Movies

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ ...

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ...

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মিনাক্ষী! ...

যুবনেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য! ‘নজির’ মীনাক্ষীর। নজর কাড়লেন।...

ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ...

দিল্লি ক্যাপিটালস দলের জয়ের হ্যাটট্রিক। চেন্নাই সুপার কিংস দলের...

TV Shows

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ ...

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ...

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মিনাক্ষী! ...

যুবনেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য! ‘নজির’ মীনাক্ষীর। নজর কাড়লেন।...

ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ...

দিল্লি ক্যাপিটালস দলের জয়ের হ্যাটট্রিক। চেন্নাই সুপার কিংস দলের...

Music

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ ...

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ...

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মিনাক্ষী! ...

যুবনেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য! ‘নজির’ মীনাক্ষীর। নজর কাড়লেন।...

ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ...

দিল্লি ক্যাপিটালস দলের জয়ের হ্যাটট্রিক। চেন্নাই সুপার কিংস দলের...

Celebrity

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ ...

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ...

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মিনাক্ষী! ...

যুবনেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য! ‘নজির’ মীনাক্ষীর। নজর কাড়লেন।...

ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ...

দিল্লি ক্যাপিটালস দলের জয়ের হ্যাটট্রিক। চেন্নাই সুপার কিংস দলের...

Scandals

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ ...

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ...

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মিনাক্ষী! ...

যুবনেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য! ‘নজির’ মীনাক্ষীর। নজর কাড়লেন।...

ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ...

দিল্লি ক্যাপিটালস দলের জয়ের হ্যাটট্রিক। চেন্নাই সুপার কিংস দলের...

Drama

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ ...

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ...

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মিনাক্ষী! ...

যুবনেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য! ‘নজির’ মীনাক্ষীর। নজর কাড়লেন।...

ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ...

দিল্লি ক্যাপিটালস দলের জয়ের হ্যাটট্রিক। চেন্নাই সুপার কিংস দলের...

Lifestyle

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ ...

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ...

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মিনাক্ষী! ...

যুবনেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য! ‘নজির’ মীনাক্ষীর। নজর কাড়লেন।...

ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ...

দিল্লি ক্যাপিটালস দলের জয়ের হ্যাটট্রিক। চেন্নাই সুপার কিংস দলের...

Health

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ ...

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ...

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মিনাক্ষী! ...

যুবনেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য! ‘নজির’ মীনাক্ষীর। নজর কাড়লেন।...

ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ...

দিল্লি ক্যাপিটালস দলের জয়ের হ্যাটট্রিক। চেন্নাই সুপার কিংস দলের...

Technology

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ ...

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ...

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মিনাক্ষী! ...

যুবনেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য! ‘নজির’ মীনাক্ষীর। নজর কাড়লেন।...

ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ...

দিল্লি ক্যাপিটালস দলের জয়ের হ্যাটট্রিক। চেন্নাই সুপার কিংস দলের...

Company

Movies

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ ...

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ...

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মিনাক্ষী! ...

যুবনেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য! ‘নজির’ মীনাক্ষীর। নজর কাড়লেন।...

ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ...

দিল্লি ক্যাপিটালস দলের জয়ের হ্যাটট্রিক। চেন্নাই সুপার কিংস দলের...

TV Shows

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ ...

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ...

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মিনাক্ষী! ...

যুবনেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য! ‘নজির’ মীনাক্ষীর। নজর কাড়লেন।...

ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ...

দিল্লি ক্যাপিটালস দলের জয়ের হ্যাটট্রিক। চেন্নাই সুপার কিংস দলের...

Music

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ ...

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ...

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মিনাক্ষী! ...

যুবনেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য! ‘নজির’ মীনাক্ষীর। নজর কাড়লেন।...

ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ...

দিল্লি ক্যাপিটালস দলের জয়ের হ্যাটট্রিক। চেন্নাই সুপার কিংস দলের...

Celebrity

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ ...

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ...

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মিনাক্ষী! ...

যুবনেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য! ‘নজির’ মীনাক্ষীর। নজর কাড়লেন।...

ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ...

দিল্লি ক্যাপিটালস দলের জয়ের হ্যাটট্রিক। চেন্নাই সুপার কিংস দলের...

Scandals

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ ...

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ...

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মিনাক্ষী! ...

যুবনেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য! ‘নজির’ মীনাক্ষীর। নজর কাড়লেন।...

ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ...

দিল্লি ক্যাপিটালস দলের জয়ের হ্যাটট্রিক। চেন্নাই সুপার কিংস দলের...

Drama

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ ...

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ...

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মিনাক্ষী! ...

যুবনেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য! ‘নজির’ মীনাক্ষীর। নজর কাড়লেন।...

ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ...

দিল্লি ক্যাপিটালস দলের জয়ের হ্যাটট্রিক। চেন্নাই সুপার কিংস দলের...

Lifestyle

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ ...

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ...

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মিনাক্ষী! ...

যুবনেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য! ‘নজির’ মীনাক্ষীর। নজর কাড়লেন।...

ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ...

দিল্লি ক্যাপিটালস দলের জয়ের হ্যাটট্রিক। চেন্নাই সুপার কিংস দলের...

Health

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ ...

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ...

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মিনাক্ষী! ...

যুবনেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য! ‘নজির’ মীনাক্ষীর। নজর কাড়লেন।...

ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ...

দিল্লি ক্যাপিটালস দলের জয়ের হ্যাটট্রিক। চেন্নাই সুপার কিংস দলের...

Technology

রামভক্তের সংখ্যা অকস্মাৎ ক্রমবর্ধমান!‌ ...

আসতেন মা সারদা। হাওড়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরে রামের গায়ের রঙ...

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মিনাক্ষী! ...

যুবনেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য! ‘নজির’ মীনাক্ষীর। নজর কাড়লেন।...

ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ...

দিল্লি ক্যাপিটালস দলের জয়ের হ্যাটট্রিক। চেন্নাই সুপার কিংস দলের...

Company

Subscribe to newsletter

RK NEWZ

Monday, April 7, 2025
spot_imgspot_img

Top 5 This Week

spot_img

Related Posts

‌নিজেকে ভালো রাখার ‌অভ্যাস! মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত যত্নে রাখার উপায়

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই অনেকেরই খালি পেটে গরম জল খাওয়ার অভ্যাস। গরম জলের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধান। আয়ুর্বেদ টোটকার পোশাকি নাম ‘ঘি ওয়াটার’। নিয়মিত ঘি মেশানো গরম জল খেলে কী কী উপকার?‌ রোজ সকালে হালকা গরম জলে সামান্য ঘি মিশিয়ে খেতে পারলে হজমশক্তি ভাল থাকে। ঘি নানা রকম পেটের সমস্যার সমাধানে কার্যকরী। ঘি খেলে গ্যাস, বদহজম, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমতে পারে। শরীরে জমে থাকা যাবতীয় দূষিত পদার্থ দূর করতে কার্যকরী এই পানীয়। হালকা গরম জলে অল্প একটু ঘি মিশিয়ে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। ইমিউনিটি বাড়লে দ্রুত ভাইরাল সংক্রমণ, ফ্লু, অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করতে পারবেন। ঘি মেশানো গরম জল ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কারণ ঘি মানুষের শরীরে মেটাবলিজম রেট বাড়ায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। খিদের প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে শরীরে ফ্যাট জমতে পারে না। ঘি-এর অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান জয়েন্ট ফুলে যাওয়া, জয়েন্টে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। হাড়ের গঠন মজবুত করে ঘি মেশানো গরম জল। নিয়মিত খেলে আর্থারাইটিস এবং অন্যান্ট গাঁটের ব্যথা সম্পর্কিত সমস্যা থেকে মুক্তি। ঘি-তে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। মহিলাদের ঋতুস্রাব এবং হরমোনের ভারসাম্যজনিত সমস্যা কমাতে এই পানীয় কার্যকরী। ঘি-তে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন। যা চুল ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ঘি মেশানো গরম জল খেলে ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল, পরিচ্ছন্ন এবং আর্দ্র থাকে। চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। চুল পড়ার সমস্যা কমে। পরিমিত ঘি খাওয়াই শ্রেয়। অতিরিক্ত ঘি খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। দুগ্ধজাত খাবারে অ্যালার্জি কিংবা যকৃতের সমস্যা থাকলে ঘি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

চিনি ‘‌বিষ’‌। লোভ সামলাতে পারেন না অনেকেই! চিনি শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। চিনি খাওয়ার অভ্যাসে শরীরে ডায়াবেটিস। বাড়ে ওজন, হানা দেয় একাধিক জটিল রোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালকোহল ও তামাকের মতো চিনিও আসক্তিকর। গবেষণায় প্রমাণিত, অতিরিক্ত চিনি খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। নিত্য জীবনের খাদ্যতালিকায় কোনও না কোনওভাবে চিনি থাকেই। চিনি খাওয়ার দীর্ঘদিনের অভ্যাস অনেকেই ছাড়তে পারেন না। ১৪ দিন চিনি না খেলে শরীরে ম্যাজিকের মতো ফল। বদল আসবে শরীরে?
ডায়েট, শরীরচর্চা করেও ওজন কমচ্ছে না? ১৪ দিন চিনি খাওয়া বন্ধ করলেই তরতরিয়ে কমবে ওজন। মিষ্টি জাতীয় খাবার ও চিনি খেলে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি। ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ। সঙ্গে ডায়েট ও শরীরচর্চার দিকেও নজর দিতে হবে। বর্তমানে মেয়েদের মধ্যে খুবই সাধারণ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম রোগে ওষুধের থেকেও বড় দাওয়াই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। ডায়েট চিনি বাদ দিলে কমবে ওজন, ফলে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকবে। মানসিক চাপ, ব্যস্ততার কারণে অনেকেরই রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না। চিনি থেকে দূরে থাকলে ঘুম ভাল হয়। স্নায়ুর উত্তেজনা বশে থাকে। রাতে দুচিন্তা ভিড় করে না। সারাদিন কাজে এনার্জি থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় প্রকাশ, চিনি খেলেই গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বৃদ্ধি পায়। ১৪ দিন চিনি না খেলেই সমাধান। চিনি খাওয়া কমিয়ে দিলেই প্রভাব পড়ে ত্বকে। গুণ বয়স হঠাৎ করে কমে যায়! কারণ ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়লে মুখে কালচে ছোপ আসে। চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে কোষ থাকে তরতাজা। রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। বেশি চিনি খেলে হার্টের রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে চিনি খাওয়া বন্ধ। লিভারের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও চিনি খাওয়া একদমই নয়।

ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রচুর। ওষুধের পাশাপাশি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নেন। বিশেষ করে তেতো খাবার খেলে ডায়াবেটিস জব্দ। নিয়মিত উচ্ছে খাওয়ার চেষ্টা করেন ডায়াবেটিক রোগীরা। উচ্ছে, করলা খেলে ডায়াবেটিস কমে? উচ্ছে, করলা হল পুষ্টির খনি। ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক সহ বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর এই সবজিতে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম। সুগার রোগীরা অনায়াসে খেতে পারেন উচ্ছে ও করলা। বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্ছে-করলা খেলেই যে সুগার কমবে, এমন নয়। দুই সবজি রক্তে সুগারের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা চটজলদি বাড়তে দেয় না। এতে রয়েছে পলিপেপটাইড পি নামক উপাদান সুগার স্পাইক আটকায়। উচ্ছে বা করলায় পলিপেপটাইড-পি বা পি-ইনসুলিন নামক একটি যৌগ প্রাকৃতিকভাবে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রতিদিন উচ্ছে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। উচ্ছে ও করলার জুস করে খেলেই সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। রোজ সকালে খালিপেটে এই জুস খেলে সারাদিন সুগার বাড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমবে। উচ্ছে খেয়ে ডায়াবিটিস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখার আগে চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।

প্রয়োজনের থেকে বেশি জল পান করলেও মারাত্মক বিপদ! একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে কতটুকু জল পান করা উচিত, তা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে প্রায় ২-৩ লিটার জল পান করা উচিত। যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁদের শরীরের বেশি জলের প্রয়োজন হয়। আবার অন্তঃসত্ত্বা এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদেরও বেশি জল পান করা উচিত। প্রয়োজনের থেকে বেশি জল পান করলে নানান শারীরিক সমস্যা? সোডিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়া বা হাইপোনেট্রেমিয়া। অতিরিক্ত জল পান করলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে। ফলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, দুর্বলতা এবং এমনকি খিঁচুনিও হতে পারে। কিডনির উপর চাপ পড়তে পারে। কিডনি অতিরিক্ত জল শরীর থেকে বের করতে হিমশিম খেতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলতে থাকলে কিডনির কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। অতিরিক্ত জল শরীরে জমা হলে ওজন বাড়তে পারে। অতিরিক্ত জল পান করলে মস্তিষ্কের কোষ ফুলে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত জল পানের ফলে শরীরে লবণের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী জল পান করা উচিত।

ছিপছিপে চেহারা। মেদহীন চেহারা পেতে শুধুই কড়া ডায়েট, শরীরচর্চা নয়। স্লিম-ফিট থাকতে বিশেষ কিছু খাবারের একটি খাবার হল কফি। কফির সঙ্গে মেশাতে হবে ঘি। শরীর থেকে ঝরবে বাড়তি মেদ। কফিতেই মেশাতে হবে এক চামচ ঘি। যার পোশাকি নাম বুলেটপ্রুফ কফি। ঘি মিশিয়ে কফি খেলেই তরতরিয়ে কমবে ওজন। চটজলদি মেদ ঝরাতে অনেকেই এই পানীয় জরুরী। এক কাপ জলে এক চামচ ঘি আর ১ চামচ কফির সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করুন বুলেটপ্রুফ কফি। ঘি কফি পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখতে সাহায্য করে। ফলে ঘন ঘন খিদে পায় না। ঘি-তে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ধীরে ধীরে হজম হয়, যা দীর্ঘক্ষণ শরীরে এনার্জিও জোগায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ বুলেটপ্রুফ কফি শরীরে ফ্রি ব়্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। অনেকেই শরীরচর্চা করার আগে আগে ঘি কফি পান করেন। ব্যায়ামের সময় যেমন এনার্জি জোগায়, এমনকি সক্রিয়ভাবে ঘাম ঝরাতে সাহায্য করে।

কাগজ ফুলের চা পান বিশেষ উপকারী। বোগেনভিলিয়া। কাগজ ফুল নামেও পরিচিত। এই ফুল সৌন্দর্যের পাশাপাশিও নানা গুণ। বোগেনভিলিয়ার তৈরি চা স্বাস্থ্যের পক্ষে দারুণ উপকারী! সর্দি, কাশি, গলা ব্যথাতে উপকারের পাশাপাশি জয়েন্টের ব্যথা, ডায়বেটিসের মতো রোগের ক্ষেত্রেও এই চা কাজ করে। থাইল্যান্ডের এক গবেষণায় প্রকাশ, বোগেনভিলিয়ায় রয়েছে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, আলসারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা। ১ কাপ বোগেনভিলিয়ার তাজা পাপড়ি, ২ কাপ জল, ১টি মাঝারি সাইজের দারচিনি, ৩-৪টে লবঙ্গ, ১ কোয়া রসুন, স্বাদমতো মধু নিয়ে তৈরী হবে চা। প্রথমে পাপড়িগুলো ভালো করে ধুয়ে একটি পাত্রে জল ফুটিয়ে তাতে ফুলের পাপড়ি, দারচিনি, লবঙ্গ, রসুন দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ফোটানোর পর আঁচ কমিয়ে আরও ১০ মিনিট রেখে একটি পাত্রে চা ছেঁকে মিষ্টির জন্য স্বাদমতো মধু মিশিয়ে তৈরী চা। বোগেনভিলিয়ায় অ্যালার্জি থাকলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে এড়িয়ে চলাই ভালো। অন্তঃসত্ত্বাদের এই চা পান করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। গরমে নিজেকে সতেজ রাখতে বোগেনভিলিয়ার শরবতও ভালো। একটি পাত্রে পাপড়ি ছাড়িয়ে তার সঙ্গে কিছুটা জল দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পাতার রং বেরিয়ে এলে একটি গ্লাসে বরফ দিয়ে তাতে বোগেনভিলিয়ার রঙিন জল ঢেলে স্বাদের জন্য মিশিয়ে দিন এক চামচ মধু এবং কিছুটা পরিমাণ লেবুর রস।

স্বাস্থ্যের জন্যও লবঙ্গ উপকারী। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় লবঙ্গের ব্যবহার। নিত্যদিনের রান্নাতেও লবঙ্গের ব্যবহার সুগন্ধি ছড়ায় রান্নাকে করে তোলে সুস্বাদু। রাতে খাবারের পর এক টুকরো লবঙ্গ মাউথ ফ্রেশনারের থেকেও বেশি কার্যকরী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ লবঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, শরীরে থাকা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ভিটামিন সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ক্রনিক রোগের ঝুঁকিও অনেকটা কমে যায়। রাতে খাবার পরে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে তা হজম ক্ষমতা বৃ্দ্ধি করে। বদহজম, পেটফাঁপা, বুকজ্বালা এবং গ্যাসের প্রবণতা কমায়। লবঙ্গের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান দাঁতের ব্যথা দূর করে। মাড়ির ক্ষয়ও রোধ করে। অনেকে টুথপেস্টে উপকরণ হিসেবে লবঙ্গ থাকে। আর্থারাইটিস, পেশির ব্যথা, হাঁটু, পিঠে বা হাড়ের ব্যথা এবং ফোলা ভাব কমাতেও সাহায্য করে। লবঙ্গ চিবিয়ে বা মুখে রেখে দিলে সর্দি-কাশি, কফ, ঠান্ডা লাগা, অ্যাস্থমা, শ্বাসকষ্টের হাত থেকে পরিত্রাণ মিলবেই। মাথা ব্যথা কমাতেও লবঙ্গের উপকারিতা অপরিসীম। লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে, যা সাধারণত মুখের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী। মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে কাজ করে, ফলে শ্বাস থাকে সতেজ। লবঙ্গে থাকা ইউজেনল রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। ফলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে যা সুস্থ থাকার জন্য ভীষণ জরুরি। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ কমানোর পাশাপাশি রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রেসের ঝুঁকিও কমায়। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের কারণে লবঙ্গ তেল ব্রণ, ফুসকুড়ি এবং দাগ ছোপ দূর করতেও সাহায্য করে।

হিন্দু শাস্ত্রে তুলসী পবিত্র। আয়ুর্বেদেও তুলসীর জুড়ি মেলা ভার। তুলসী পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, আয়রন, খনিজ পদার্থ। সকালে উঠে খালি পেটে অনেকেই তুলসী ভেজানো জল খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে যে কোনও সময়ই এই পাতা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। টানা ১০ দিন যদি তুলসী ভেজানো জল কেউ পান করেন তাহলে শরীরে অনেক পরিবর্তন আসে।
অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্য়ান্টি ফাঙ্গাল গুণে সমৃদ্ধ তুলসী। এই পাতা চিবোলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। সারাক্ষণ ব্যস্ততা ও মানসিক চাপ কাটাতে তুলসী মানসিক চাপ,ক্লান্তি দূর করে। এই পাতা হজম শক্তিও বাড়ায় অনেকটা। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে তুলসী পাতা। রক্তনালীকে প্রশস্ত করে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এই পাতা কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এই পাতায় আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি। যা ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং সুস্থ করে। দাগ এবং ব্রণ কমাতেও সাহায্য করে। টানা ১০ দিন সকালে তুলসীপাতা ভেজানো জল পান করলেই কেল্লাফতে। সারারাত এই পাতা ভেজানো জলও খেতে পারেন আবার সেই জল দিয়ে চা তৈরি করেও পানে সুরাহা।

শরীর সুস্থ রাখার প্রতিদিন ‘এবিসি জুসে’ই হতে পারে রোগমুক্তি। সুন্দর ত্বক, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল। অ্যাপেলের ‘এ’, বিটরুটের ‘বি’ এবং ক্যারেটের ‘সি’ নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ‘এবিসি জুস’ রোজ খাদ্যতালিকায় থাকলে উপকার। ‘এবিসি জুস’ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বিশেষত আবহাওয়া বদলের সময় এই জুস অত্যন্ত উপকারী। ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে টক্সিন সমৃদ্ধ ‘এবিসি জুস’। লো ক্যালোরি এবং হাই ফাইবারে ভরা ‘এবিসি জুস’ দ্রুত শরীরের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। তার ফলে দ্রুত কমবে ওজন। ‘এবিসি জুস’ ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। যা হজম শক্তিকে বাড়াতে সাহায্য করে। আপেল শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তার ফলে হৃদযন্ত্রের ক্ষতির সম্ভাবনা কম। তাই রোজ ডায়েটে থাক ‘এবিসি জুস’। ‘এবিসি জুসে’র বেশ কয়েকটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। যা আপনার পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। ‘এবিসি জুসে’ প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব থাকে। তাই যাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি, তাঁদের এই জুস খাওয়া উচিত নয়। ‘এবিসি জুস’ খেয়ে অ্যালার্জির সমস্যা হলে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ জুস।

ঘুমের সময় নিয়ন্ত্রণ। ঘুম হলে বা নাও হলে একাধিক রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৭ ঘণ্টা নিয়মিত ঘুম না হলে হতে পারে সর্বনাশ। দিনভর অনেক। রাতে ৭ ঘণ্টার কম ঘুম হলে ঝিমুনিভাব থাকে। ফলে ক্লান্তিবোধ হয়। শুধুমাত্র সুষম খাবার খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত ঘুমও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। একটানা ৭ ঘণ্টার কম ঘুম হলে অল্পতেই অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা। সিওপিডি-র সম্ভাবনা। কম ঘুমোলে সিওপিডি-র মতো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ফুসফুসজনিত রোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে ঘুমের অভ্যাস বদল করে ন্যূনতম সাত ঘণ্টার বেশি ঘুমোতেই হবে। ৭ ঘণ্টার কম ঘুমোলে অকারণে ওজনের তারতম্য হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক ঘুমের ফলেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারেন প্রতিটি মানুষ। নিমেষে দূর হয়ে যেতে পারে হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যা। রক্তচাপজনিত সমস্যা, রোগ প্রতিরোধ সমস্যাও দূর হওয়ার একটাই ওষুধ পর্যাপ্ত ঘুম। ঘুমোতে চাইলেও রাতে ঠিকমতো ঘুমোতে না পারলে বিশেষজ্ঞদের কয়েকটি নিয়ম মানলেই ভালো ঘুম হতে পারে। ১. ঘুমনোর কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাওয়াদাওয়া সেরে ফেলা। ২. অতিরিক্ত পরিমাণে কফির কাপে চুমুক না। ৩. নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়ার চেষ্টা। ৪. গোটা ঘর অন্ধকার করে ঘুম। ৫. শোওয়ার ঘর কিংবা বিছানার আশেপাশে স্মার্টফোন একদমই নয়।

ডিম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। পুষ্টিবিদরা বলেন, রোজ একটা করে ডিম খাওয়া শরীরের জন্য ভাল। ডিম শুধু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ নয়, ঝকঝকে, নিখুঁত ত্বকের জন্যও ডিমের জুরি ভার। ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম, দুই-ই রূপচর্চায় ব্যবহার করা যায়। সাদা অংশ ত্বকে বলিরেখা আটকায়, ত্বক থাকে টানটান। আর কুসুমের গুণে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে। ত্বকের জন্য কোন অংশ প্রয়োজন, তা ত্বকের ধরন অনুযায়ী বুঝে ডিমের কয়েকটি ফেসপ্যাক করার পদ্ধতি। একটি সেদ্ধ ডিমের কুসুম আলাদা করে কুসুমটির সঙ্গে এক চামচ মধু ভাল, এক চামচ দুধ ও এক চামচ বেসন ভাল করে মিশিয়ে প্যাকটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে শুষ্ক ত্বকে এই ফেসপ্যাস ময়েশ্চারাইজ করে। মুখের ব্ল্যাকহেডস তুলতেও ডিম দারুণ কাজ করে। একটি ডিমের কুসুমকে ভাল করে ফেটিয়ে তা ব্রাশে করে নাকের চারপাশে লাগিয়ে একটি টিসু পেপার নাকের উপর লাগিয়ে ডিমের প্রথম স্তরটি শুকিয়ে গেলে আরেকটি স্তর শুকিয়ে গেলে কাগজগুলিকে টেনে তুলে দেখা যাবে কাগজের সঙ্গে সহজেই উঠে আসবে ব্ল্যাকহেডস। ডিমের কুসুম, এক চামচ মধু এবং এক চামচ বাদাম তেল ভাল করে মিশিয়ে প্যাকটি ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলে তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থাকলে এই প্যাক দারুণ কাজ দেয়। ডিমের কুসুম, এক চামচ ঘন ক্রিম এবং এক চামচ গাজরের রস মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পর শুকিয়ে গেলে ঈষৎ গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেললেই কাজ। ত্বক উজ্জ্বল কার্যকরী ডিমের ফেসপ্যাক।

চুল ভাল রাখা প্রয়োজন। ইদানীং অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, দূষণ, মানসিক চাপ সহ একাধিক কারণে অল্প বয়স থেকেই চুলের নানা সমস্যা। নামীদামি প্রসাধনীর ব্যবহার বা ঘরোয়া পরিচর্যা করেও সমাধান হয় না। চুলের স্বাস্থ্যের জন্য শ্যাম্পু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারে যেমন চুলের ক্ষতি হয়, আবার স্ক্যাল্প পরিষ্কার না করলেও চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। কতদিন অন্তর শ্যাম্পু করা প্রয়োজন?‌ তৈলাক্ত চুলের জন্য শ্যাম্পুর একদিন পরই চুল তেলতেলে হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন বা একদিন অন্তর শ্যাম্পু করা জরুরি। মাইল্ড, সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলেই চুলের স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে।
শুষ্ক চুলের ক্ষেত্রে সাধারণত নিস্তেজ হয় এবং খুব সহজে ডগা ফেটে যায়। শুষ্ক চুলে অতিরিক্ত শ্যাম্পু করলে চুলের তৈলাক্ত ভাব নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের চুলে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু করতে পারেন। চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে কন্ডিশনার ব্যবহার করা জরুরি। স্বাভাবিক চুল তেলযুক্ত বা শুষ্ক নয়। যে কোনও স্টাইল এই চুলে ভালভাবে ধরে রাখা যায়। এই ধরনের চুলের জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার শ্যাম্পু করা যথেষ্ট। এমন ধরনের মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যা চুলের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব ধরে রাখে। কোঁকড়ানো চুল সাধারণত শুষ্ক হয় কারণ স্ক্যাল্পের প্রাকৃতিক তেল চুলের অন্যান্য অংশে পৌঁছতে পারে না। এক্ষেত্রে সপ্তাহে একবার শ্যাম্পু করা যথেষ্ট। কোঁকড়ানো চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ময়েশ্চারাইজিং, সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু এবং ডিপ কন্ডিশনার ব্যবহার প্রয়োজন। নিয়মিত ব্যায়াম বা ঘাম ঝরে এমন কোনও কাজে যুক্ত থাকলে ঘন ঘন শ্যাম্পু করা জরুরি। কারণ স্ক্যাল্পে ঘাম জমে চুলের স্বাস্থ্যহানি করে। বেশি দূষণ, ধোঁয়া বা ধূলোর সংস্পর্শে থাকলেও নিয়মিত শ্যাম্পু করা প্রয়োজন।

পাকা চুল বা চুলের গোড়ায় ন্যূনতম সাদা রং উঁকি দিলেই কলপ। নতুন প্রজন্মের বাহারি রং স্টাইল স্টেটমেন্ট। নানা রঙে তাঁরা রাঙিয়ে নেন চুল। চুলের রং বা ডাই ক্ষতিকর হতে পারে? সামগ্রিক ভাবেই শরীরের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক কারণ এই ধরনের রঙে থাকে রাসায়নিক যা খুবই ক্ষতিকর। অ্যামোনিয়া চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে দেয়, যার ফলে চুল শুষ্ক, রুক্ষ ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। হাইড্রোজেন পারক্সাইড চুলের প্রোটিনের গঠন ক্ষতিগ্রস্ত করার ফলে চুল দুর্বল হয়ে সহজে ভেঙে যায়। প্যারাফেনিলেনডিয়ামিন সাধারণ অ্যালার্জেন, মাথার ত্বকে অ্যালার্জি, চুলকানি, জ্বালা এবং ফুসকুড়ি সৃষ্টি করতে পারে। রেসোরসিনলও অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে এবং মাথার ত্বক শুষ্ক করে খুশকির সমস্যা তৈরি করে। অ্যামোনিয়া ও হাইড্রোজেন পারক্সাইড রাসায়নিক পদার্থগুলি শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কিছু রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের ফলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ডায়ামিনোসেল সালফেট ও প্যারা-ফেনিল্যান্ডামাইন জাতীয় রাসায়নিক পদার্থগুলি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।

নিজের শরীরে যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি বাস্তুকলার প্রাচীন ভারতীয় বিজ্ঞান অর্থাৎ বাস্তুশাস্ত্রের দিকেও নজর রাখেতে হবে। জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সুস্থতার জন্য বাস্তুশাস্ত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। কথিত রয়েছে, উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বাস্তু ক্রুটি। একইভাবে বাস্তুর নিয়ম সঠিকভাবে মেনে চললেই আসে সাফল্য, কেরিয়ার থেকে ব্যক্তিগত জীবন হয় সুখের। বাস্তুশাস্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী, রোজকার কয়েকটি অভ্যাস পরিবর্তন করলে সহজে সাফল্য অর্জন সম্ভব। সকালে উঠে প্রথমে পূর্ব দিকের দরজা বা জানলা খোলার চেষ্টা। অন্য দিকের দরজা বা জানলা খুললেও চলবে। সকালে পূর্ব দিকের রোদ ঘরে ঢুকবে এবং ঘর শুভ শক্তিতে ভরে থাকবে। আর্থিক দিকেও উন্নতি অব্যাহত থাকবে। ঘরে কখনও জুতা বিছিয়ে রাখা উচিত নয়। এতে বাইরের অশুভ শক্তি ঘরে থাকে বলে বিশ্বাস করা হয়। বাড়ির সব জায়গায় বেশি ছবি বা ক্যালেন্ডার টাঙানো উচিত নয়। ক্যালেন্ডার যেন বাতাসে না নড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে বাড়িতে অশুভ শক্তি বৃদ্ধি পায়। স্নানের পর যদি জল অযত্নে পড়ে থাকে, তাহলে মানসিক চাপ বাড়ানোর কারণ হতে পারে। বাড়িতে দুটো ঝাঁটা কখনও একসঙ্গে রাখতে নেই। এতে খুব বেশি পরিমাণে পারবারিক অশান্তি হতে পারে। একইসঙ্গে ঝাঁটা কখনো দক্ষিণ দিকে মুখ করে রাখা উচিত নয়। বাড়ির সদর দরজার পাশে ঝাঁটা রাখাও অশুভ বলে গণ্য হয়। রান্নাঘর পরিষ্কার না রাখলে পরিবারে আর্থিক সমস্যা হতে পারে। খাওয়াদাওয়ার পর নিয়মিত বাসনপত্র পরিষ্কার করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles