সকলেই ডাকেন ‘গুরুজী’ বলেই। সাধক মানুষ। দিবারাত্র মগ্ন সাধনায়। পূজা অর্চনায় অতিবাহিত সিংহভাগ ক্ষণ। বিরামহীণ তন্ত্রসাধনায় পারদর্শী। সর্বদা মানুষের ভালো কাজে নিয়োজিত অন্ত:প্রাণ। তাই তো ছুটে আসেন দূর দুরান্ত থেকে বাসনার পরিতৃপ্তির সন্ধানে। দীর্ঘকেশ, স্মিত হাস্যরসে পরিপূর্ণ মুখবায়ব, সুস্পষ্টভাষী, সকলের মনজয়ী গুরুজী রাঙাবসনে সজ্জিত হয়ে সাধনার ছলে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন সেবার কাজে। মানুষের আকাঙ্খার কার্যসিদ্ধির পরিতৃপ্তি সাধনও করেন সফল সাধনার মাধ্যমে। সমস্ত জগতের জনসাধারন ছুটে আসেন সাধক প্রফেসর ডক্টর অমর শাস্ত্রীর মন্দিরে। সদা জাগ্রত জগৎ জননী তারা মায়ের মন্দিরে মা স্বয়ং দেবী।

সামাজিক পরিষেবা বা সমাজকল্যাণ পরিষেবা প্রদান সামাজিক কাজের মধ্যে দারিদ্র্য বা অন্যান্য কষ্টে ভুগছেন এমন লোকদের সাহায্য করার করার পাশাপাশি নিজের সাধনা বজায় রেখেছেন অমর শাস্ত্রী সাধক। কষ্টের মধ্যে অতিবাহিত করা বা শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা, বেকারত্বের সম্মুখীন হওয়া মানুষের সেবা করতেও সদা তৎপর। ১৯৯৫ সালে কলকাতার কসবাস্থিত জগৎ জননী তারা মায়ের মন্দিরের প্রতিষ্ঠা। প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং অমর শাস্ত্রীর পিতৃদেব সাধক সাধন ঠাকুর। সাধক অমর শাস্ত্রীর দীক্ষাগ্রহন নিমাই ঠাকুরের কাছ থেকে। ২০১৭ সালে নব কলেবরে মন্দির সংস্করণ। মন্দিরের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে প্রতি বছরই শিবরাত্রির পরদিনই মহা ধুমধাম ও মানুষের সেবাকার্যের মাধ্যমে সুআয়োজন। ২০২৫ এ এসেও ব্যাতিক্রম হয়নি। প্রায় হাজারের বেশী মানুষ সানন্দে ভোগ আহারের পাশাপাশি গামবাজনাও উপভোগ করেন।

দু:স্থদের জন্য বিশেষ সাহায্য প্রদান অনুষ্ঠানের সাড়ম্বরে আয়োজন। বৃহস্পতি সন্ধ্যায় অগনিত মানুষে জন্য দুহাত ভরে ভোগ বিতরণ। সর্ব শ্রেণীর মানুষ ভিড় জমিয়েছেন বিকেল থেকেই। প্রায় শতাধিক অন্ধ মানুষজন ছুটে এসেছেন কলকাতাস্থিত কসবার এই সেবাশ্রমে। প্রত্যেক অন্ধ মানু্ষজনের জন্য বিশেষ উপহার দেওয়ার পাশাপাশি যাতায়াত খরচও প্রদান করা হয়। এছাড়াও দু;স্থদের জন্য বস্ত্র বিতরণ। পড়ুয়াদের জন্য পাঠ্য সামগ্রী প্রদান করা হয় অনুষ্ঠানে। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য্য, চলচিত্র তারকা পাপিয়া অধিকারী, দেবলীনা, বিশ্বনাথ বসু, সাহিত্যিক ও ঐতিহাসিক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় রাহুল বর্মন। বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে চলচিত্র ও সাহিত্য জগতের তারকাদের উপস্থিতিতে উৎসব প্রাঙ্গন হয়ে উঠেছিল জনহিতকর বর্ণময়।