মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিষিদ্ধ। ইউনুস সরকারের ‘চ্যালা চামুন্ডা’দের ভয়ে লন্ডনের বাঙালি এলাকাগুলো থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে এই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। লন্ডনে বাঙালিদের বাড়ি, দোকান এবং রেস্তোরাঁ থেকেও মুছে ফেলা হচ্ছে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। বিধানসভায় বসেই তীব্র প্রতিবাদ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, কাজি নজরুল ইসলামের কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। বাংলাদেশে যাই হোক, “আমাদের এখানে জয় বাংলা স্লোগান আছে এবং থাকবে”। ইউনুস সরকারের মতলোভ ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান থেকে সরিয়ে দিলেই পাকিস্তানপন্থী নয়া বাংলাদেশের পথ চওড়া হবে। মুক্তিযুদ্ধ থেকে ভাষা আন্দোলনের মতো বাঙালি জাতির বলিদানের আবেগ মূল্যাহীন হয়ে পড়বে। ইউনুস সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে হাই কোর্টের ২০২০ সালের নির্দেশে স্থগিতাদেশ বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের। ২০২০ সালের ১০ মার্চ হাই কোর্টের দুই বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন। হাসিনা সরকারের পতনের পরে মুজিবের ৩২ ধানমন্ডির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও গঙ্গাপাড় থেকে জয় বাংলা স্লোগান তথা বাঙালি জাতিসত্ত্বাকে বিলীন করা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন বাংলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল দলটা তিনিই নিজে হাতে তৈরী করেছেন। অতএব তিনিই দলের শেষ কথা। দলে এবং সরকারে তিনিই শেষকথা! ফের প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বৈঠকে সেই কথা আরও এক বার স্পষ্ট করে দিলেন দলের সর্বময় নেত্রী। দলের অন্দরে তিরস্কার এবং পুরস্কারের রেওয়াজ প্রথাও সচল। পরিষদীয় দলের বৈঠকে হুঁশিয়ারির সঙ্গে তিরস্কৃত হওয়ার পাশাপাশি পুরস্কৃতও স্বয়ং দলনেত্রীর প্রশংসা পেয়ে। বুথ এবং ব্লক স্তরে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিষয়ে বিধায়কেরা যেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কাছে তাঁদের ‘পরামর্শ’ পাঠানোর নির্দেশ। ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অরূপের কাছে সেই নামগুলি জমা দিতে নির্দেশ মমতার। পরে তিনি সবটা দেখে নেবেন। প্রতিটি স্তরের জন্য তিনটি করে নাম চেয়েছেন মমতা। পরিষদীয় দলের বৈঠকে মমতা বলেন, দল তিনিই দেখে নেবেন।