Tuesday, April 8, 2025
spot_imgspot_img

Top 5 This Week

spot_img

Related Posts

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ সত্যিই ভুতের মুখে রামনাম, নাকি সাধনার ছল?‌

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ সবুজ! হাওড়া জেলার রামরাজাতলায় প্রতিবছর রামনবমীর দিন থেকে ভগবান রামের পুজো শুরু। অযোধ্যারাম চৌধুরীর হাত ধরে রামপুজোর সূচনা। প্রতিমা দর্শন করতে আসতেন স্বয়ং মা সারদাও। রামনবমীর দিন থেকে এই পুজো শুরু। চলে টানা চার মাস ব্যাপী। বিশাল আকৃতির মৃন্ময় প্রতিমায় পূজিত রাজারাম। মূর্তির বেশ কিছু বিশেষত্ব আছে।রামরাজাতলায় রাজারামের বিগ্রহ। ভগবান রামের গায়ের রং সবুজ। রামের গায়ের রং সবুজ তা কি জানেন? এই বর্ণের ভগবান রামের মূর্তি পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব ভারতের অনেক অংশেই দেখা যায়। রাম কামদেবের মতোই আকর্ষণীর ছিলেন। কামদেবের গাত্রবর্ণ সবুজ। সেই জন্য ভগবান রামও সবুজ। ভগবান রামের পাশাপাশি প্রায় ৩০ টির কাছাকাছি ছোট বড় প্রতিমা থাকে মূল কাঠামোয়। মূল কাঠামো ৫ ভাগে ভাগ। উপরের সিঁড়ির ধাপের মতো একটি অংশ। মাঝে তিনটি মূল প্যানেল। নীচে আরও একটি অংশ। সবার উপরে থাকেন বসুদেব, তারপরে পঞ্চ সরস্বতী ও দু’টি সিংহবাহিনীর মূর্তি। মাঝের মূল প্যানেলে থাকেন রাম ও সীতা। রামের ডানদিকের অংশে থাকেন শিব এবং বাঁ দিকের অংশে থাকেন ব্রহ্মা। কাঠামোর নীচের অংশে থাকে বিশ্বামিত্র, বাল্মীকি, জাম্বুবান, লক্ষ্মণ, ভরত, শত্রুঘ্ন, লব, কুশ প্রমুখের মূর্তি। মন্দিরের অন্য মণ্ডপে পূজিত হন ভগবান রামের পরম ভক্ত পবনপুত্র হনুমান। ভগবান নারায়ণের দশম অবতারের এক অবতার বামন অবতার এখানে পূজিত। সাবিত্রী ও সত্যবান এবং যমরাজেরো পুজো হয়। চার মাস ধরে এখানে ভগবান রামের পুজো। চার মাস এই পূজা-প্রাঙ্গণ ঘিরে মেলা বসে। শ্রাবণের শেষ রবিবার হয় নিরঞ্জন। রামনবমী উপলক্ষে ভগবান রামকে খাবার উৎসর্গ। তাঁর প্রিয় গুড় এবং ভাজা ছোলা দুটি জিনিস মিশিয়ে একটি সুস্বাদু মিষ্টি। প্রসাদ হিসেবে উৎসর্গ। ভাজা ছোলা থেকে তৈরি এই মিষ্টি কেবল সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। ভাজা ছোলা মিষ্টি তৈরিতে ভাজা ছোলা ১৫০ গ্রাম, কাপ কাজু বাদাম, কাপ বাদাম, কাপ মাখনা, এলাচ গুঁড়ো, জায়ফল, জাফরান বীজ, দেশি ঘি। গুড় ৩০০ গ্রাম, বাদাম, পেস্তা বাদাম,ভাজা ছোলা মিষ্টি।

রামচন্দ্রের জন্মভূমি অযোধ্যায় অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে রামনবমীর প্রস্তুতি। রামনবমীর দিনেই অযোধ্যার রামমন্দিরে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠান। উল্লেখযোগ্য রামলালার সূর্য তিলক অনুষ্ঠান। বিশেষ অনুষ্ঠান। আইআইটি-র গবেষকদের বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি সূর্য তিলক। সূর্যরশ্মি লেন্সের মাধ্যমে সরাসরি প্রতিফলিত হয় রামলালার ললাটদেশে। তৈরি হয় বিশেষ তিলক। সূর্য তিলক প্রক্রিয়াটি রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিবিআরআই) এর বিজ্ঞানীরা ডিজাইন করেছেন। একটি গিয়ারবক্স, লেন্স ও প্রতিফলকের সাহায্যে নির্মাণ করা হয়েছে এই বিশেষ প্রযুক্তি। প্রযুক্তিটি এমনভাবেই তৈরি যে প্রতি বছর রামনবমীতে দুপুর ছয় মিনিটের জন্য রামলালার ললাটে সূর্যের তিলক এঁকে দেবে সূর্যরশ্মি। অযোধ্যার রামমন্দিরের সূর্যতিলক অনুষ্ঠান দেশের জাতীয় সম্প্রচারক চ্যানেল দূরদর্শনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। ভারতের অন্যান্য বেশ কিছু মন্দিরেও সূর্য তিলক প্রক্রিয়ার উপস্থিতি রয়েছে। যেমন কোনার্কের মন্দিরে ও বিভিন্ন জৈন মন্দিরগুলিতে রয়েছে এই বিশেষ প্রক্রিয়া।অন্য ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে সূর্যের আলোর প্রতিফলন তৈরি করা হয়। চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে রামনবমী। মানুষ ভগবান রামের জন্মদিন উদযাপন করে। পূজার পাশাপাশি, মানুষ একে অপরকে রামলালার জন্মবার্ষিকীর শুভেচ্ছা হিন্দু ধর্মের এই বিশেষ উৎসবে।

বাংলায় গত কয়েক বছর ধরে রামনবমী উদযাপন। রাজনৈতিক দলের ‘অনুপ্রেরণায়’ পশ্চিমবঙ্গের বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে উন্মাদনা।। বর্তমান বঙ্গ রাজনীতি রামনবমী উদযাপন নিয়েই তোলপাড়। বাংলায় রামনবমী উদযাপনকে বিভেদ তৈরির অপচেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলির। বাংলায় রামের পুজো কখনই প্রচলিত ছিল না।। ভোটের ফায়দা তুলতে রাজনৈতিক দল বঙ্গজীবনের অঙ্গ করে তুলতে চায় রামচন্দ্রকে। বঙ্গসংস্কৃতি রামনাম থেকে সবসময়ই নিজেকে দূরে রেখেছিল? রামনবমীর সঙ্গে একই দিনে বাসন্তী পুজোর লগ্ন। বসন্তকালে দেবী দুর্গার আরাধনাই বাঙালির কাছে বাসন্তী পুজো নামে পরিচিত। বাংলার বাইরে যার নাম চৈত্র নবরাত্রি। দুর্গা সপ্তশতী মতে, রাজা সুরথ প্রথম পৃথিবীতে মা দুর্গার পুজো করেন। রাজ্য সম্পদ হারিয়ে গভীর বনে নির্বাসিত হন মেধস ঋষির আশ্রমে। রাজ্যপাট হারালেও রাজ্যের মঙ্গলচিন্তায় সর্বদা নিমগ্ন থাকতেন সুরথ। মেধস ঋষি তখন তাকে মহামায়ার লীলাকাহিনি শোনান। চণ্ডীমাহাত্ম্য শোনার পর তিন বছর কঠোর তপস্যা করেন সুরথ ও সমাধি। রাজ্যজয়ের পূর্বে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন সুরথ। বসন্তকালে পুজো অনুষ্ঠিত হয় বলে তার নাম বাসন্তী পুজো। সারা বাংলা আজও বাসন্তী পুজো ওই রীতি মেনেই করে।

দেবী দুর্গার পুজো হলেও বাসন্তী পুজো আজও ততটা উন্মাদনা ছড়াতে পারেনি আপামর বাঙালির মধ্যে। বাঙালি আপন করে নিয়েছিল শ্রীরামচন্দ্রের মাতৃ আরাধনাকেই। রাবণ বধের পূর্বে রাম জানতে পারলেন, দেবী স্বয়ং রক্ষা করছেন রাবণকে। এমতাবস্থায় রামচন্দ্র অকালবোধন করলেন মায়ের‌। সেই অকালবোধনের পুজোই আজ বাঙালির পরমপ্রিয় দুর্গোৎসব। পশ্চিমবঙ্গ নয়, নিউইয়র্ক, জার্মানি যেখানেই বাঙালিরা, সেখানেই অকালবোধন রীতিতে দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয় প্রতি বছর। বাংলায় দুর্গাপুজোর ইতিহাস ঘাঁটলেও দেখা যাবে, অকালবোধনের পুজোই জনপ্রিযয় বরাবর‌। রামচন্দ্রের জনপ্রিয়তা বঙ্গভূমিতে রামায়ণ অনুবাদের প্রয়াসেও। ১৪ শতকের শেষের দিক। শান্তিপুরের কাছে ফুলিয়ায় জন্ম হল মধ্যযুগের অন্যতম উল্লেখযোগ্য কবি কৃত্তিবাস ওঝার। নদিয়া তখন বাংলার সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র, স্মৃতিশাস্ত্র, তর্কশাস্ত্রে পণ্ডিতদের বসতবাটি। তেমনই এক পণ্ডিত গৌড়েশ্বর গণেশনারায়ণ ভাদুড়ির পৃষ্ঠপোষকতায় বাল্মীকি রামায়ণের সহজবোধ্য বাংলা অনুবাদ করেন কৃত্তিবাস। আজও যা কৃত্তিবাসী রামায়ণ নামে সমাদৃত। বাংলায় রামের পুজো ও রামনাম সংকীর্তনের প্রচলন তখন থেকেই। ১৯ শতকের বাংলা। সর্বধর্মসমন্বয়ের প্রবাদপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণের আবির্ভাব হল বাংলায়। অত্যাধুনিক ধর্মমতের পথপ্রদর্শক রামকৃষ্ণ যে রাম‌চন্দ্রের পুজোও করবেন, তাতে আর আশ্চর্য কী। সে পুজো যেন ভক্ত ও ঈশ্বরের পারস্পরিক সম্পর্কের প্রতিফলক। রামের আরাধনার সময় রামকৃষ্ণ শ্রেষ্ঠ ভক্ত হনুমানের রূপ ধারণ করলেন। চোখের ক্ষিপ্রতা, সাজ, কার্যকলাপ হয়ে উঠল রামভক্ত হনুমানের মতোই। শ্রীরামকৃষ্ণকে অনেক ভক্তই মনে করেন রামচন্দ্রের অবতার। বাংলার অভিজাত শ্রেণির ঘরেও আরাধ্য ছিলেন রাম। শ্রীরামকৃষ্ণের লীলাক্ষেত্র ছিল দক্ষিণেশ্বর। আর এই দক্ষিণেশ্বর নির্মাণের নেপথ্যে জানবাজারের রানি রাসমণি। ধনী জমিদার বাবু রাজচন্দ্র দাসের স্ত্রী রানি রাসমণির জীবনী যাঁরা লিপিবদ্ধ করেছেন, তাঁদের লেখায় পাওয়া যায় রঘুবীরের রথযাত্রা প্রসঙ্গ। রাসমণির প্রিয় আরাধ্য দেবতাই ছিলেন শ্রীরাম। জামাই মথুরকে একদিন রানি ডেকে বললেন, রূপোর রথে চড়িয়ে কলকাতার রাজপথে ভ্রমণ করাতে চান তাঁর দেবতাকে। আয়োজন হল। ব্যয় হল বিপুল। বর্ণাঢ্য হল রঘুবীরের রথযাত্রা। শ্রীরামপুর, রামরাজাতলা, রঘুনাথপুর। বাংলার একাধিক স্থানের ইতিহাসের সঙ্গে রাম পুজোর ইতিহাস জড়িত ওতপ্রোতভাবে। বিভিন্ন স্থাননামে রাম শব্দটি আছে বলেই রাম বঙ্গ সংস্কৃতির অঙ্গত, এতটা সরলীকৃত না হলেও বাংলায় রামের প্রভাব অস্বীকারের উপায় নেই। হাওড়ার রামরাজাতলায় পূজিত হন রাজা রামচন্দ্র। গাত্রবর্ণ সবুজ, গুম্ফসমন্বিত মুখমণ্ডল। তাত্ত্বিকদের মতে, বাঙালির নিজস্ব মূর্তি নির্মাণের কায়দা মেনে গড়া এই রাম। রামের পুজোর পর এখানে প্রায় চার মাস ধরে মেলা চলে। যা বাংলার বৃহত্তম মেলা। পুরুলিয়ার বিখ্যাত শহর রঘুনাথপুর। শহরের নামকরণ হয়েছিল ওই এলাকার এক মন্দিরের নামে, রঘুনাথ জিউর মন্দির, প্রায় ৩০০ বছর পুরনো। রঘুনাথ জিউ আদতে শ্রীরামচন্দ্র। আবার শ্রীরামপুরের নামের উদ্ভব প্রসঙ্গে তাত্ত্বিকরা বলছেন শ্রীপুর বা শ্রীরাম শব্দদ্বয়ের কথা। এছাড়াও হুগলির ওই অঞ্চলের বেশ কিছু স্থানে ব্রাহ্মণ জনগোষ্ঠীর আধিক্য দেখা যায়। গোস্বামীপাড়া, লাহিড়ীপাড়া, মুখার্জীপাড়া, ভট্টাচার্যপাড়া, চক্রবর্তীপাড়া ইত্যাদি পাড়াগুলির নামকরণ সেই মতেই, বলে মনে করা হয়। পুজোপার্বণের চল জন্ম দিয়েছে পটুয়াপাড়া, কুমোরপাড়া, ঢুলিপাড়ারও। ফলে স্থানের নাম শ্রীরামপুর হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বঙ্গজীবনের রামচন্দ্রপ্রীতি প্রবলভাবে না থাকলেও রামের পুজোর প্রতি বিরাগ ছিল না। বরং বাংলাই একাধিক সম্প্রীতির উদাহরণ নির্মাণ করেছে। সবচেয়ে বড় উদাহরণ, বাঙালির পরমপ্রিয় নজরুলগীতি।

মন জপ নাম শ্রীরঘুপতি রাম
নব দূর্বাদলশ্যাম নয়নাভিরাম!
সুরাসুর-কিন্নর-যোগী-মুনি-ঋষি-নর
চরাচর যে নাম জপে অবিরাম॥
সজল-জলদ-নীল-নবঘন কান্তি
নয়নে করুণা, আননে প্রশান্তি।
নাম শরণে টুটে যায় শোক-তাপ-ভ্রান্তি,
রূপ নেহারি মূরছিত কোটি কাম॥

নজরুলের লেখা এই গান কিন্তু রামনবমীতে ঘটা করেই বাজানো হয়। অযোধ্যায় যেদিন রামমন্দির প্রতিষ্ঠা হল, সেদিনই বাংলায় রামের পুজো করলেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী কিছু মানুষ। এই বছর রামনবমীর দিনেও দেখা গেল একই দৃশ্য। পুষ্পবৃষ্টি থেকে মিষ্টান্ন বিতরণ। যাবতীয় উদ্বেগ, উত্তেজনা পেরিয়ে রামের পুজো নতুন পথ দেখালো। বাংলার ধর্মাচরণ ও ধর্মভাবনায় প্রথম ঢেউ তোলেন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। সারা ভারতের নিরিখে বাংলার ধর্মভাবনা যে কিছুটা আলাদা, তাঁর নেপথ্যে শ্রীচৈতন্যের ব্যাপক অবদান। আর সেই অবদানেরই অঙ্গ তাঁর কিছু নির্দেশ। শ্রীচৈতন্য গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিছু ব্রত পালনের জন্য। যার মধ্যে অন্যতম রামনবমী। রামনবমী আদতে একটি ব্রত। ব্রত করতে উপোস থাকতে হয় এই দিন। সন্ধে নাগাদ রামনামসংকীর্তন করে উপোস ভাঙার রীতি। কিন্তু একটি ব্রতের নিয়মকানুন আর কিছু উদযাপনের নিয়মকানুন একেবারেই আলাদা। রামনবমী উপলক্ষে ব্যাপক শোভাযাত্রা ও পিস্তল, তলোয়ার ইত্যাদি বিবিধ অস্ত্রপ্রদর্শনী ব্রতের অংশ নয় বলেই জানাচ্ছেন বর্তমান সময়ে বাংলার বিশিষ্ট পণ্ডিত নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি। ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিয়োতে রামনবমীর উদ্দেশ্য-বিধেয় স্পষ্টভাবে কথিত।
বাংলায় রামের পুজো ছিল। বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাঙালি নিজের মতো করেও পুজো করেছে। গড়ে নিয়েছে শ্রীরামকে। বিভিন্ন দেবতার জনপ্রিয়তার নিরিখে বিচার করলে রাম কিছুটা পিছনের সারিতেই। শাক্ত ও বৈষ্ণব সংস্কৃতির অদ্ভুত সুন্দর মিলনভূমি এই বঙ্গদেশ। প্রায় সব দেবতাই এই ভূমিতে আরাধ্যা হয়ে উঠেছেন নানা সময়ে, নানা সম্প্রদায় ও জনগোষ্ঠীর কাছে। রামের পুজো বাঙালির সংস্কৃতির নাকি স্রেফ ভোটব্যাঙ্কে ফায়দা তুলতে রামের শরণাপন্ন হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles