হৃদয় সবসময় যত্রে রাখা উচিৎ। হৃৎপিণ্ড শরীরের অন্যতম প্রধান অঙ্গ। এর প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। বর্তমানে মানুষ অল্প বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হার্ট ব্লকেজের কারণে শরীরে বেশ কয়েকটি উপসর্গ দেখা যায়। মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। জিমে ওয়ার্কআউট, খেলা বা নাচতে গিয়ে অনেক সময় মানুষ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়। হাসপাতালে অ্যাজমিটের সময় মৃত্যু হয়। একজন ব্যক্তির হার্টে ব্লকেজ থাকলেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকতে পারে। সময়মতো এটি সনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। হার্ট ব্লকেজের কারণে শরীরে বে কয়েকটি লক্ষণ দেখা যায় সাধারনত।
বুকে অস্বস্তি। হৃদরোগের ঝুঁকির সাধারণ লক্ষণগুলো বেশ সাধারন। ধমনী অবরুদ্ধ হলে বা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে বুকে ব্যথা, টান বা চাপ অনুভূত হয়। অনুভূতি সাধারণত কয়েক মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়। বিশ্রামের সময়ে বা শারীরিক কাজ করার সময় এটি ঘটতে পারে। বুকে ব্যথা ছাড়াও হার্টের সমস্যা হতে পারে। মাথা ঘোরা অনুভব। ব্লকেজের কারণে হার্ট ভারসাম্য হারাতে পারে। এর কারণে মাঝে মাঝে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অন্যান্য কারণও অনুভূত হতে পারে। হঠাৎ অস্থির বোধ বা বুকে অস্বস্তি বা শ্বাস নিতে অসুবিধা অনুভব করলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরী।
বমি বমি ভাব, বদহজম, অম্বল বা পেটে ব্যথা। হার্ট অ্যাটাকের পরে বমি বমি ভাব, বদহজম, অম্বল বা পেটে ব্যথার মতো উপসর্গগুলি অনুভব করে। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের এই ধরনের উপসর্গ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সচেতন হতে হবে যে হার্ট অ্যাটাকের সময়ও হতে পারে। এমন মনে হলে হার্টের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে।
কোনো কারণ ছাড়াই ঠান্ডা ঘাম হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। যদি এটি কোনও ব্যক্তির সাথে ঘটে থাকে তবে তাদের অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। হার্ট ব্লকেজ এথেরোস্ক্লেরোসিস দ্বারা সৃষ্ট হয়, এমন একটি অবস্থা যেখানে করোনারি ধমনীতে প্লেক জমা হয়, যা সরু হয়ে যায়। এ কারণে রক্ত চলাচল কমে যায়। হার্ট ব্লকেজের কারণে- উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, খারাপ জীবনধারা, হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস। পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শে জরুরী। ডাক্তারের পরামর্শ একান্ত প্রয়োজন।