত্ব পেরিয়ে এখন এই পেস্তা বাদাম বাঙালির রান্নাঘরেও পৌঁছে গিয়েছে। পেস্তার একটি শক্ত খোলস থাকে এবং এর ভেতরের সবুজ রঙের অংশটি খাওয়া হয়। পেস্তা বাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। পেস্তা বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি ভিটামিন বি৬, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং থিয়ামিনের ভাল উৎস। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পেস্তা বাদামে লুটেইন এবং জিয়াজ্যানথিন নামক দুটি ক্যারোটিনয়েড থাকে। এই উপাদানগুলো চোখের ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত পেস্তা বাদাম খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। হজমক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পেস্তা বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। পেস্তা বাদামে ক্যালোরি তুলনামূলকভাবে কম এবং ফাইবার ও প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। এটি খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে, ফলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের প্রবণতা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হয়। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। পেস্তা বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যেমন মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাসিয়াম থাকে। এই উপাদানগুলো খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।

হৃদয় বাঁচাতে কিউই ফল। বাঙালির বেশ পরিচিত। ভেতরে সবুজ আর ছোট ছোট কালো বীজ ছড়ানো ফল দেখতেও বেশ আকর্ষণীয়। কিউইর মিষ্টি-টক স্বাদ যেমন মনকে সতেজ করে তোলে, তেমনই ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং ফাইবার সহ অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল। নিউজিল্যান্ডে এই ফলের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হওয়ার পর থেকে এটি বিশ্বজুড়ে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু হওয়ার কারণে কিউই এখন প্রায় সব দেশেই পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে: কিউইতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই ফল শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। হজমক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে অ্যাক্টিনিডিন নামক একটি বিশেষ এনজাইম থাকে, যা প্রোটিন হজম করতে সাহায্য করে। ফলে খাবার সহজে হজম হয় এবং পেট পরিষ্কার থাকে। চোখের জন্য ভাল। কিউইতে লুটেইন এবং জেক্সানথিন নামক দু’টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এগুলো চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কিউইতে ফাইবার, পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। ত্বকের জন্য উপকারী। ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বককে ফ্রি র‍্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। ত্বক আরও উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়।

ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল ক্রনিক অসুখ। পিছু নেয় হার্টের রোগ, নিউরোপ্যাথি সহ আরও নানা জটিল সমস্যা। যার জন্য বেশ কিছু খাবারকে খাদ্যতালিকায় রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। কারিপাতা তারই মধ্যে অন্যতম। দক্ষিণের রান্নাঘরের রানি। বাংলার হেঁশেলেও এই পাতা বেশ জনপ্রিয়। পোহা, উপমা থেকে ভিন্ন স্বাদের ডাল সহ বিভিন্ন রান্নায় কারিপাতা ব্যবহার করেন বাঙালিরা। এই পাতার রয়েছে অজস্র গুণ। খালি পেটে কারিপাতা চিবিয়ে খেলে একাধিক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। সুগারের রোগীদের জন্য কারি পাতা খুবই কার্যকরী। শরীরে গ্লুকোজ উৎপাদনে বাধা তৈরি করে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে কারিপাতা। এই পাতার নির্যাস ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি প্রতিরোধ করতে পারে। কোলেস্টেরল বশে থাকে। কারিপাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। শরীরে ফ্রি র‌্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই উপাদানটি। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বশে থাকলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা ‘এল়ডিএল’ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ‘এইচডিএল’ বা ভাল কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তুলতে উদ্দীপকের মতো কাজ করে। খালি পেটে কারিপাতা খাওয়ার অভ্যাস কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্যেও ভাল, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়। কারিপাতায় রয়েছে ফাইবার ও অ্যালকালয়েডস। যা হজমের জন্য উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে। খালি পেটে নিয়ম করে কারিপাতা খেলে সারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। সঙ্গে শরীরে মেটাবলিজম ঠিক রাখতেও সাহায্য করবে। শরীর থেকে টক্সিন ও অপ্রয়োজনীয় মেদ দূর করতে ম্যাজিকের মত কাজ করে কারিপাতা। এই পাতার বেশ কিছু উপাদান স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। খালি পেটে কারিপাতা খেলে খিদে নিয়ন্ত্রণে থাকে। ঘন ঘন খাওয়ার প্রবণতা থাকে না। ভিটামিন এ থাকার জন্য কারি পাতা খালি পেটে খেলে চোখের স্বাস্থ্য উন্নত হয়। এর বিটা ক্যারোটিন ক্যাটারাক্ট ও অন্যান্য সমস্যার সঙ্গে শরীরকে যুঝতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত ভাল থাকে। এই পাতার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি ও সি চুল ও ত্বকের জেল্লা ফেরাতেও খুবই উপকারী।

শরীরকে ফিট রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা দরকার। সুস্থভাবে বাঁচার জন্য শরীরচর্চার বিকল্প নেই। আর যে কোনও ধরনের ব্যায়ামের মধ্যে কার্ডিও শরীরের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। ওজন কমানোর সঙ্গেই হার্টের সুস্থতার জন্যও কার্ডিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও কার্ডিও ওয়ার্কআউট করলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে, উন্নত হয় স্মৃতিশক্তি, ‘গুড’ কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনের জন্য কার্ডিং ছাড়া গতি নেই। হাঁটা এবং দৌড়ানো এই দুটিই মূলত কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যে উপকার পেতে বেশি কার্যকরী দৌড়ানো। গবেষণার তথ্য বলছে, যারা নিয়মিত দৌড়ান তাঁদের অন্যান্যদের তুলনায় ৪৫ শতাংশ হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে। এমনকী নিয়মিত ধীর গতিতে পাঁচ থেকে দশ মিনিট দৌড়ালেও হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। অন্যদিকে, হাঁটাও একইভাবে সমান উপকারী। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ছয় বছর টানা হাঁটার অভ্যাস উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। হাঁটার সঙ্গে দৌড়ানোর মূল পার্থক্য হল, দৌড়ালে কম সময়ের মধ্যে বেশি ক্যালোরি বার্ন হয়। যেখানে হাঁটলে একই পরিমাণ ক্যালোরি বার্ন করতে বেশি সময় ব্যয় করতে হয়। ওজন কমাতে প্রতিদিন দৌঁড়তে হবে তা কিন্তু নয়। বরং হেঁটেও ওজন কমানো যায়। দৌড়ানোর ফলে শরীরে ক্যালরি দ্রুত বার্ন হয় ঠিকই। ফলে মেদও ঝরে তাড়াতাড়ি। কিন্তু পরে দৌড়ানো বন্ধ করে দিলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর হাঁটা না দৌড়ানো, কোনটায় আপনি বেশি উপকার পাবেন, তা ব্যক্তিবিশেষে আলাদা হয়। বিশেষত যে কোনও মানুষের সার্বিক সুস্থতার উপর তা নির্ভর করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles