বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ডের মাধ্যমে ১০০ দিনের কাজ অর্থাৎ মনরেগা প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মমতার বিরুদ্ধে ঘোরতর অভিযোগ করে বলেন, ‘‘তৃণমূলের কর্মীরা প্রকল্পের টাকা লুট করেছে।’’ মিড-ডে মিল কর্মসূচিতে ১০০ কোটি টাকা চুরি করেছে। তৃণমূলে রেশন মাফিয়াদের দাপট অব্যাহত। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ কর্মসূচি কেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কার্যকর করেনি? লোকসভার বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন স্পষ্ট বললেন ‘‘গরিবদের সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’’
প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার কেন্দ্রীয় অর্থসাহায্যও বাংলার তৃণমূল সরকার নয়ছয় করেছে, অভিযোগ করে নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে ২০১৬-১৭ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা প্রকল্প চালু হয়েছিল। গ্রামীণ আবাস যোজনায় ২০১৬ থেকে ২৫০০০ কোটির বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলা আবাস যোজনা’ করা হয়েছে। এরপর সেখানে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার টিম পাঠিয়ে খতিয়ে দেখে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে তৃণমূলে। রাজ্য সরকার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় নি। সরকার কেন্দ্রীয় অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে ২৫ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ২০১৬-১৭ সাল পর্যন্ত। অভিযোগ অসংখ্য পরিমান দুর্নীতির। সরকারি নিয়ম-নীতি না মেনে অযোগ্যদের প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয়েছে।’’ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক বার বার জবাব চাইলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেয়নি বলে অভিযোগ নির্মলার।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘বাংলায় কাজ নেই, শিল্প নেই, দূরদৃষ্টি নেই। ১৯৪৭ সালে গোটা দেশের শিল্পোৎপাদনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের অবদান ছিল ২৪ শতাংশ। যা এখন যা এখন শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলায় মাথাপিছু রোজগারের হারে গত ২০ বছর পশ্চিমবঙ্গ ২৩তম স্থানে রয়েছে। নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে জাতীয় বায় ৭৪ শতাংশ। বাংলার মাত্র ৪৩ শতাংশ। তৃণমূল এখন বাংলা জুড়ে শোষণ আর লুটের প্রতীক। তৃণমূলের জমানায় পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে।’’