Thursday, April 17, 2025
spot_imgspot_img

Top 5 This Week

spot_img

Related Posts

ইডেনে ‘‌পিচবুক’‌ বিতর্কের মাথাচাড়া!‌ স্পষ্ট কথা সিএবি প্রেসিডেন্টের!‌ কেকেআরের হারে রাহানের দোষারোপ, সাফ জবাবে ধুয়ে দিলেন সুজনও

লখনউ সুপার জায়ান্টস: ২৩৮/৩ (পুরান ৮৭*, মার্শ ৮১, হর্ষিত ৫১/২)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২৩৪/৭ (রাহানে ৬১, ভেঙ্কটেশ ৪৫, শার্দূল ৫২/২)
৪ রানে জয়ী লখনউ সুপার জায়ান্টাস

নাচতে না জানলে উঠোনের দোষ। ম্যাচে হার। যত দোষ ফের পিচের। বিস্ফোরক রাহানে। পালটা তির ছুঁড়লেন সুজন মুখার্জ্জী। ইডেনের পিচ বিতর্ক। চলতি মরশুমের শুরু থেকেই। জিতলে কোনও সমস্যা নেই। হাসিমুখে সবই পিচই ভালো। হারলেই পিচ বিতর্ক! চলতি মরশুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বুলি। মঙ্গলে লখনউ সুপার জায়ান্টাসের বিরুদ্ধে হারের পর নাইট অধিনায়ক রাহানে বিঁধলেন ইডেনের ২২ গজকেই! ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে রাহানের কথায়, ইডেনের পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় বড্ড বেশি প্রচারের আলো পছন্দ করেন। সুজনও ছেড়ে কথা বলার মানুষ নন। এবার, টিট ফর ট্যাট। লখনউ ম্যাচেও স্পিন চেয়েছিলেন রাহানেরা। মঙ্গল ইডেনে সেই ঘূর্ণি নেই। সানরাইজার্স ম্যাচের তুলনামূলক ঘূর্ণি বেশী। টি-২০ ক্রিকেটের নিরিখে পিচ একেবারে আদর্শ। দুই ইনিংস মিলিয়ে ২৭০-এর বেশি রান। দর্শকরাও খেলা উপভোগ করলেন। নাইট অধিনায়কের পিচ পছন্দ হয় নি। ম্যাচ শেষে রাহানের কথায়, “আমি যদি পিচ নিয়ে কিছু বলি সেটা নিয়ে বিরাট বিতর্ক হবে। আসলে ইডেনের পিচ কিউরেটর প্রচারে থাকতে পছন্দ করেন।” রাহানে প্রত্যুত্তরে সুজনের শ্লেষের সুর, “মানুষ তো খেলা দেখেছে। তাঁরাই বিচার করবেন পিচ কেমন হয়েছে।”

পিচ বিতর্কে সুজনের পাশে থাকলেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলি স্পষ্ট জবাব দিয়ে বলেন, ‘দর্শক তো এরকম ম্যাচই দেখতে চায়’। গতবারও তো এই পিচ ছিল বলেই স্পষ্ট দাবি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের। ম্যাচ হারলেই নাইট অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে একরাশ তোপ দাগেন। সোজাসুজি নিশানা করেন পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়কে। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‌‘‌ইডেনের পিচ অসাধারণ। এই মাঠে এক ম্যাচে ৪৭০-র উপর রান ওঠা, সেটাই প্রমাণ করে। একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, সেটা আইপিএল হোক বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ, লোকে কেন দেখবে? দারুণ ব্যাটিং হবে, দুর্দান্ত কিছু ছয় দেখা যাবে- সেটাই তো টি-টোয়েন্টি ম্যাচকে উপভোগ্য করে তোলে। এই মানসিকতা নিয়েই সবাই টি-টোয়েন্টি দেখে। কেকেআর এখানে ১৮ বছর খেলছে। গতবার ৭টার মধ্যে পাঁচটা হোম ম্যাচ জিতেছে। গতবারও তো একই পিচ ছিল। গত তিন ম্যাচে এখানে খুব ভালো ব্যাটিং দেখা গিয়েছে। লখনউ ম্যাচও সবাই উপভোগ করেছে। আমাদের পিচ কিউরেটর যথেষ্ট অভিজ্ঞ। বিগত সময়ে আমরা একাধিকবার সেরা মাঠের পুরস্কার পেয়েছি। আমরা কেন এতে নাক গলাব? রাহানে কী বলেছে আমি জানি না। যদি সিএবি’কে নিয়ে বলে থাকে, তাহলে ভাবব এই নিয়ে মন্তব্য করব কি করব না।”

চলতি মরশুমের সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় ইডেনের পিচ। প্রথম ম্যাচে আরসিবির বিরুদ্ধে হারের পরই রাহানের নিশানা কিউরেটর সুজন মুখার্জ্জী। নাইট অধিনায়ক বলেই বসেন, বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি হোম অ্যাডভান্টেজ পেলেও কেকেআর বঞ্চিত। নাইটদের দাবি, র‍্যাঙ্ক টার্নার না হলেও পিচে টুকটাক ঘূর্ণি অন্তত থাকা উচিত। সুজনের স্পষ্ট জবাব, ফ্র্যাঞ্চাইজির দাবি মতো পিচ বানাতে তিনি বাধ্য নন। পরে সিদ্ধান্ত বদল। সানরাইজার্স ম্যাচে নিজেদের মতো পিচ নাইটদের। ম্যাচ অনায়াসে জিতে রাহানেরা পিচের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেন নি।

লখনউ ম্যাচেও স্পিন চেয়েছিলেন রাহানেরা। মঙ্গল ইডেনে সেই ঘূর্ণি নেই। সানরাইজার্স ম্যাচের তুলনামূলক ঘূর্ণি বেশী। টি-২০ ক্রিকেটের নিরিখে পিচ একেবারে আদর্শ। দুই ইনিংস মিলিয়ে ২৭০-এর বেশি রান। দর্শকরাও খেলা উপভোগ করলেন। নাইট অধিনায়কের পিচ পছন্দ হয় নি। ম্যাচ শেষে রাহানের কথায়, “আমি যদি পিচ নিয়ে কিছু বলি সেটা নিয়ে বিরাট বিতর্ক হবে। আসলে ইডেনের পিচ কিউরেটর প্রচারে থাকতে পছন্দ করেন।” রাহানে প্রত্যুত্তরে সুজনের শ্লেষের সুর, “মানুষ তো খেলা দেখেছে। তাঁরাই বিচার করবেন পিচ কেমন হয়েছে।” কেকেআরের হার। সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় এই বিষয়ে কোনও কথা বলতেই নারাজ।

নাইটদের পরাজয়। জিতল লখনউ সুপার জায়ান্টস। রানের পাহাড় টপকাতে পারল না নাইট রাইডার্স। লড়াকু ব্যাটিংয়েও ইডেনে লখনউয়ের কাছে ৪ রানে হার নাইটদের। হারের সরণিতেই ফিরল শাহরুখ খানের দল। ইডেনে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় কেকেআর। দলে মইন আলির জায়গায় এসেছিলেন স্পেনসর জনসন। ৩ ওভারে ৪৬ রান দিলেন অসি পেসার। ২ উইকেট নিলেও দেদার রান দিলেন হর্ষিত রানা। মার্শ-পুরান ঝড়ে কার্যত দিশেহারা নাইট বোলিং। মার্শ ৮১। পুরান অপরাজিত ৮৭ রান। মার্করাম ৪৭ রান। ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রান করে লখনউ।

পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে নাইটদের ইনিংসেও তুফান। আকাশ দীপের প্রথম ওভারেই উঠল ১৬ রান। নাইট ওপেনার কুইন্টন ডি’কক ভালো শুরু করেও ৯ রান করে ফিরে গেলেন। সুনীল নারিন ১৩ বলে ৩০ রান করেন। অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে ৩৫ বলে ৬১ রান মারেন ৮টি চার ও ২টি ছয়। যোগ্য সঙ্গ দেন ভেঙ্কটেশ আইয়ারও। অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের জুটিতে একটা সময় জয়ের হাতছানি নাইটদের। ২৩ রানে পড়ল ৫ উইকেট। রমনদীপ সিং ফিরলেন মাত্র ১ রানে। তরুণ তুর্কি অঙ্গকৃষ রঘুবংশী রান পেলেন না। রাসেল রানের দেখা নেই। শেষবেলায় রিঙ্কু লড়লেন। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৪ রান। নাইটদের ইনিংস শেষ ২৩৪ রানে। ৪ রানে হার নাইটদের।

সুপার স্ট্রাইকার্স অফ দ্য ম্যাচ রিঙ্কু সিং পেলেন ১ লক্ষ টাকা ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৫ বলে অপরাজিত ৩৮ রান। ২৫৩.৩৩ স্ট্রাইক রেট। ফ্যান্টাসি কিং অফ দ্য ম্যাচ নিকোলাস পুরান জেতেন ১ লক্ষ টাকা। লখনউ সুপার জায়ান্টসের ক্যারিবিয়ান তারকা নিকোলাস পুরান ৭টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে অপরাজিত ৮৭ রান করেন। ১টি ক্যাচ নেন। সুপার সিক্সেস অফ দ্য ম্যাচ নিকোলাস পুরান ১ লক্ষ টাকা। ৩৬ বলে অপরাজিত ৮৭ রানের দাপুটে ইনিংসে ৮টি ছক্কা মারেন পুরান। অন-দ্য গো ফোরস অ্যাওয়ার্ড অজিঙ্কা রাহানে পান ১ লক্ষ টাকা। কেকেআরের ক্যাপ্টেন অজিঙ্কা রাহানে ম্যাচে দু’দলের সব ব্যাটারদের মধ্যে সব থেকে বেশি চার মারেন। ৩৫ বলে ৬১ রানে ৮টি চার মারেন। গ্রিন ডট বলস অফ দ্য ম্যাচ আবেশ খান জেতেন ১ লক্ষ টাকা। লখনউ সুপার জায়ান্টসের ভারতীয় পেসার আবেশ খান ম্যাচে দু’দলের সব বোলারদের মধ্যে সব থেকে বেশি ডট বল করায় গ্রিন ডট বলস অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার জিতে নেন। ৪ ওভার বল করে ৪৫ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন, ১০টি ডট বল করেন। প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ নিকোলাস পুরান জেতেন ১ লক্ষ টাকা। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ইডেনে বিধ্বংসী হাফ-সেঞ্চুরিতে লখনউয়ের নিকোলাস পুরানের ৭টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৩৬ বলে অপরাজিত ৮৭ রান করেন।

আইপিএলে তৃতীয় হার কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ঘরের মাঠে লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে হারের ফলে পয়েন্ট টেবলেও নেমে গেলেন অজিঙ্ক রাহানেরা। কেকেআরের নেট রান রেটও বেশ খারাপ। প্রথম চারে চলে এলেন ঋষভ পন্থেরা। ইডেনে হারের পর পয়েন্ট তালিকায় পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেল কেকেআর। পাঁচ ম্যাচের পর রাহানেদের পয়েন্ট ৪। নেট রান রেট -০.০৫৬। পাঁচ ম্যাচে তিনটি জয়ে লখনউয়ের পয়েন্ট ৬। তারা রয়েছে চতুর্থ স্থানে। পন্থদের নেট রান রেট ০.০৭৮। কলকাতা-লখনউ ম্যাচের পর আইপিএলের পয়েন্ট টেবলে শীর্ষে দিল্লি ক্যাপিটালস। তিনটি ম্যাচ খেলে তিনটিই জিতেছেন অক্ষর পটেলরা। পয়েন্ট ৬। নেট রান রেট ১.২৫৭। দ্বিতীয় স্থানে গুজরাত টাইটান্স। শুভমন গিলেরা চারটি ম্যাচ খেলে তিনটি জিতেছে। পয়েন্ট ৬। দিল্লির থেকে নেট রান রেটে পিছিয়ে গুজরাত। শুভমনদের নেট রান রেট ১.০৩১। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুও চারটি ম্যাচ খেলে তিনটিতে জয় পেয়েছে। রজত পাটিদারদের পয়েন্ট ৬। তাঁদের নেট রান রেট ১.০১৫। পয়েন্ট তালিকায় কলকাতার ঠিক আগে পঞ্চম স্থানে পাঞ্জাব কিংস। তিনটি ম্যাচ খেলে দু’টি জেতেছেন শ্রেয়স আয়ারেরা। পয়েন্ট ৪। নেট রান রেট ০.০৭৪। সপ্তম স্থানে রাজস্থান রয়্যালস। চারটি ম্যাচ খেলে দু’টি জিতেছেন সঞ্জু স্যামসনেরা। সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। নেট রান রেট -০.১৮৫। অষ্টম স্থানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। হার্দিক পাণ্ডিয়ার দল পাঁচটি ম্যাচ খেলে একটি জিতেছে। পয়েন্ট ২। নেট রান রেট -০.০১০। নবম স্থানে চেন্নাই সুপার কিংস। রুতুরাজ গায়কোয়াড়েরা চারটি ম্যাচের একটিতে জয় পেয়েছেন। পয়েন্ট ২। নেট রান রেট -০.৮৯১। পয়েন্ট তালিকায় শেষ তথা দশম স্থানে রয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্যাট কামিন্সের দল পাঁচটি ম্যাচ খেলে একটি ম্যাচে জয়এ পয়েন্ট ২। নেট রান রেট -১.৬২৯।

টিফো ইডেন গার্ডেন্সও। কেকেআরের ম্যাচে অভিনব টিফো হাওড়ার নাইট ভক্তদের। ‘এসআরকে রয়্যালস হাওড়া’ ইডেনের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় টিফো তৈরি করছে। থ্রি-ডি টিফোর মধ্যমণি শাহরুখ খান। জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘মানি হাইস্ট’-এর সূত্র ধরে তৈরি। টিফোতে নাইট রাইডার্সের ইতিহাস। তিন-তিনবার আইপিএল জয়ের ছবিও। বেঙ্গালুরুর শাহরুখ খান ভক্তরাও এই পরিকল্পনায় শামিল। গতবারও এই সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি টিফো তৈরি করা হয়েছিল। শাহরুখ খানের সঙ্গে ছিল রিঙ্কু-রাসেল-নারিনদের ছবি। ছিলেন গতবারের মেন্টর গৌতম গম্ভীর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles