Wednesday, April 9, 2025
spot_imgspot_img

Top 5 This Week

spot_img

Related Posts

‘‌‘‌নতুন করে দু’‌নম্বরির ফাঁদ পাতা শুরু মমতার’‌’‌?‌ বাস্তবিক এত বড় দুর্ভাগ্য ও অপমানের মুহূর্ত পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে নজিরবিহীন!‌

বেলাগাম দুর্নীতিতে ভরা। ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগপ্রক্রিয়া। পুরো প্রক্রিয়াই বাতিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে। রাজ্যে চাকরি হারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। চাকরিহারাদের মধ্যে যোগ্যদের পুনর্নিয়োগের নির্দেশও আদালতের। কড়া নির্দেশ ৩ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে প্রক্রিয়া। প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় টাকা তুলতে ইতিমধ্যে লোক নামিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন নিয়োগে আবার দু’নম্বরি করবে। ফেসবুক লাইভে বিস্ফোরক দাবি করে এই মামলায় বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে না সরিয়ে যে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া হবে সেখানেও দুর্নীতি হবে। আজকেই চলে গেছে চাকরিহারা শিক্ষকদের বাড়ি। মেদিনীপুরের এক শিক্ষক তার এক সহ শিক্ষকের বাড়িতে আজকেই বাইক নিয়ে গিয়েছে। চাকরিহারা সেই শিক্ষক আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন। আমার কাছে কল রেকর্ড রয়েছে। কারা গিয়েছে? নতুন নিয়োগে আবার দু’নম্বরি করবে। সেইজন্য গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার দু’নম্বরি করার ধান্দা করছে। যদি আবার দু’নম্বরি করার ধান্দা করে আবার একই পরিণতি হবে। বাইক নিয়ে শিক্ষকদের পাঠাচ্ছেন টাকা তোলার জন্য, লজ্জা করে না? যে সব শিক্ষকরা পুনর্নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন তারা যদি মনে করেন যে ওর ওই মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে ফাঁসবেন আবারও একই পরিণতি হবে। আবার টাকা ফেরত দিতে হবে। ফলে এদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে ভুলবেন না। যারা টাকা দিয়েছেন, টাকা আদায় করুন। আর কাউকে টাকা দেবেন না।’

জট মাঝে মাঝে এমন পাকিয়ে যায় যে তাকে পুরো না কেটে দিয়ে খোলা যায় না। আড়াই হাজার বছর আগে আলেকজান্ডার এই জন্যই ‘গর্ডিয়ান নট’ খোলার বদলে তা কেটে দিয়েছিলেন বলে কথিত আছে। স্কুল সার্ভিস কমিশন বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়টিকে ঠিক সেই ভাবেই দেখতে হবে। সমগ্র শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ভয়ানক কলুষিত। স্পষ্ট সিদ্ধান্তে আসার মতো তথ্যই নেই। গত্যন্তর কোথায়। আদালতের রায় নিয়ে অনেকে বিচলিত, ক্ষুব্ধ, ক্রুদ্ধ। ক্রোধ ও ক্ষোভের কারণ বুঝতে অসুবিধা হয় না। বাস্তবিক এত বড় দুর্ভাগ্য ও অপমানের মুহূর্ত পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে নজিরবিহীন। বিচারবিভাগের সিদ্ধান্ত তৈরি হয় একটি যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। কোনও মতেই সেই প্রক্রিয়ার বাইরে যাওয়া যায় না, সেটা কাম্যও নয়। আদালতের রায়ের ফলাফল নিয়ে তীব্র যন্ত্রণাবোধ সত্ত্বেও রায়টিকে অযৌক্তিক বা অন্যায্য বলা যায় না। রায়টিকে অযৌক্তিক বা অন্যায্য বলে উচ্চারণ করতে গেলেও মনে রাখতে হবে, এক জনও নিরপরাধ শাস্তি পেলে বিচারের ন্যায় রক্ষিত হয় না। কে নিরপরাধ আর কে অপরাধী, সেই মীমাংসাই অসম্ভব হয়ে গেলে গোড়া থেকে শোধরানো যেতেই পারে। বাস্তবোচিত পন্থা। এসএসসি তদন্তে তথ্যগুলি প্রতিষ্ঠিত। ওএমআর শিটগুলি বিনষ্ট করা হয়েছে। কপি রাখা হয়নি। ওএমআর শিট ফাঁকা রাখা প্রার্থীরা নিযুক্ত। তালিকার বাইরে থেকে প্রার্থী নিয়োগ। ইত্যাদি তথ্য গোপন করার চেষ্টা। প্রতি স্তরে অন্যায় ঢাকার জন্য আরও বড় অন্যায় করা হয়েছে। সঠিক তথ্য বার করা অসম্ভব। শেষ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটিকে নতুন করে করতে বলা ছাড়া উপায় নেই। বিরাট সংখ্যক নিরপরাধ তরুণ-তরুণী অন্যায় ভাবে বঞ্চিত ও পীড়িত। হেনস্থার দায় সম্পূর্ণত রাজ্য প্রশাসনের। হিমালয়প্রমাণ দুর্নীতির কান্ডারি নেতা-মন্ত্রী-সাগরেদদের অপরাধের দাম আজ এই অসহায় নিরপরাধদের মাথায় বজ্রাঘাতের মতো নেমে এসেছে। গভীর উদ্বেগপ্রহরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও তারসমর্থক-সমাজের কাছে একান্ত অনুরোধ, অন্য কারও উপর দোষ চাপানোর ন্যক্কারজনক প্রয়াসে নিজেদের অমানবিকতার পরিমাণ আর বাড়াবেন না। এরকম একের পর একে অভিযোগের পাহাড় সাধারন মানুষের।

এগিয়ে বাংলা’র প্রতিচ্ছবি আজ লন্ডনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পিছে হাঁটা বাংলার নিকৃষ্ট উদাহরণ। বাংলায় কর্মসংস্কৃতিতে একেবারেই ভাটার টান। প্রত্যেক বছর ঘটা করে বড় শিল্পপতিদের এনে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে শিল্প সম্মেলন করা হয়, কিন্তু একটা বৃহৎ মাপের শিল্পও এ রাজ্য গড়ে ওঠে না। শাসক দল ভোটের বাজারে সুবিধা তোলে আংশিক বাহুবলে, বাকিটা অকাতরে অনুদান বা খয়রাতিতে রাজকোষ ফাঁকা করে। শাহজাহানের বাহিনী যখন লাগামহীন অত্যাচার নামিয়ে এনেছিল সুন্দরবনের বিভিন্ন গ্রামে, তখন অনেক অঞ্চলই পুরুষ-শূন্য ছিল পরিবারগুলির অনেকে শ্রমিক হয়ে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দেওয়ার জন্য। বহু দিন ধরে সরকারের খাতায় পরিযায়ীর সংখ্যা জানা নেই। অতিমারির সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার দায়িত্বহীন ভাবে হঠাৎ লকডাউন ডাকায় কী ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল এই শ্রমিকদের, প্রত্যক্ষদর্শী রাজ্যবাসী। কাজ না পেয়ে অতিমারির মধ্যেই ফিরে গেয়েন অসহায়রা। এ রাজ্যে গত কয়েক বছরে কোনও শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। নিয়ম মেনে অবসর নিয়েছেন অনেক শিক্ষক। দিন দিন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সরকারি অফিসে কর্মী নিয়োগ না করে নিয়োগ করা হচ্ছে চুক্তিভিত্তিক কর্মী। স্কুলগুলি ভরে গিয়েছে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকে। কর্মসংস্থান কোথায় যে ভিন রাজ্যের শ্রমিক এখানে আসবেন? রাজ্যে ছোটোখাটো কারখানা চালিয়ে যাঁরা রোজগার করতেন, তাঁরাই আজ রাস্তা টোটো চালাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে উচ্চারিত ধ্বনি ‘‌চপশিল্পে’‌ মজতে বাধ্য হয়েছেন কালের অমোঘ নিয়মে। এ রাজ্যে এখন সম্ভাবনা দু’টি— হয় শাসক দলের মদতে পুষ্ট সিন্ডিকেট ব্যবসায় যোগ দেওয়া, না হয় পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে ভিন রাজ্যে চলে যাওয়া। এমনটাই মতামত জনসাধারনের।

২০১১ সালের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বহির্মুখী অভিবাসন বাড়েনি। বরং অন্য রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসে কাজ করার প্রবণতা বেড়েছে। এই দু’টি পর্যবেক্ষণের সমর্থনে তিনি ২০১১ সালের জনশুমারি থেকে আহৃত তথ্য এবং ২০১২ ও ২০২৩ সালের অসংরক্ষিত দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভ্রমণের একটা তুলনামূলক পরিসংখ্যান পেশ করেছেন। ২০১১ সালে জনশুমারির তথ্যানুসারে, ২৪ লক্ষ মানুষ কাজের তাগিদে রাজ্যের বাইরে গিয়েছেন এবং ৪৪ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক বাইরে থেকে কাজ করতে পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন। ২০১১ নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ থেকে যত মানুষ কাজ করতে বাইরে গিয়েছেন, তার তুলনায় ২০ লক্ষ বেশি মানুষ বাইরে থেকে কাজ করতে পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন। ২০১১ সালের পরে যে-হেতু আর জনশুমারি হয়নি, প্রবন্ধকার তাই নির্ভর করেছেন অসংরক্ষিত দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভ্রমণের পরিসংখ্যানের উপর। ২০১২ ও ২০২৩ সালের এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্যের সাহায্যে তুলনামূলক ভাবে তিনি দেখিয়েছেন, সারা দেশে মোট অসংরক্ষিত দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভ্রমণের গন্তব্য পশ্চিমবঙ্গ এমন যাত্রীর সংখ্যা এই এগারো বছরে ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭.৩৩ শতাংশ হয়েছে। ২.৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বহির্মুখী অভিবাসনের ক্ষেত্রে তিনি নির্দিষ্ট কোনও তথ্য দিতে পারেননি। পরিবর্তে অসংরক্ষিত দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভ্রমণের উৎস হিসাবে সারা ভারতের প্রথম দশটা জেলার মধ্যে ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গের কোনও জেলা ছিল না, ২০২৩-এ মুর্শিদাবাদ আছে। জেলা থেকে জেলা ভ্রমণের তালিকায় মুর্শিদাবাদ-কলকাতা ভারতের ব্যস্ততম রুট, তাই ধরে নেওয়া যায় যে, মুর্শিদাবাদ থেকে যাঁরা সফরকারীর বেশির ভাগেরই গন্তব্য কলকাতা। বিভিন্ন কারণে মানুষ এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গমন করেন। কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হল অর্থনৈতিক বা কর্মসংস্থান-জনিত সুবিধা, পরিবারের কর্তা বা কর্ত্রীর কর্মক্ষেত্রে বদলি, উচ্চশিক্ষা, চিকিৎসা, মেয়েদের ক্ষেত্রে বিবাহ ইত্যাদি। এটা ঠিকই, শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেই হয়তো অসংরক্ষিত দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন, কিন্তু, স্লিপার ক্লাস বা বাস/ট্রাকের মতো অন্য পরিবহণ ব্যবস্থার শরণাপন্ন। দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভ্রমণের পরিসংখ্যান দিয়ে এই বিষয়ে যে নির্ভরযোগ্য চিত্র পাওয়া অসম্ভব।

পশ্চিমবঙ্গবাসীকে একটি দুরূহ কাজ করতে হবে। হতাশ্বাস তরুণতরুণীদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহস জোগাতে হবে, পুনর্বার সামনের দিকে তাকিয়ে চলার শক্তি দিতে হবে। কেবল পঁচিশ বা ছাব্বিশ হাজারের নয়, সামূহিক সংগ্রাম। দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থার দায়িত্ব নাগরিক সমাজকেই নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকে অনেক প্রতিশ্রুতির মধ্যে বেশীরভাগটাই সম্পূর্ণ যুক্তিহীন ও ভিত্তিহীন। যেমন, কাউকে টাকা ফেরত দিতে হবে না, এ কথা তিনি মোটেই বলতে পারেন না যখন আদালতের রায়ে স্পষ্ট নির্দেশ আছে। মুখ্যমন্ত্রী যদি ভাবেন পঁচিশ হাজার ছেলেমেয়ের ‘ব্যবস্থা’ করে দিলেই তাঁর ক্লেদহস্ত ধৌত হয়ে যাবে, সম্পূর্ণ ভুল ভাবছেন। মনে রাখতে হবে ‘যোগ্য’রা যেমন অন্যায় ভাবে শাস্তি পেলেন, ‘অযোগ্য’রাও যে টাকা দিয়ে অন্যায় করতে পারলেন, সেই দায়িত্বও কেবল তাঁদের নয়। তৃণমূল সরকার যে ‘সিস্টেম’ তৈরি করেছে, তার দায়িত্বই বেশি। রাজনৈতিক মদতপুষ্ট দুষ্কৃতী নেতা-জনতা অগাধ দুর্নীতির প্রকৃষ্ট পরিসর পেয়ে আত্মহারা হয়েছে বলেই এমন ঘটনা ঘটেছে। সামাল-কৌশলে দুরস্ত মুখ্যমন্ত্রী আগামী নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি সামলাতে কেবল আইনি পথে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলেই ‘যথেষ্ট’ হবে না। প্রতি অপরাধীর দৃষ্টান্তযোগ্য কঠোর শাস্তি দান তাঁর নিজের ব্যক্তিগত দায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের মুখে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে কিছু ছেলেমেয়ে থাকত যাদের কাজ ছিল নতুন আগত গ্রাম-মফস্‌সলের ছেলেমেয়েদের রাজনৈতিক কথাবার্তায় ভুলিয়ে তাদের নিজেদের ভাবনার প্রতি আকৃষ্ট করা। কোনও রকমে নানা অজুহাত দিয়ে নিত্যদিনের এই থেরাপি থেকে মুক্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা। রাজনীতির উপরমহলেন নির্দেশেই। সর্বত্রই আড়ালে-আবডালে রাজনীতি হাতছানি দিচ্ছে ও সুযোগের অপেক্ষায় আছে কী ভাবে নিজেদের দলে টানা যায়। কোনও না কোনও মতাদর্শে বাধ্য হয়ে ঘাড় কাত করতেই হবে। বর্তমানে শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি নিয়ে যে আর্থিক লেনদেনের ব্যবস্থা চালু হয়েছে তা অত্যন্ত লোভনীয় এবং বিপজ্জনক। অনাবশ্যক ব্যবস্থাকে বন্ধ করার জন্যে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। প্রথমত, শিক্ষাঙ্গন বিদ্যালাভের স্থানে রাজনীতির অনুপ্রবেশ কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ছাত্রছাত্রীদের দাবিদাওয়া-সহ কোনও অভিযোগ জানানোর থাকলে তা উপাচার্য বা সমগোত্রীয় আধিকারিকের হাতে না দিয়ে নির্দিষ্ট কোনও বাক্সে রেখে আসা দরকার, যেটি সংশ্লিষ্ট শিক্ষাঙ্গনের বিশিষ্ট দু’জন মনোনীত শিক্ষাবিদ দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা করবেন। ঘেরাও নামক অসাংবিধানিক অব্যবস্থা থেকে শিক্ষকরা নিষ্কৃতি পাবেন। তৃণমূল সরকারের দলের নেতাদের প্ররোচনায় তুচ্ছ দাবি নিয়ে পড়াশোনা শিকেয় তুলে শিক্ষাঙ্গনকে দূষিত করার অভিসন্ধি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। ছাত্রছাত্রীরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পদার্পণ করেই রাজনীতির পাঠ নামক ভ্রান্ত ধারণা নির্মূল করতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্র পড়াশোনার জায়গা। সেখানে রাজনীতি কেন আসবে? ভারতের বহু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতির প্রবেশাধিকার নেই। ছাত্রছাত্রীদের দাবিদাওয়া মেটাতে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে রাজনৈতিক গুন্ডামির জায়গা করে দিয়ে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করা যাবে না? শিক্ষকদেরও এ ব্যাপারে নিজেদের দায়িত্ব পালনে সচেতন হতে হবে। শিক্ষকরাও অবশ্য আবার কোনও না কোনও রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী হলেও শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষাদান করা ছাড়া রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করা শিক্ষকদের শোভা পায় না। রাজ্যের যুব সমাজের অধোগতি উদ্বেগজনক। অবিলম্বে শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি মুক্ত করতে না পারলে কল্যাণ হওয়া অসম্ভবপর।
‌‌

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles