প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিএ ডিগ্রি। আদালতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়? দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়ে দেয় কোনও জনস্বার্থের বিষয় নয়। দিল্লি হাইকোর্টে তথ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিএ ডিগ্রি জনস্বার্থের আওতায় পড়ছে না। তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় পড়ে না। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তথ্য শেয়ার করতে বাধ্য নয় বা জানাবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা দিল্লি ইউনিভার্সিটির পক্ষ নিয়ে বিচারপতি শচীন দত্তকে জানান, জনগণের যেটা আগ্রহ রয়েছে সেটা জনস্বার্থ নয়। জানার আগ্রহ এটা বলতে আপনার আপত্তি কোথায়। এটা কোনও যুক্তি হতে পারে না। জনগণের কিছু নিয়ে আগ্রহ থাকতেই পারে। সেটা পাবলিক ইন্টারেস্ট নয়। এই ব্যাপারে জনস্বার্থের কোনও ব্যাপার আছে কি! এনিয়ে উত্তর একটাই যে, ‘না’।
সিনিয়র কাউন্সেল সঞ্জয় হেগড়ে আরটিআইয়ের প্রতিনিধিত্ব করে জানান, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে বিপুল পড়ুয়ার নম্বর মজুত থাকতে পারে না। ২০১৬ সালের ২১শে ডিসেম্বর। ১৯৭৮ সালে কারা কারা বিএ পরীক্ষা দিয়েছে সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশন এই রেকর্ড বের করার কথা বলেছিল। ১৯৭৮ সালেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিএ পাশ করেছিলেন বলে দাবি। সিআইসির নির্দেশে দিল্লি ইউনিভার্সিটিকে জানিয়েছে ইনস্পেকশন করার জন্য অনুমতি দিলেও পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারের যুক্তিকে নাকচ করে। এর মধ্যে মেরিট ও আইনগত কোনও বিষয় নেই। বিশ্ববিদ্যালয় এই নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ করে। নির্দেশ আইনগত নয়। ২০১৭ সালের ২৩শে জানুয়ারি হাইকোর্ট কত্তৃক সিআইসির নির্দেশকে স্থগিত।