Friday, April 11, 2025
spot_imgspot_img

Top 5 This Week

spot_img

Related Posts

ইডেনের কেকেআর-লখনউ ম্যাচ হচ্ছে? জমকালো উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সঞ্চালক শাহরুখ!

আবার ব্যর্থতা কলকাতা পুলিশের?‌ ম্যাচ আয়োজন করতে পারল না কলকাতা পুলিশ?‌ কলকাতা থেকে সরতে চলেছে কেকেআর বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টসের ম্যাচ। ম্যাচে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া যাবে না বলে আগেই কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়। ইডেন থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে কেকেআর-‌এলএসজিম্যাচ। বোর্ডের তরফে সরকারিভাবে ঘোষণা নেই আপাতত। আইপিএল শুরু ২২ মার্চ শণিবার। প্রথম ম্যাচে ইডেনেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মুখোমুখি হবে নাইটরা। ম্যাচ আয়োজনে কোনও সমস্যা না থাকলেও সমস্যার কারণ ৬ এপ্রিল ইডেনে লখনউ বনাম কলকাতা ম্যাচের নিরাপত্তা নিয়ে। একই দিনে রামনবমী। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কিছু মিছিল রামনবমী উপলক্ষে। সাম্প্রতিক অতীতে রামনবমীকে কেন্দ্র করে রাজ্যে অশান্তির ছবিও স্পষ্ট। কলকাতা পুলিশ সতর্ক আবার সামলাতে হিমসিমও। রামনবমীর দিন ইডেনে ম্যাচে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই সিএবিকে চিঠি পুলিশের। জটিলতা কেকেআর বনাম লখনউ ম্যাচ নিয়ে। কেকেআর শিবির জানায়, ৬ এপ্রিলের ম্যাচ দুপুর ৩টে থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যার মধ্যে শেষ বলে সমস্যা কোথায়। রামনবমীর উচ্ছ্বাস দুর্গাপুজো বা কালীপুজোর মতো গোটা শহর উৎসবে মেতে ওঠে না। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ সমস্যা হওয়ার কোনও প্রশ্নি আসছে না। পুলিশ নিজের সিদ্ধান্তেই অনড়। পুলিশের দ্বারা নাকি ম্যাচ করা সম্ভব হচ্ছে না?‌ পুলিশের অকৃতকার্যকরতা ও পরিস্থিতি সামলানোর ব্যর্থতা প্রকাশের কারণে বাধ্য হয়েই ম্যাচ সরানোর সিদ্ধান্ত সিএবির। বোর্ডের তরফে এখনও কিছু জানানো না হলেও সূত্রের খবর, গুয়াহাটিতে খেলা হতে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টস ম্যাচ। গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে হোম টিম হিসাবে দুটি ম্যাচ খেলবে রাজস্থান রয়্যালস। একটি কেকেআরের বিরুদ্ধে। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি অনুযায়ী, কেকেআর বনাম এলএসজি ম্যাচ যেন রামনবমীর দিনে একদমই না।লখনউ দলের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। আইএসএলে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিনিয়োগকারী। আগে কলকাতায় লখনউ দলকে সবুজ-মেরুন জার্সি পরে খেলতে দেখা গিয়েছিল। এ বারেও ঋষভ পন্থদের সবুজ-মেরুন জার্সি পরে খেলতে দেখা যেতে পারে। মোহনবাগানের ম্যাচ ৭ এপ্রিল। যুবভারতীতে পন্থেরা যাওয়ার কথা ছিল।

আইপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বাধিক সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি কেকেআর। গতবার শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্ব এবং মেন্টর গৌতম গম্ভীরের মগজাস্ত্রে তৃতীয় বারের জন্য চ্যাম্পিয়নশিপে খেতাব জয়ী নাইটরা। এবছর শ্রেয়স আইয়ার ও গৌতম গম্ভীর নেই। নতুন মেন্টর ব্র্যাভো। নতুন অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। নতুন জুটির কাছে চ্যালেঞ্জ। গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলের অধিকাংশ সদস্য নাইট জার্সিতেই রয়েছেন। কেকেআরের সবচেয়ে বড় শক্তি গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলের অধিকাংশ তারকা। সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিং, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, বরুণ চক্রবর্তীরা কেকেআরের আবেগের সঙ্গে জড়িত। টিমগেম বড় শক্তি নাইটদের। কেকেআরের ব্যাটিং বিভাগ শক্তিশালী। রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিংয়ের মতো তিন ফিনিশার দলে। স্পিন বিভাগে দুর্দান্ত ফর্মে বরুণ চক্রবর্তী এবং এভারগ্রিন সুনীল নারিন নাইটদের বড় অস্ত্র। প্রয়োজনে অনুকূল রায়ের বাঁহাতি স্পিন এবং ময়ঙ্ক মার্কান্ডের লেগ স্পিনও রয়েছে কেকেআর দলের। দুর্বলতা বলতে গৌতম গম্ভীর এবং শ্রেয়স আইয়ারের না থাকা। অধিনায়ক ও ব্যাটার অজিঙ্ক রাহানের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন নেই। তবে অতীতে নাইট জার্সিতেই চূড়ান্ত ব্যর্থ রাহানে। ব্যাট হাতে ভালো খেলতে না পারলে রাহানের অধিনায়কত্বেও প্রভাব পড়তে পারে। কেকেআরের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা অনভিজ্ঞ পেস বিভাগ। মিচেল স্টার্কের অনুপস্থিতিতে আনরিখ নখিয়ার ফর্ম এবং ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন। নাইটদের পেস বিভাগ বেশ অনভিজ্ঞ। হর্ষিত রানার নির্ভর নাইট দল। প্রশ্ন ওপেনিং নিয়েও। সুনীল নারিন এবং ফিল সল্ট?

স্কোয়াড: অজিঙ্ক রাহানে (অধিনায়ক), রিঙ্কু সিং, কুইন্টন ডি’কক, রহমানুল্লা গুরবাজ, অঙ্ককৃষ রঘুবংশী, রভম্যান পাওয়েল, মণীশ পাণ্ডে, লভনিত সিসোদিয়া, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, অনুকূল রায়, মইন আলি, রমনদীপ সিং, আন্দ্রে রাসেল, আনরিখ নখিয়া, বৈভব অরোরা, ময়ঙ্ক মার্কন্ডে, স্পেনসার জনসন, হর্ষিত রানা, সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তী, চেতন সাকারিয়া। এক্স ফ্যাক্টর বলতে সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেলরদের সঙ্গে নাইটদের সম্পৃক্ত ও নাড়ির যোগ অনুভব এবং একার হাতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ বরুণ চক্রবর্তী।

সম্ভাব্য সেরা একাদশ: সুনীল নারিন, কুইন্টন ডি’কক, অজিঙ্ক রাহানে (অধিনায়ক), ভেঙ্কটেশ আইয়ার। রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেল, রমণদীপ সিং, হর্ষিত রানা, আনরিখ নখিয়া, বৈভব অরোরা, বরুণ চক্রবর্তী
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার: অঙ্গকৃষ রঘুবংশী/লভনিত সিসোদিয়া/ মণীশ পাণ্ডে/অনুকূল রায়

আইপিএলের ঢাকে কাঠি। শনিবার কলকাতা বনাম বেঙ্গালুরু ম্যাচ দিয়ে শুরু এ বারের প্রতিযোগিতা। ১০ বছর পর উদ্বোধনী ম্যাচ হচ্ছে কলকাতায়। বলিউড তারকাদের নিয়ে আইপিএলের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। শনিবারের আধঘণ্টার অনুষ্ঠানকে আরও জমকালো করতে তৎপর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সিএবির কাছে অনুষ্ঠানের প্রাথমিক নির্ঘণ্ট অনুযায়ী বলিউড তারকাদের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি থাকছে বিশেষ ড্রোন শো আর আতসবাজির প্রদর্শনী। সন্ধে ৬টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু। দিশা পাটানি, শ্রেয়া ঘোষাল থাকবেন উদ্বোধনে। স্টেডিয়ামের প্রত্যেক গ্যালারির দর্শক যাতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে পারেন, তার জন্য বিশেষ স্টেজও তৈরি, মাঠে তিরিশ গজ বৃত্তের বাইরে স্টেজ তৈরি হলেও পুরো ইডেন জুড়ে পারফর্ম করবেন পারফর্মাররা। শহরে তার ড্রেস রিহার্সালও শুরু। পাঁচশোর বেশি পারফর্মার চলে এসেছেন। দু’দিন ধরে নেতাজি ইন্ডোরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ড্রেস রিহার্সাল চলবে। বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে আবদার ড্রোন শো-র জন্য সেনাবাহিনীর অনুমোদন। কারণ ইডেনে ড্রোন শো’র জন্য সেনাবাহিনীর অনুমতি দরকার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্যও বিশেষ পুলিশি অনুমতি নিচ্ছে সিএবি। বোর্ডের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় ফ্লাডলাইট বন্ধ রাখতে হবে। ইডেনে আগে লেজার শো’র সময় বন্ধ রাখা হয়েছিল লাইট। ইডেনের ৬৫ হাজার দর্শকদের জন্য বিশেষ চশমা আর রিস্ট ব্যান্ডের ব্যবস্থা। স্টেডিয়ামে প্রবেশের সময়ই যা দিয়ে দেওয়া হবে দর্শকদের। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় দর্শকদের সেই চশমা আর ব্যান্ড পরতে হবে। চশমা আর ব্যান্ড, দুটোই নাকি বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি। অনুষ্ঠানে বলিউড তারকাদের পারফরম্যান্সের সময় মিউজিকের সঙ্গে ওই বিশেষ চশমা আর ব্যান্ডে আলো জ্বলে উঠবে। ডব্লুপিএলের সময় অনুষ্ঠানে চশমা না থাকলেও ছিল শুধু ব্যান্ড। সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ার কথায়, “ থাকবে বিশেষ এক ওপেন স্টেজ। স্টেডিয়ামের সব গ্যালারির দর্শকদের অনুষ্ঠান দেখতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়। এর আগে এত বড় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আইপিএলে হয়নি।”

২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ। অমিতাভ বচ্চনকে এনে জাতীয় সঙ্গীত গাইয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অমিতাভ ‘জন গণ মন অধিনায়ক’ ধরতেই গোটা স্টেডিয়াম উঠে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে বিরাট কোহলির ব্যাটিংয়ে একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ শতরানের রেকর্ড স্পর্শ কিংবদন্তি শচিন তেন্ডুলকরের। মোবাইলের টর্চ জ্বেলে অসাধারণ আলোর উৎসবে ইডেন। দু’টোই আন্তর্জাতিক ম্যাচই বিশ্বকাপের ম্যাচ। ইডেনে ২০২৫ আইপিএল উদ্বোধন গত এক দশকের সেরা মহাযজ্ঞের তালিকায় শনিবারের বোধন স্বচ্ছন্দে জায়গা করে নেবে। কিং কোহলির বিরুদ্ধে নাইটদের জিততে রাজাকেও আসরে নামাত হবে। কিং খান স্বমহিমায় হাজির হচ্ছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মাতাতে যে শ্রেয়া ঘোষাল, দিশা পাটানি ও করণ আউজলার সঙ্গে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন স্বয়ং শাহরুখ খান। ইডেন কেকেআরের ঘর। মালিক তাই গৃহকর্তার ভূমিকাতেই আবির্ভূত ফিল্মি কায়দায় বলিউড বাদশার দুর্ধর্ষ ‘অ্যাপিয়ারেন্স সিন’এর অপেক্ষায় ইডেন। শাহরুখ অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় অদ্বিতীয়। ফিল্মের নানা অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের ভূমিকায় এমনকি, অতীতে আইপিএলের উদ্বোধনও সঞ্চালনা করেছেন। ইডেনে আধ ঘণ্টা-‌পঁয়তাল্লিশ মিনিটের মধ্যে পুরো অনুষ্ঠান। সম্ভবত ছ’টা পনেরো বা কুড়িতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে। সাতটায় টস কারণ ম্যাচ শুরু সাড়ে সাতটায়।

শ্রেয়া, দিশা কলকাতায় শুক্র দুপুরেই। দিশা পাটনীরাও ইডেনে শুক্র রাতে মহড়া দিতে পারেন। সহকারী শিল্পী, নৃত্যশিল্পী মিলিয়ে প্রায় দু’শো জনের টিম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সব শীর্ষ কর্তা ও বোর্ডের অধীনস্থ সমস্ত রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার প্রতিনিধিরাও। অন্যান্য দেশের বোর্ডের শীর্ষ কর্তারাও আইপিএলের বোধনে আমন্ত্রিত। মুম্বই ও আমদাবাদে কোল্ড প্লে ইভেন্টে দর্শকদের হাতে ‘জাইলো ব্যান্ড’ ব্যবহার। এলইডি আলোর ছটায় পুরো স্টেডিয়ামে মায়াবী পরিবেশ। ইডেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও এই ব্যান্ডের ব্যবস্থা। প্রথমে শাহরুখের নেতৃত্বে ঝলমলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বাঙালি শ্রেয়ার কণ্ঠ। মাঠের দ্বৈরথ। কেকেআর বনাম আরসিবি। বিরাট কোহলি বনাম হর্ষিত রানা। হতে পারে বরুণ কিংবা নারাইন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles