শাঁকালু। রসাল ফল। জলের পরিমান অনেক বেশী থাকে এই ফলে। পুষ্টিবিদ গবেষনায় প্রকাশ, শাঁকালুতে জল রয়েছে ৯০.১ গ্রাম। ক্যালোরির পরিমাণ ৩৮। প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় ০.৭২ গ্রাম। কার্বোহাইড্রেট রয়েছে ৮.৮২ গ্রাম। ৪.৯ গ্রাম ফাইবার ও ক্যালশিয়ামের পরিমাণ ১২ মিলিগ্রাম। আয়রন ০.৬ গ্রাম। ম্যাগনেশিয়াম ১২ মিলিগ্রাম। ফসফরাসের পরিমাণ ১৮ মিলিগ্রাম। পটাশিয়াম ১৫০ মিলিগ্রাম। ভিটামিন সি ২০.২ মিলিগ্রাম।
নিয়ম করে শাঁকালু খেলে শরীরের উপকার অসীম থেকে অসীমতর
১) অন্ত্রের জন্য ভাল:
অন্ত্র ভাল রাখার একমাত্র উপাদান ফাইবার। অন্ত্র ভাল থাকলে বিপাকহার ভাল হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সাহায্য করে শাঁকালু।
২) ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে:
আবারবৃদ্ধবণিতা। বেশির ভাগই টাইপ-২ ডায়াবিটিসে ভোগেন। নিয়মিত শাঁকালু খেলে রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজ়ের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ২০১৫ সালে ‘জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, শাঁকালুতে ‘ইনিউলিন’ নামক একটি উপাদান রক্তে বাড়তি শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩) অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ:
শাঁকালু খেলে শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় থাকে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখাও সহজ হয়। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ শাঁকালু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৪) হার্টের জন্য ভাল:
শাঁকালুতে ‘নাইট্রেট’-এর পরিমাণ বেশি থাকায় উপাদানটি রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। ফলে কার্ডিয়োভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। ২০১৬ সালে ‘পাবমেড সেন্ট্রাল’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, নিয়ম করে শাঁকালু খেলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে:
শাঁকালুতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি এবং ক্যালোরির পরিমাণ থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ফলটি দারুণ ভাবে সাহায্য করে। শাঁকালু খেলে ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতাও থাকে না।